চাচার মৃত্যুর শোকে মুহ্যমান ভাতিজাও চলে গেলেন না ফেরার দেশে
চাচার মৃত্যুর শোক সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে ভাতিজারও মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ঘটনাটি ঘটেছে বরগুনা পৌর শহরের কলেজ ব্রাঞ্চ সড়কে। এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরে বরগুনা শহরজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রয়াতরা হলেন- কলেজ ব্রাঞ্চ সড়কের প্রয়াত দেবেন্দ্র চন্দ্র রায়ের বড় ছেলে নির্মল রায় (৬৭) এবং তার আপন ভাতিজা প্রয়াত সতিশ চন্দ্র রায়ের বড় ছেলে জীবন কৃষ্ণ রায় (৫৮)।
জীবন কৃষ্ণ রায় শহরে দীর্ঘদিন ধরে দর্জির কাজ করতেন। আর তার ভাতিজা জীবন কৃষ্ণ রায় বরগুনা মৎস্য অফিসে কর্মরত ছিলেন।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, মাত্র ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে চাচা-ভাতিজার মৃত্যু হয়। এর মধ্যে চাচা জীবন কৃষ্ণ রায় শনিবার দিবাগত রাতে এবং নির্মল রায় রবিবার বিকালে মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, জীবন কৃষ্ণ রায় বিপত্নীক ও নিঃসন্তান ছিলেন। তাই ভাতিজা নির্মল রায়কেই তিনি নিজ সন্তানের মতো দেখতেন। ভাতিজা নির্মল রায়ও চাচা জীবন কৃষ্ণকে বাবার মতোই শ্রদ্ধা করতেন ও ভালোবাসতেন।
বরগুনা পৌরসভার প্যানেল মেয়র রাইসুল আলম রিপন জানান, শনিবার রাতে জীবনকৃষ্ণ রায় বার্ধক্যজনিত কারণে মারা যান। পরে রবিবার বিকালে নির্মল রায় চাচার মৃত্যুর শোকে অসুস্থ হয়ে মারা যান। রবিবার সন্ধ্যায় বরগুনা মহাশশ্মানে তাদের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
এমএ/এমএসপি