শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪ | ১৩ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

‘পুলিশের চাকরিকে ইবাদত মনে করি, এ কাজের মাধ্যমে জান্নাতে যেতে চাই’

যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলম। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের চাকরিকে ‘ইবাদত’ মনে করেন যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলম। তিনি বলেছেন, ‘এই চাকরিকে রুটি-রুজির পাশাপাশি আমার ইবাদত মনে করি। এই কাজের মাধ্যমে আমি জান্নাতে যেতে চাই।’

বুধবার (১০ জুলাই) বিকালে যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই কথা বলেন।

পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম বলেন, ‘আমাদের কাছে সন্ত্রাসীদের যে তালিকা আসবে, আমরা সেই তালিকা অনুযায়ী যাচাই-বাছাই করে কাজ করবো। সন্ত্রাসীদের কার রং কালো, কার রং সাদা সেটি বিবেচ্য হবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘সাংবাদিকরা হলেন সমাজের আয়না। পুলিশ ও সাংবাদিক একে অপরের সহায়ক। আমরা যশোরকে শান্তি ও স্বস্তির জেলায় পরিণত করতে পারি, যদি আপনারা আমাদের সহায়তা করেন। সাংবাদিকদের সহযোগিতা পেলে যশোরকে মাদক, সন্ত্রাস আর কিশোর গ্যাংমুক্ত করা সম্ভব।’

মতবিনিময়কালে বক্তব্য রাখছেন যশোরের নবাগত পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলম। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশ সুপার মো. মাসুদ আলম গত ৮ জুলাই যশোরে যোগদান করেছেন। এর আগে তিনি মাদারীপুরে দায়িত্ব পালন করেন।

এদিকে গত সোমবার (৮ জুলাই) পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাসুদ আলম যশোরে যোগদান করেন। পরদিন মঙ্গলবার ভোরে নিজে বাইসাইকেল চালিয়ে জেলা প্রশাসকের বাংলোয় যান। ওখানকার গার্ড তাকে জেলা প্রশাসকের অনুমতি ছাড়া ঢুকতে দেননি। পরে তিনি সেখান থেকে চলে আসেন জেল রোড ট্রাফিক অফিসে। এখানে ফটকে কাউকে না পেয়ে তিনি চলে যান চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়িতে। সেখানে পুলিশ ফাঁড়ির গেট দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে গেট ঝাকাঝাকি করেন। কিন্তু কেউ গেট খুলতে আসেননি।

এরপর তিনি যান কোতোয়ালি মডেল থানায়। সেখানে তিনি পরিচয় গোপন রেখে কোতোয়ালি মডেল থানায় ডিউটি অফিসারের কক্ষে যান। মোবাইল হারিয়ে গেছে জানিয়ে ডিউটি অফিসারের কাছে জিডি করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। একপর্যায়ে ডিউটি অফিসার একজনকে দেখিয়ে দিয়ে বলেন, জিডি করতে হলে ৫০০ টাকা লাগবে। টাকা না দেওয়ায় তিনি জিডি করতে পারেননি।

পরে তিনি মোটরসাইকেলে চলে যান পুলিশ লাইনে। গেটে কর্মরত কনস্টেবল তাকে দাঁড় করান এবং ব্যারাকে কার সাথে দেখা করবেন তা জানতে চান। তখন ছদ্মবেশী পুলিশ সুপার ওই কনস্টেবলকে বলেন, ব্যারাকে কামাল নামে এক বন্ধু আছে। তার সাথে দেখা করতে চাই। তখন কনস্টেবল গার্ড তাকে ভেতরে যাওয়ার অনুমতি দেন। কনস্টেবলদের ব্যারাকের তিনতলায় গিয়ে তিনি সবার সাথে খিচুড়ি খান এবং অনেকের সাথে আলাপ করেন।

বুধবার বিকেলে যশোর জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই ছদ্মবেশি অভিযানের বিষয়টিও উঠে আসে। অভিযানের বিষয়টি স্বীকারও করেন তিনি।

মতবিনিময় সভায় প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, সাবেক সভাপতি একরাম- উদ- দ্দৌলা, জেলা সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন, প্রেসক্লাব যশোরের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান, মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার নূর ইসলাম, সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে আকরামুজ্জামান ও এসএম ফরহাদ, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যথাক্রমে মনোতোষ বসু ও এইচ আর তুহিন, ডিবিসি টিভির স্টাফ রিপোর্টার সাকিরুল কবীর রিটন, সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার জুয়েল মৃধা, বাংলা ট্রিবিউনের তৌহিদ জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Header Ad
Header Ad

সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেপ্তার

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সাদপন্থি শীর্ষ নেতা মাওলানা জিয়া বিন কাসেমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ শুরায়ী নেজামের মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান।

তিনি জানান, সাদপন্থি কর্তৃক টঙ্গীতে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড জিয়া বিন কাসেমকে চট্টগ্রাম ডবলমুরিং এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বর্তমানে তাকে পুলিশের গাড়িতে করে টঙ্গী পশ্চিম থানায় নিয়ে আসা হচ্ছে।

গত ২০ ডিসেম্বর থেকে ইজতেমা মাঠে মাওলানা সাদের অনুসারী মুসল্লিরা পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালন করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু মাওলানা জুবায়ের অনুসারীরা সাদপন্থিদের মাঠে জোড় পালন করতে দেবেন না বলে ঘোষণা দেয়। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে ১৮ ডিসেম্বর ভোরের দিকে উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে শুরায়ী নেজামের চারজন নিহত ও শতাধিক মুসল্লি আহত হন।

সংঘর্ষের পর গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে ময়দানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে পুলিশের গণবিজ্ঞপ্তি জারির পর সাদ অনুসারীরা ইজতেমা মাঠ ত্যাগ করেন।

Header Ad
Header Ad

আমাদের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ছবি: সংগৃহীত

আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের তিনটি প্রধান কাজ হচ্ছে—গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন। আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা।

শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে (কেআইবি) ফোরাম ফর বাংলাদেশ স্টাডিজ (এফবিএস) আয়োজিত গুম-খুন থেকে গণহত্যার বিচার চ্যালেঞ্জ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

আসিফ নজরুল বলেন, এই সরকারের আইন উপদেষ্টা হিসেবে আমার প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার করা।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক ছিল না, তদন্ত কর্মকর্তা ছিল না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যে প্রসিকিউশন টিম করা হয়েছে। তড়িঘড়ি করে বিচার করে বিচারকে প্রশ্নের মুখে ফেলা যাবে না। বিচার নিয়ে কোনো গাফিলতি হবে না, নিশ্চিত করে বলতে চাই। বিচার প্রক্রিয়ায় কোনো দেরি হচ্ছে না।

এ সময় আসামিদের হাতকড়া পরানো নিয়েও কথা বলেন উপদেষ্টা।

তিনি বলেন, মামলার শুনানির সময় ও আসামিদের হাতকড়া না পরানো নিয়ে এখন সমালোচনা হচ্ছে। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের সময় আসামিদের আইনজীবী যিনি ছিলেন, তিনি বলেছেন শুনানির জন্য সে সময় ৩ মাস দেওয়া হয়েছিল। এখন শুধু ১ মাস দেওয়া হয়েছে। তখন আসামিদের কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি, এখনও আসামিদের হাতকড়া পরানো হচ্ছে না।

Header Ad
Header Ad

ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে না: ইকোনমিক টাইমস

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে,অন্তর্বর্তী সরকারের আনুষ্ঠানিক অনুরোধ সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেবে না ভারত।

ইকোনমিক টাইমস আরো জানায়,ভূ-রাজনৈতিক কারণ বিবেচনায় তারা হাসিনাকে ফেরত দেবে না। ভারত তার ঘনিষ্ঠ মিত্র শেখ হাসিনাকে বিসর্জন দেবে না।ভারত মনে করে এই প্রত্যর্পণে রাজি হলে প্রতিবেশী মিত্রদের কাছে ভুল বার্তা পৌঁছাবে।

উচ্চপর্যায়ের সূত্রের বরাত দিয়ে পত্রিকাটি আরো বলেছে, বাংলাদেশের বর্তমান মুহাম্মদ ইউনুস সরকারের চাপ থাকা সত্ত্বেও এই বিষয়ে দ্রুত কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না ভারত। অনুরোধটি তারা সতর্কতার সঙ্গে পর্যালোচনা করবে এবং এতে কয়েক মাস সময় লেগে যেতে পারে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, শেখ হাসিনা ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছেন, উগ্রপন্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন এবং ভারতের সঙ্গে উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়িয়েছেন। এই বিবেচনায় পর্যালোচনায় সময় নেবেন তারা। তাছাড়া ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুযায়ী, রাজনৈতিক ধরনের অনুরোধগুলো কার্যকর করার সুযোগও নেই।

সূত্রগুলো মনে করে, বর্তমান পরিস্থিতিতে যদি শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ফেরেন, তা হলে তার জন্য একটি অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। যার কারণে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ইস্যুটি জটিল এবং সময়সাপেক্ষ বলে বিবেচিত হচ্ছে। ভারত দাবি করে দেশটির অতিথি গ্রহণের ক্ষেত্রে একটি দীর্ঘ ঐতিহ্য রয়েছে, যার মধ্যে তিব্বতী বৌদ্ধদের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামাও অন্তর্ভুক্ত।

উল্লেখ্য ভারতে হাসিনার নির্বাসন এটিই প্রথমবার নয়। ১৯৭৫ সালে তার পিতার হত্যার পর তিনি এখানে নির্বাসিত ছিলেন। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, পুনরায় রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ফেরার চেষ্টায় থাকা আওয়ামী লীগের মনোবল বাড়াবে ভারতে হাসিনার উপস্থিতি।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সাদপন্থি শীর্ষ নেতা জিয়া বিন কাসিমকে গ্রেপ্তার
আমাদের প্রধান কাজ গণহত্যার বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন: আইন উপদেষ্টা
ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত দিবে না: ইকোনমিক টাইমস
গানের ভিডিওতে এবার একসাথে দেখা যাবে শাকিব-সিয়াম ও মিমসহ একঝাঁক তারকাকে
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দামের পেজ থেকে সমন্বয়কদের হুমকি!  
জামায়াতে ইসলামীকে নাম পরিবর্তনের পরামর্শ ফরহাদ মজহারের  
দুদকের জালে খোদ দুদকের সদ্য সাবেক কমিশনার
পুড়িয়ে দেওয়ার আগেই দুই ট্রাক নথিপত্র আটক করলো জনতা  
নওগাঁ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে ফিরে যেতে চাই: উপাচার্য হাছানাত আলী
সচিবালয় ছিল দালালদের হাটবাজার: ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি
সচিবালয়ে সাংবাদিক প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা সাময়িক: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
অর্থপাচারের ফাইল নষ্ট করতেই সচিবালয়ে আগুন দেয়া হয়েছে: রিজভী
ইউপি সদস্যকে ধর্ষণ, পরে মুখে বিষ ঢেলে হত্যা!
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে প্রেম, অতঃপর বিয়ে
ঐক্যবদ্ধ না হলে পরাশক্তিরা মাথায় কাঁঠাল ভেঙে খাবে: আজহারী
মোজাম্বিকে কারাগারে দাঙ্গায় ৩৩ জন নিহত, পালিয়েছে অন্তত ৬ হাজার বন্দি
আজ বন্ধুকে কল করার দিন
নাগরিক কমিটির ৩৬ সদস্য বিশিষ্ট নির্বাহী কমিটি ঘোষণা
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরো ৩৭ জন নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরল ৬ বাংলাদেশি জেলে