‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনকারী পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ নামক সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।
বক্তারা বলেন, এই হামলা একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের উদাহরণ। তারা অভিযোগ করেন যে, ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ একটি উগ্রবাদী সংগঠন, যা অন্যায়ভাবে এই হামলার মাধ্যমে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছে। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, এই হামলা দেশের সংবিধানিক মূল চেতনার বিরোধী। তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধানের সমালোচনা করে বলেন, এতে দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর অধিকার স্বীকৃত হয়নি।
নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং মুখপাত্র সারজিস আলম হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হামলা প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ভুঁইফোড় সংগঠনগুলো ছাত্রলীগের মতো আচরণ করছে এবং হামলাকারীদের রক্ষায় ট্যাগিংয়ের রাজনীতি করা হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে জাতিগত শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, মতবিরোধ থাকলে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে তা নিরসন করা উচিত। এসময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জাতিগত বিভাজনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মেহরাব সিফাত, রিফাত রশিদ, লুৎফর রহমান, আবদুল হান্নান মাসুদসহ অনেকে। তারা সবাই অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।