বরিশালে শিশুর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
বরিশালে ৯ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ইয়াসিন নামের ওই শিক্ষার্থীর মরদেহ বরিশাল নগরীর রুপাতলি বসুন্ধরা হাউজিং এর ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) বরিশালে নিকট আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে হত্যার শিকার হয় ইয়াসিন। বরগুনার বুরামজুমদারে নিজ বাড়িতে দাদির সঙ্গে বসবাস করত ইয়াসিন। সেখানে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল ইয়াসিন।
আরও জানা যায়, ইয়াসিনের বাবা মো. ছগির (৪০) দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও দ্বিতীয় স্ত্রী মোসা. ফাতেমা। ছগিরের প্রথম স্ত্রীর সংসারে দুই সন্তান মিম আক্তার (১৩) ও ইয়াসিন (৯)। দ্বিতীয় স্ত্রীর সংসারেও দুই সন্তান মো. নয়ন (১৪) ও মেঘলা আক্তার (১৪)। ইয়াসিনের বাবা তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন। প্রথম স্ত্রী প্রবাসী, তিনি সৌদিআরবে থাকেন।
ইয়াসিনের দাদি শিরিন আক্তার জানান, গত সোমবার (৩১ জানুয়ারি) ঢাকা থেকে বরিশালে নাতি ইয়াসিনকে নিয়ে তার বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। পরে গত শুক্রবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার পর ইয়াসিন নিখোঁজ হয়।
তিনি আরও জানান, নিখোঁজের পর নগরীর বিভিন্ন স্থানে ইয়াসিনকে খোঁজার জন্য মাইকিং করা হয়। পরে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ ইয়াসিনের লাশ উদ্ধার করে।
ইয়াসিনের বাবা বলেন, 'আমি ঢাকায় সিএনজি চালাই। আমার কোনো শত্রু নাই। আমার ছেলেরে কে খুন করল? ইয়সিন রবিবার বরগুনা যাওয়ার কথা। মাদ্রাসায় ভর্তি হবে। ও ফোনে আমার কাছে টাকাও চাইছে। আমার ছেলের খুনের বিচার চাই আমি।'
এ বিষয়ে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিমুল করিম বলেন, 'নিঃসন্দেহে এটি একটি হত্যাকাণ্ড। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. আল-আমিন, শিরিন আক্তার ও ইমরান নামের তিন জনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
টিটি/