বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫ | ৮ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ইউএনওর অফিস সহকারীর ১০ কোটি টাকার বাগানবাড়ি

১০ কোটি টাকার বাগানবাড়ি (ইনসটে: আব্দুল বারেক)। ছবি: সংগৃহীত

১৯০ শতাংশ জমিতে দ্বিতল ভবনসহ দৃষ্টিনন্দন বাগানবাড়ি বানিয়ে মানিকগঞ্জে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তৃতীয় শ্রেণির এক সরকারি কর্মচারী। নাম আব্দুল বারেক। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের অফিস সহকারী তিনি। তিনি কোটি কোটি টাকা খরচা করে বাগানবাড়ি বানিয়ে সেটির নাম দিয়েছেন ‘ক্ষণিকের নীড়’। ছোটপদে চাকরির অর্জিত টাকা দিয়ে এই আলিশান প্রাসাদ নির্মাণ করা নিয়ে এলাকায় প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার উকিয়ারা গ্রামের ইয়াছিন আলীর ছেলে আব্দুল বারেক। বাবা-মায়ের পারিবারিক কলহে তিনি ছোটবেলায় পড়াশোনা করেছেন সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি এতিমখানায়। বাবার সঙ্গে তার মায়ের বিচ্ছেদের পর দিয়ারা গোলড়া গ্রামে নানার বাড়ির পক্ষ থেকে ১৮ শতাংশ জমিতে তার মাকে দেয়া হয়েছিল একটি বাড়ি। ১৯৮৮ সালে আব্দুল বারেক দৌলতপুর ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যোগ দেন সার্টিফিকেট সহকারী হিসেবে। এরপর তিনি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে চাকরি করেছেন। অবসরের সন্ধিক্ষণে এসে তিনি মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় নির্বাহী অফিসারের অফিস সহকারী হিসেবে কর্মরত আছেন।

১০ কোটি টাকার বাগানবাড়ি। ছবি: সংগৃহীত

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলার জাগীর ইউনিয়নের দিয়ারা গোলড়া গ্রামে ১ একর ৯০ শতাংশের জমি ও স্থাপনাসহ ওই বাগানবাড়ির বাজারমূল্য কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা। এছাড়া তার নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে। তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারী সামান্য চাকরি করে এই অঢেল সম্পদের মালিক কীভাবে হলেন এর সঠিক তদন্ত দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

আব্দুল বারেকের মামা জালাল উদ্দিন জানান, সাড়ে তিন বিঘা জমিসহ বারেক ও তার মাকে নিয়ে এসে জালাল উদ্দিন তার নিজ এলাকায় ১৮ শতাংশ জমির ওপর একটি টিনের ঘর তৈরি করে দেন এবং বারেককে সাটুরিয়ার একটি এতিমখানায় রেখে পড়াশোনা করার ব্যবস্থা করে দেন।

তবে কিছুদিন পর পৈতৃক সূত্রে পাওয়া সাড়ে তিন বিঘা জমি বিক্রি করে দেন। সেই বারেক বাটোয়ারা মামলা দিয়ে তাদেরই হয়রানি করেছেন। এখন তিনি বিশাল বাগানবাড়ির মালিক।

দিয়ারা গ্রামের ফুলচাঁন জানান, বারেক তাদের এলাকায় যখন আসেন তখন মামার বাড়ির দেয়া বাড়ি ছাড়া কিছুই ছিল না তার। এতিমখানা থেকে পড়াশোনা করে তিনি ডিসি অফিসে ছোট চাকরি করতেন। মানুষের অর্থসম্পদ আত্মসাৎ ও দুর্নীতি করে তিনি এখন কোটি কোটি টাকার ধনসম্পদের মালিক হয়েছেন।

স্থানীয় আব্দুস ছাত্তার জানান, আব্দুল বারেক অবৈধভাবে জমি হাতিয়ে নেয়াসহ বিভিন্ন দুর্নীতির মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। তিনি এই চাকরির বেতনের টাকা দিয়ে সংসার চালানোর খরচ নির্বাহের পাশাপাশি লাখ লাখ টাকা দিয়ে পাঁচ মেয়েকে ঢাকায় পড়াশোনা করিয়েছেন। তৃতীয় শ্রেণির এই কর্মচারীর বেতন কত সেখানে ১০ কোটি টাকার বাগানবাড়িসহ অঢেল সম্পদের মালিক কীভাবে হলেন এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।

দিয়ারা গোলড়ার শরীফ জানান, বারেক ডিসি অফিসসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কেরানি থাকা অবস্থায় প্রশাসনের ছত্রছায়ায় নানা দুর্নীতি করেছেন। ১ একর ৯০ শতাংশের ওপর বিশাল বাগানবাড়ি করেছেন। যা মানিকগঞ্জের অন্য এমপি-মন্ত্রীদেরও নেই। কত টাকা উপার্জন করলে এই ধরনের এই বাড়ি নির্মাণ করা সম্ভব তা সহজেই অনুমেয়। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য বর্তমান সরকারের বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।

আব্দুল বারেক দাবি করেন, তার বিষয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সত্য নয়। তিনি মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ বিভিন্ন উপজেলায় নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অফিস সহকারী পদে সততার সঙ্গে চাকরি করেছেন। তার সম্পদের বিবরণী জমা দেয়া আছে।

মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন ঢালী গণমাধ্যমকে জানান, আব্দুল বারেক সম্প্রতি তাদের এখানে যোগদান করেছেন। কোনো দপ্তরে এ বিষয়ে অভিযোগ হলে তাদের তদন্ত কাজে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে। তিনি যে বেতন পান তা দিয়ে ১০ কোটি টাকার সম্পদ করা সম্ভব না। তবে অনেকেরই পারিবারিক সম্পদ থাকতে পারে। এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  

ছবিঃ সংগৃহীত

মৌলভীবাজারের রাজনগরে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা ফল (কমলা) দাম ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও নিলাম থেকে এই দামেই ফলগুলো কিনে নিয়েছেন এক প্রবাসী।

মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে রাজনগর উপজেলার কামারচাক ইউনিয়নের জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, মৌলভীবাজারের রাজনগরে জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল চলছিল। এসময় মাহফিলে দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা দান করেন এক ব্যক্তি। পরে ওয়াজ মাহফিল শেষে সেগুলো নিলামে তুলেন শায়খুল হাদীস মুফতি মুশাহিদ ক্বাসেমী। নিলামের একপর্যায়ে সর্বোচ্চ দাম হাঁকিয়ে ৫০ হাজার টাকা দিয়ে ফলগুলো কিনে নেন আরব আমিরাত প্রবাসী মাওলানা শরিফ আক্তার হুসাইন।

ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিলে অংশ গ্রহণকারী শ্রোতারা বলেন, মাহফিল শেষে দোয়ার আগে ফলগুলো নিলামে তোলা হয়। ২ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যারাই নিলামে অংশগ্রহণ করেছেন সবার উদ্দেশ্য হলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতা করা।

জামেয়া ইসলামিয়া মরিছা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা ফখরুল ইসলাম শাহীন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার বার্ষিক মহাসম্মেলন ফলগুলো দান করা হয়। পরে ফলগুলো নিলামে তোলা হলে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার

ছবি: সংগৃহীত

বাজারে খাদ্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ১০ লাখ মেট্রিক টন চাল ও গম আমদানির পরিকল্পনা করেছে। খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার জানিয়েছেন, বোরো মৌসুমের ফলনের ওপর আমদানির পরিমাণ নির্ভর করবে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভা শেষে তিনি এসব তথ্য দেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

বর্তমানে সরকারি মজুত ১৩ লাখ মেট্রিক টন, যার মধ্যে ৮.৮২ লাখ মেট্রিক টন চাল এবং ৩.৪১ লাখ মেট্রিক টন গম রয়েছে। খাদ্য উপদেষ্টা জানান, রাশিয়া ও ভারত থেকে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করা হবে। পাশাপাশি ভিয়েতনাম, পাকিস্তান এবং মিয়ানমার থেকেও চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাজারে চালের দাম কমানোর জন্য মোটা চালসহ মধ্যবিত্তের চালের দামে আরও হ্রাস আনার চেষ্টা করা হবে।

সরকারি মজুত বৃদ্ধি এবং বিতরণ ব্যবস্থাকে সচল রাখতে ৫০ হাজার টন আতপ চাল পাকিস্তান থেকে আমদানির প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রতি টন চালের দাম ৪৯৯ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। একইভাবে, ভারতের মেসার্স গুরুদিও এক্সপোর্টস করপোরেশন থেকে ৫০ হাজার টন নন-বাসমতী সেদ্ধ চাল আমদানি করা হবে। এ চালের মূল্য প্রতি টন ৪৫৪.১৪ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মোট ব্যয় ২৭৭ কোটি ২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।

সরকারের পাশাপাশি বেসরকারিভাবেও আমদানির উদ্যোগ নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৬ লাখ টন চাল আমদানির জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। ভারতের পাশাপাশি অন্যান্য দেশ থেকেও চাল আমদানির পরিকল্পনা রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  

ছবিঃ সংগৃহীত

কারখানা খুলে দেয়া ও ব্যাংকিং সুবিধা চালুর দাবীতে গাজীপুর মহানগরীর চক্রবর্তী এলাকার বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকদের বিক্ষোভণ-ভাঙচুরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক। এ সময় আন্দোলনরত শ্রমিকরা ৫টি যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকে আগুন দেয়। এছাড়াও অর্ধশতাধিক যানবাহন ভাঙচুর করে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন চক্রবর্তী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালাচ্ছে।

এর আগে, গতকাল মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে বেক্সিমকো গ্রুপের কয়েকটি কারখানার ৪২ হাজার শ্রমিক দাবী আদায়ে গণ সমাবেশ ঘোষণা করে। ওইদিন তারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। এ ঘটনার পর আজ বিকেল ৩টার দিকে সমাবেশ শুরু করেন। সমাবেশে শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে প্রথমে তারা চন্দ্রা নবীনগর সড়ক অবরোধ করে। যানবাহন ভাঙচুর শুরু করে ৫টি বাস ও ট্রাকে আগুন ধরিয়ে দেয়।

ইপিজেড ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে কর্মরত অফিসার জানান, আমাদের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরবর্তী খবর না আসা পর্যন্ত কিছু জানাতে পারবো না।

গাজীপুর শিল্প পুলিশ ২ এর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, চক্রবর্তী এলাকায় বেক্সিমকো গ্রুপের শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ সৃষ্টি করেছে। সেখানে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

এবার ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি হলো দুই হালি ডালিম ও এক হালি মাল্টা  
১০ লাখ মেট্রিক টন চাল-গম আমদানি করবে সরকার
চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক রণক্ষেত্র করলো বেক্সিমকোর শ্রমিকরা  
পরিচয় মিলেছে ঢাবি ক্যাম্পাসে গাছে ঝুলন্ত ব্যক্তির  
ছাত্রশিবির ও ছাত্রলীগকে জড়িয়ে প্রচার নিয়ে যা জানা গেল
ময়মনসিংহে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হৃদয় ও মাসুদ গ্রেপ্তার
শেখ হাসিনার ‘নিশি রাতের ভোট’ নিয়ে তদন্তে নামলো দুদক  
বইমেলা ঘিরে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে : ডিএমপি কমিশনার
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, নিউইয়র্কে গ্রেপ্তার ৪
ক্যালিফোর্নিয়ায় আবারও ভয়াবহ দাবানল    
চিটাগংকে উড়িয়ে তৃতীয় জয় তুলে নিলো ঢাকা ক্যাপিটালস
এক বছর ধরে গাঁজার গাছ রোপণ করে পরিচর্যা, অতঃপর আটক
ডেঙ্গুতে একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৩২
টাঙ্গাইলে স্বামী-স্ত্রীর মাদকের ব্যবসা, জনতার হাতে উদ্ধার ২০ লিটার মদ
নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও হাসিনার বিদ্বেষমূলক খবর প্রচার করলে আইনি ব্যবস্থা: চিফ প্রসিকিউটর  
এবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী সমন্বয়কের ওপর হামলা!
জাতিসংঘের মহাসচিবের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা সাক্ষাৎ
আগামী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না আওয়ামী লীগ
চলতি বছরই নির্বাচন চায় বিএনপি ও খেলাফত মজলিস
৮টি খাতে ভ্যাট হ্রাস, ৪টি খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার