বরগুনায় বৃষ্টিতে শুটকি ব্যবসায়ীদের ক্ষতি ১০ লাখ টাকা
বরগুনায় বৃষ্টি ও বৈরী আবহাওয়ায় পাথরঘাটা ও তালতলী উপজেলায় প্রায় ১০ লাখ টাকার শুটকি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরেজমিনে রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে জেলার বিভিন্ন শুটকি পল্লীতে ঘুরলে এ তথ্য জানান শুটকি উৎপাদনকারী ও সংশ্লিষ্টরা।
পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের পদ্মা এলাকার শুটকি শ্রমিক মো. হারুন ও রুহিতা এলাকার জয়নাল মাঝি বলেন, শুটকি মাটিতে বিছিয়ে শুকায় থাকি। শুক্রবার রাতের বৃষ্টিতে সব শুটকি নষ্ট হয়ে গেছে। এখন মাছের আড়তদারের কাছে লোকসান গুনতে হবে।
তালতলীর আশার চরের শুটকি পল্লীর শুটকি উৎপাদনকারী আবদুর রব ও মো. হাসান বলেন, বৃষ্টির কারণে এবার লোকসান কাটিয়ে ওঠা দায় হয়ে যাবে।
সরকার আর্থিক সহযোগিতার ব্যবস্থা করলে পুনরায় ব্যবসা চালু করা যাবে বলে আশা চরের একাধিক শুটকি ব্যাবসায়ীদের।
পাথরঘাটা শুটকি আড়তদার রেজাউল করিম বলেন, আমার আড়তে ৫০ জনেরও বেশি শুটকি উৎপাদনের সঙ্গে জড়িত। এদের সকলের মাছ বৃষ্টিতে নষ্ট হয়ে গেছে। পাথরঘাটা ও তালতলী দুই উপজেলায় প্রায় ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ বলেন, পরবর্তী সময়ের শুটকি যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন যাদের শুটকি বৃষ্টিপাতের কারণে নষ্ট হয়েছে তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
একই কথা জানিয়ে তালতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাওছার হোসেন বলেন, যাদের কাঁচা শুটকি নষ্ট হয়ে গেছে পর্যায়ক্রমে তাদের উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ক্যাটাগরি অনুযায়ী আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।
পাথরঘাটা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, শুটকি বৃষ্টির পানিতে ভিজলে এর গুণগত মান নষ্ট হয়ে যায়। বাজারে এর চাহিদা থাকে না।
একই কথা বলেন বরগুনা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব। তিনি বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁচা শুটকিগুলো নষ্ট হয়েছে। তবে রোদের তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ক্ষতির পরিমাণ কিছুটা কম হয়েছে।
এমও/এসআইএইচ