শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০২৪ | ১৬ কার্তিক ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চুয়াডাঙ্গায় বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একজনের মৃত্যু, আটক ১

আটক সোহরাব। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র বিএনপির দু'গ্রুপের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ওয়ার্ড বিএনপির নেতা সুলতান (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারভুক্ত আসামি সোহরাব (৬০) নামে এক জনকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।

নিহত সুলতান নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত. আফসার আলী ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ার পাড়া - খলিশা পাড়া) বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন।

জানা গেছে, গত ২৩ অক্টোবর রাত ৯ টার দিকে বোয়ালমারী গ্রামস্থ ফকিরপাড়া মোড়ে এ মারামারি ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুলতানের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া - গচিয়ার পাড়া গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে বিএনপি'র দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় গ্রুপের ৫/৬ জন রক্তাক্ত জখম হয়। এদের মধ্যে নাটুদহ ইউনিয়নের খলিশা পাড়া গ্রামের মৃত. আফসার আলী ছেলে ও এক নম্বর ওয়ার্ড (গচিয়ার পাড়া - খলিশা পাড়া) বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সুলতান গুরুতরভাবে আহত হয়। তাকে দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে রাজশাহী মেডিকেলে রেফার করেন।

এ ঘটনার ৫ দিন পর ২৮ অক্টোবর সুলতানের ছেলে পলাশ বাদী হয়ে পাঁচজনের নামে দামুড়হুদা মডেল থানায় মামলা করেন। থানা পুলিশ বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিকেলে অভিযান চালিয়ে এজাহার নামীয় আসামি গচিয়ার পাড়া গ্রামের ভরসা আলীর ছেলে সোহরাবকে আটক করতে সক্ষম হয়।

রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে আহতরা প্রায় সকলে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও রাজশাহী মেডিকেলে ৮ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাত ৯ টার দিকে সুলতান মারা যায়।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, এই ঘটনায় সোহরাব নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটক করতে পুলিশি অভিযান চলমান রয়েছে।

Header Ad

অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হতে ২ মাস সুযোগ দিল আমিরাত

ছবি: সংগৃহীত

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বসবাসরত প্রবাসীদের জন্য চলমান সাধারণ ক্ষমার সময়সীমা আরও দুই মাস বাড়ানো হয়েছে। নতুন মেয়াদে এই সাধারণ ক্ষমা চলবে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যার ফলে অনেকেই জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পাবেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) ফেডারেল অথরিটি ফর আইডেন্টিটি, সিটিজেনশিপ, কাস্টমস অ্যান্ড পোর্ট সিকিউরিটি (আইসিপি) এই সময়সীমা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। খবর খালিজ টাইমসের।

গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে দুই মাসের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেছিল আমিরাত সরকার। সাধারণ ক্ষমার পূর্ব নির্ধারিত সময়সীমা ৩১ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা আরও দুই মাস বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।

এই সাধারণ ক্ষমার ফলে অবৈধ প্রবাসীরা বৈধ হওয়ার জন্য সুযোগ পাচ্ছেন। এ সুবিধার আওতায় যারা পূর্বে আমিরাতে রেসিডেন্স ভিসায় ছিলেন এবং বর্তমানে অবৈধ, তারা ‘স্পন্সর’ খুঁজে বৈধ হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন অথবা বিনা জেল-জরিমানা বা নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই আমিরাত ত্যাগ করতে পারছেন।

আইসিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সুহেল সাঈদ আল খাইলি এ ব্যাপারে বলেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে মানবিক দিকটির প্রতিফলন রয়েছে, যা লঙ্ঘনকারীদের জরিমানা থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাদের স্ট্যাটাস নিয়মিত করার সুযোগ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, এটি তাদের পরিবারকে সুরক্ষিত রাখার সুযোগও দেয় এবং লঙ্ঘনকারীদের তাদের পূর্ণ অধিকার পেতে সাহায্য করে।

তবে, তিনি সতর্ক করে বলেন, বর্ধিত সময়সীমার পরও যারা বসবাসের নিয়ম লঙ্ঘন করবেন, তাদের জন্য জরিমানা পুনর্বহাল করা হবে। আইসিপি আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে পরিদর্শন প্রচারণা জোরদার করার পরিকল্পনা করেছে এবং নো-এন্ট্রি তালিকায় লঙ্ঘনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

Header Ad

সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) রেজাউল করিম মল্লিক গেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা মামলা রয়েছে। শুক্রবার (১ নভেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। ২০১১ সালের উপনির্বাচনে প্রথমবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বার এবং ৭ জানুয়ারি ২০২৪ অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে পরাজিত করে টানা চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

নবম জাতীয় সংসদে তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মনোনীত হয়েছিলেন। এরপর দশম সংসদে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন তিনি।

উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ১৯৮৩ সালে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেন এবং ১৯৮৬ সালে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা শেখ হাসিনার একান্ত-সহকারী সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটিতে দুইবার সদস্য মনোনীত হন তিনি। বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সাবেক এ মন্ত্রী।

Header Ad

গুলিতে ঝাঁঝরা ছিল আবু সাঈদের বুক, ৬ বার পরিবর্তন করা হয় প্রতিবেদন: চিকিৎসক

ছবি: সংগৃহীত

রংপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেছেন, আবু সাঈদের বুক গুলিতে ঝাঁঝরা ছিল। সরকারের মন মতো প্রতিবেদন দিতে ঢাকা থেকেও তাকে হুমকি দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসে নবনিযুক্ত অধ্যক্ষ ডা. মাহফুজুর রহমানের অপসারণ ইস্যুতে চলমান বিক্ষোভের সময় ফরেনসিক প্রতিবেদন টেম্পারিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেন, আমাকে ঢাকা থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছে। বলা হয়, তুমি সরকারি চাকরি করে কীভাবে সরকারের বিপক্ষে এই রিপোর্ট দিতে পারো। চূড়ান্ত প্রতিবেদন যখন দিতে যাই, তার আগে ছয়বার প্রতিবেদন পরিবর্তন করানো হয়েছিল। সে সময় রংপুর মেডিকেলের ভাইস প্রিন্সিপাল মাহফুজার রহমান চার্জে ছিলেন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) নেতারা ছিলেন। পুলিশ প্রশাসনের লোকও ছিলেন। তাদের সামনেই আমাকে বাধ্য হয়ে প্রতিবেদনে স্বাক্ষর করতে হয়েছিল।

ডা. রাজিবুল ইসলাম বলেন, ওনারা (ডা. মাহফুজসহ উপস্থিত অন্যরা) চেয়েছিলেন আমি যেন হেড ইনজুরি দিয়ে ইউরেজোনিক শক দেখিয়ে দেই। কিন্তু আমি তাদের চাপের কাছে মাথা নত করিনি। আমার রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, দ্য ডেড ওয়াজ ডিউ টু অ্যাভোব মেনশন ইনজুরিস হুইচ ওয়াজ এন্টিমন্টেম অ্যান্ড হোমিসাইডাল।

তিনি বলেন, সবাই ভাবছে হেড ইনজুরির (মাথার আঘাত) কারণে আবু সাঈদ মারা গেছে। হেড ইনজুরি হলে সাধারণত ব্রেনে রক্তক্ষরণ থাকে। স্ক্যামবোল ফ্রাকচার থাকে। সাঈদের ক্ষেত্রে এগুলো কোনটাই ছিল না। আমি প্রচণ্ড চাপে ছিলাম। আমাকে নানাভাবে ভয় দেখানো হয়েছে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবৈধ প্রবাসীদের বৈধ হতে ২ মাস সুযোগ দিল আমিরাত
সাবেক গণপূর্তমন্ত্রী উবায়দুল মোকতাদির গ্রেপ্তার
গুলিতে ঝাঁঝরা ছিল আবু সাঈদের বুক, ৬ বার পরিবর্তন করা হয় প্রতিবেদন: চিকিৎসক
এসআইবিএল থেকে ‘এস আলমের নিয়োগ দেওয়া’ ৫৭৯ কর্মকর্তা চাকরিচ্যুত
ডিজেল-কেরোসিনের দাম কমল
প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশ, উত্তীর্ণ ৬৫৩১
সাফজয়ী নারী দলকে ১ কোটি টাকা পুরস্কার দিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর
সাফজয়ী মেয়েদের জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা বিসিবির
নির্বাচনে যেতে ১২ কোটি টাকার প্রস্তাব দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা: নুর
একুশে পদকপ্রাপ্ত অভিনেতা মাসুদ আলী খান মারা গেছেন
৩ বার নয়, বিসিএস পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে ৪ বার
ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি, দায়িত্ব পেলেন যারা
৩০০ কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ নওগাঁর ৮ সমবায় সমিতি!
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইনিংস ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ বাংলাদেশ
অন্য বিষয়ে নয়, নির্বাচনের দিকে ফোকাস রাখুন: সরকারকে মির্জা ফখরুল
ছাদখোলা বাসে সাফ চ্যাম্পিয়নদের যাত্রা শুরু
১৫ বছর পর পদ হারালেন চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি ফজলুল্লাহ
১৫৯ রানে অলআউট, ফলোঅনে পড়ে ব্যাট করছে বাংলাদেশ
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা বাতিল