তুলসীঘাটে পেট্রোল বোমা হামলা: ৭ বছরেও থামেনি স্বজনদের কান্না
রবিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) গাইবান্ধার তুলসীঘাটে যাত্রীবাহী বাসে ভয়াবহ পেট্রোল বোমা হামলার ৭ বছর পূর্ণ হলো। ২০১৫ সালের এই দিনে যাত্রীবাহী বাসে দুর্বৃত্তদের ছোড়া ভয়াবহ পেট্রোল বোমায় প্রাণ হারায় শিশুসহ আট নারী-পুরুষ।
বর্বরোচিত এ হামলার ঘটনায় বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের ৭৭ নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দেওয়া হলেও এখনও শেষ হয়নি বিচার কাজ।
তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, চার্জ গঠনের পর এ মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে। আগামী ১৪ মার্চ মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে। মামলার বিচারকাজ দ্রুতই শেষ করার আশা রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর।
২০১৫ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের ডাকা হরতাল-অবরোধের সময় গাইবান্ধা সদরের তুলশীঘাটের বুড়িরঘর এলাকায় রাতে ঢাকাগামী নাপু এন্টারপ্রাইজের একটি নৈশকোচে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে দুর্বৃত্তরা। বোমার আগুনে ঘটনাস্থলেই দগ্ধ হয়ে করুণ মৃত্যু হয় শিশুসহ ৬ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় দগ্ধ হয় শিশুসহ অন্তত ৩৫ যাত্রী।
বোমা হামলার ৭ বছর পার হলেও হামলার ভয়াবহ স্মৃতি ও স্বজন হারানোর বেদনা ভুলতে পারেননি অনেকেই। আহত অনেকেই শরীরে ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বেঁচে আছেন। তারা এখন করুণ ও মানবেতর জীবনযাপন করছেন।
ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারিভাবে সামান্য সহায়তা দেওয়া হলেও তাদের আর কেউ খোঁজ রাখেননি। জড়িতদের বিচার না হওয়ায় তীব্র ক্ষোভ এবং হতাশা বাড়ছে হতাহতদের স্বজনদের মাঝে। দ্রুত ঘটনার বিচার ও জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
এল/এমএসপি