বঙ্গোপসাগরে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ আরেক জেলের মরদেহ উদ্ধার
ঝড়ে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় আরেক জেলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মরদেহটি উদ্ধার করা হয় বলে জানায় কোস্টগার্ড।
এর আগে শনিবার নিখোঁজ ১৪ জেলের মধ্যে দুই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেল পাঁচটার দিকে দুবলার চর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের ডুবজাহাজ এলাকা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
সোমবার দুপুরে বঙ্গোপসাগরের নীলবয়া এলাকায় ভেসে উঠা ওই জেলের মরদেহ উদ্ধার করেন সাগরে মাছ ধরাতে যাওয়া অপর জেলেরা। পূর্ব বন বিভাগের দুবলা শুটকি পল্লী টহল ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় জানান, দুবলার চর থেকে ফিসিং ট্রলার নিয়ে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা সোমবার দুপুরে সাগরে এক জেলের মরদেহ ভাসতে দেখে মরদেহটি উদ্ধার করেন। মরদেহটি সাগর থেকে চরে আনা হচ্ছে।
তবে নিহত ব্যক্তির পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বিকেল নাগাদ চরে পৌঁছে যাবেন তারা। তারপর পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন প্রহ্লাদ চন্দ্র রায়।
বন কর্মকর্তা প্রহ্লাদ চন্দ্র রায় আরও বলেন, এখনও নিঁখোজ রয়েছে ১১ জেলে। এছাড়া সাগরে নিমজ্জিত ৭টি ট্রলারের সন্ধান মিলেনি এখনও।
শনিবার উদ্ধার করা মরদেহ দুটির পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন, নাম মামুন শেখ ও ইসমাইল শেখ। এদের মধ্যে মামুন শেখ বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার বাসিন্দা আর ইসমাইল শেখ পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার বাসিন্দা।
ওই দুর্ঘটনার পর তিন জেলেকে জীবিত উদ্ধার করে কোস্টগার্ড। উদ্ধার জেলেরা হলেন, বাগেরহাটের রামপাল উপজেলার কাশীপুর গ্রামের নাজমুলের ছেলে আবদুল্লাহ, শ্রীপালতোলা গ্রামের হাসেম আলীর ছেলে ইয়াকুব আলী এবং মোংলা উপজেলার আমরা তলা গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে রাজু শেখ।
শুক্রবার রাতে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে পূর্ব সুন্দরবনের দুবলার চর সংলগ্ন গভীর বঙ্গোপসাগরে ১৮টি ট্রলার ডুবি ও ১৪ জেলে নিঁখোজের ঘটনা ঘটে।
কেএফ/