তিস্তা ও অন্যান্য নদীর পানিতে রংপুরসহ ৫ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত
ছবি: সংগৃহীত
গত কয়েক দিনের অতিভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে, সেই সাথে অন্যান্য নদীর পানিও বেড়ে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানায়।
পাউবো’র নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, তিস্তা, ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানির স্তর বাড়ছে। তিস্তা নদীর পানির স্তর রংপুর জেলার কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে, তবে ধরলা এবং দুধকুমার নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে।
আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্যানুযায়ী, রংপুর বিভাগ এবং তার তৎসংলগ্ন উজানে (ভারতে) অতি ভারী বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে এসেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানির স্তর স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিনের মধ্যে পানি কমতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টায় লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম এবং গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন চরাঞ্চল এবং অন্যান্য নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে পরবর্তী দুই দিনে তিস্তা নদীর পানির স্তর বিপৎসীমার নিচে নেমে আসতে পারে এবং বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে।
রংপুর বিভাগের প্রধান নদীগুলোর মধ্যে আত্রাই, করতোয়া, পুনর্ভবা, ঘাঘট, ইছামতি-যমুনা এবং যমুনেশ্বরী নদীর পানি বাড়ছে, তবে টাঙ্গন নদীর পানি বিপৎসীমার নিচে নেমেছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় এই নদীগুলোর পানি স্তর স্থিতিশীল থাকতে পারে এবং পরবর্তী দুই দিনে কমতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র এবং যমুনা নদীর পানির স্তর বাড়লেও তা বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী দুই দিন ব্রহ্মপুত্র-যমুনার পানি স্তর বাড়তে পারে এবং তার পরবর্তী তিন দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে।
রাজশাহী বিভাগের গঙ্গা নদীর পানি কমছে, পদ্মার পানি স্থিতিশীল রয়েছে এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় গঙ্গা-পদ্মার পানির স্তর ধীরগতিতে কমতে পারে এবং পরবর্তী একদিন পানি স্তর স্থিতিশীল থাকতে পারে। তবে তিন দিন পর পানির স্তর বাড়তে পারে, তবে বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হবে।
সিলেট বিভাগের সুরমা নদীর পানি বাড়লেও কুশিয়ারা নদীর পানি স্থিতিশীল রয়েছে। এদিকে চট্টগ্রাম বিভাগের সাঙ্গু ও গোমতী নদীর পানি কমছে, তবে মুহুরী, ফেনী, হালদা ও মাতামুহুরীর পানি স্তর স্থিতিশীল রয়েছে।
আগামী দুই দিনে সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে কিছু নদীর পানি বাড়তে পারে, তবে তা বিপৎসীমার নিচ দিয়েই প্রবাহিত হবে।