মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ | ১৮ আষাঢ় ১৪৩১
Dhaka Prokash

ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত মতিউরের স্ত্রী লাকী প্রকাশ্যে এলেন ১৪ দিন পর

ছবি: সংগৃহীত

ছাগলকাণ্ডে বিতর্কিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানের স্ত্রী ও নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকীর দেখা মিলেছে। দীর্ঘ ১৪দিন পর তার কার্যালয়ে জনসম্মুখে এলেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ে আসন্ন এসএসসি পরীক্ষা এবং বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট সম্পর্কিত দুটি প্রস্তুতি সভায় অংশ নেন তিনি।

এ সময় কার্যালয়ের বাইরে লাকীর বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক উপস্থিত ছিলেন। সভা শেষে বের হলেও সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তিনি।

জানা যায়, ছাগলকাণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর থেকে রায়পুরার উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে কার্যালয় অথবা বাড়ি বা তার পার্কে কোথাও দেখা যায়নি। ফোন করেও পাওয়া যায়নি, এমনকি তিনি কোথায় ছিলেন, তা-ও কেউ বলতে পারেনি। কোনো ছুটি না নিলেও ঈদের পর লায়লা কানিজ লাকি কার্যালয়ে যাননি। তিনি সর্বশেষ ঈদুল আজহার দুদিন আগে অফিস করেছিলেন।

এর আগে ঈদুল আজহার তিন দিন আগে (১৩ জুন) সর্বশেষ অফিস করেছেন লায়লা কানিজ লাকী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকী। ছাগলকাণ্ডের পর থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান লায়লা কানিজ লাকী জনসম্মুখে আসেননি। বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাকে। তার স্বামীর পর তার সম্পদের উৎস নিয়েও নানা গুঞ্জন ওঠে। এরই মধ্যে গতকাল বুধবার (২৬ জুন) উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সঙ্গে একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে চেয়ারম্যান ও তার সমর্থকরা। পরে আজও সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান এই জনপ্রতিনিধি।

সরকারি তিতুমীর কলেজের সহযোগী অধ্যাপকের চাকরি ছেড়ে ২০২২ সালে রাজনীতিতে এসেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান হন লায়লা কানিজ লাকী। আছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে। ছাগলকাণ্ডের পর তার নামে থাকা সম্পদ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। লায়লা কানিজের বাবা কফিল উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন একজন খাদ্য কর্মকর্তা।

Header Ad

সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

ফাইল ছবি

সরকারি কর্মচারী (আচরণ বিধিমালা) অনুসারে প্রতি বছর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিবরণী দাখিল ও প্রকাশ সংক্রান্ত বিধিমালা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিধিমালা বাস্তবায়নে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে এ বিষয়ে ৩ মাসের মধ্যে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানিতে বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী এবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদেশের আগে হাইকোর্ট বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে যে হারে দুর্নীতির খবর দেখা যাচ্ছে, তাতে বিস্মিত হয়ে পড়ছি আমরা। দুর্নীতি উন্নয়ন ও সুশাসনের অন্তরায়, তাই যেকোনো মূল্যে এটি থামাতেই হবে। শুধু সরকার নয়, জনগণকেও দুর্নীতির বিরুদ্ধে দাঁড়াতে হবে এবং আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এর বিরুদ্ধে ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তুলতে হবে।

আদালত আরও বলেন, সোনার মানুষ তৈরি করলে সোনার দেশ গড়া যাবে। সরকার একাই এটি রোধ করতে পারবে তা নয়; সবাইকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। শুধু বড় বড় কথা বললে হবে না, কাজ করে দেখাতে হবে।

এর আগে গতকাল সোমবার (১ জুলাই) হাইকোর্টের এ বেঞ্চে দুর্নীতি রোধে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস। এতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, দুদক চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ ১০ জনকে বিবাদী করেন তিনি।

ঘুমের কারণে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারেননি তাসকিন!

তাসকিন আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

দাপটের সঙ্গে খেলেই সদ্য সমাপ্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার এইটে জায়গা করে নেয় টাইগাররা। তবে সেখানে পুরাই ব্যর্থ ছিল বাংলাদেশ দল। সুপার এইটে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাত্র দুইজন পেসার নিয়ে মাঠে নামে হাথুরুসিংহের শিষ্যরা। যেখানে অনুপস্থিত ছিলেন দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ও সহ-অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ।

ভারতের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপের বিপক্ষে একাদশে তাসকিন আহমেদের মতো দ্রুতগতির বোলার না দেখে অবাক হয়েছিলেন অনেকেই। সেসময় বিস্তারিত কিছু না জানা গেলেও সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর এক খবর সামনে এসেছে। গণমাধ্যমে দাবি করা হয়, ম্যাচের দিন বেশ দেরিতে ঘুম থেকে উঠায় টিম বাস মিস করেছেন টাইগার তারকা এই পেসার। যে কারণে পরে তাকে ছাড়াই একাদশ সাজাতে বাধ্য হয় টিম টাইগার্স!

টি-টোয়েন্টি দলের সহ-অধিনায়ক তাসকিন নিজের ভুলের জন্য নাকি সতীর্থদের কাছে ক্ষমাও চেয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির একজন কর্মকর্তা ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট 'ক্রিকবাজ'কে নিশ্চিত করেছেন এই খবর।

ভারতের বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাত্র দুই পেসার নিয়ে একাদশ সাজানো এবং তাসকিনের বাদ পড়া নিয়ে সে সময় অনেকের কাছেই খটকা লেগেছিল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, হঠাৎ কি এমন হলো, যার কারণ তাসকিন খেলছেন না।

উল্লেখ্য, ওই ম্যাচে তার তার পরিবর্তে দলে সুযোগ পান জাকের আলি অনিক। তারকা পেসারকে বসিয়ে রেখে বাড়তি ব্যাটার নিয়ে খেলার টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা হয়।

আইসিসির প্রোটোকল অনুযায়ী ম্যাচের দিন একটা নির্দিষ্ট সময়ে টিম হোটেল থেকে বাস ছাড়তে হয়। তাসকিনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে তাকে রেখেই ছেড়ে দেওয়া হয় টিম বাস। একজন স্টাফকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তাসকিনকে মাঠে নিয়ে যেতে। পরে তিনিই এই পেসার নিয়ে মাঠে যান। তবে একাদশে আর রাখা হয়নি বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ককে। তবে একাদশে আর রাখা হয়নি বাংলাদেশ দলের সহ-অধিনায়ককে।

গুঞ্জন আছে, চন্ডিকা হাথুরুসিংহে নাকি তাসকিনকে একাদশে রাখতে রাজি হননি। যদিও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির ওই কর্মকর্তা তেমনটা মানতে নারাজ।

তিনি বলেন, ‘এটা সত্য যে, টিম বাস মিস করার পরও তাসকিন পরে দলের সঙ্গে যোগ দেয়। তবে সে কেন খেলেনি, সেটি কোচ বলতে পারবেন। হেড কোচই ভালো বলতে পারবেন, তাসকিন কি ওই ম্যাচে তার পরিকল্পনায় ছিল কিনা।’

বিসিবির ওই কর্তা যোগ করেন, ‘যদি কোনো ঝামেলা থাকতো (কোচ ও খেলোয়াড়ের), তবে তো আফগানিস্তানের বিপক্ষে পরের ম্যাচে সে (তাসকিন) খেলতো না। সে সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। যে কারও এমন হতেই পারে। এটা ইস্যু বানানোর মতো কিছু নয়।’

এই বিষয়ে বাংলাদেশ দলের হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এদিকে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে খেলতে যাওয়ায় যোগাযোগ করা যায়নি তাসকিনের সঙ্গে।

ছাত্রলীগ নেতার পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে কাউন্সিলর পুত্র আটক

ছাত্রলীগ নেতা মো. শহীদুজ্জামান বিল্পব ও আটক শামীম আহম্মেদ তুষার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্নাস চতুর্থ বর্ষের পরিক্ষায় কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটকের পর এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

সোমবার (১ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। টানা ৮দিন প্রক্সি দেওয়ার পর নবমতম পরীক্ষার দিনে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শনাক্ত হয় ওই ভুয়া পরীক্ষার্থী। অভিযোগ উঠেছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলারও।

দণ্ডপ্রাপ্ত শামীম আহম্মেদ তুষার জীবননগর পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইসলামপুর গ্রামের মো. খোকনের পুত্র এবং যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অর্নাস তৃতীয় বর্ষের ছাত্র।

ছাত্রলীগ নেতা মো. শহীদুজ্জামান বিল্পব। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

জানা গেছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা গ্রহণের কেন্দ্র চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজে। এই কেন্দ্রে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। এ পরিক্ষায় অংশ নেয় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের ইতিহাস বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী ও জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান। মো. শহীদুজ্জামান বিল্পবের পিতাও কাউন্সিলর। মো. শহীদুজ্জামান বিল্পব পিতা আবুল কাশেম জীবননগর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর। শহীদুজ্জামান বিল্পবের অনার্স চতুর্থ বর্ষের রোল নং ২০২৮১৭৭ ও নিবন্ধন নং ১৮২১৫০৩৯৪২৬। কিন্তু তার পরিবর্তে আগের টানা আটটি পরীক্ষাসহ সোমবারে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাটিও দিচ্ছিলেন ভুয়া পরীক্ষার্থী শামীম আহম্মেদ তুষার।

আটক ভুয়া পরীক্ষার্থী শামীম আহম্মেদ তুষার। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষার হলে উপস্থিত হন জেলা কালেক্টরেটের সহকারী কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুমাইয়া জাহান নাঈমা। সেখানে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে পাবলিক পরীক্ষাসমূহ (অপরাধ) আইন, ১৯৮০-এর ৩ ধারা অনুযায়ী ভুয়া পরীক্ষার্থীকে এক বছরের জেল প্রদান করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সহকারী কমিশনার সুমাইয়া জাহান নাঈমা বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে জেল-জরিমানা করা হয়েছে। আর যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাঁকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তাঁর ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কলেজ কর্তৃপক্ষ নিবেন।’

তিনি আরও জানান, গোপন খবর পেয়ে আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করেন। তার কথাও প্রথম দিকে দৃঢ় কণ্ঠে ছিল। পরীক্ষার্থীর পিতার নাম্বার চাওয়া হলে, ভুয়া পরীক্ষার্থী আসল পরীক্ষার্থীর নাম্বার প্রদান করেন। তার সাথে কথা বলেই আরও বেশি সন্দেহ হয়। তিনি যে ওই পরীক্ষার্থীর পিতা নন, সেটি কথা শুনেই স্পষ্ট মনে হচ্ছিলো। তারপর ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করায় দুজনের কথার মিল পাওয়া যায় না। পরবর্তীতে ভুয়া পরীক্ষার্থী স্বীকার করেন। এছাড়াও তার কাছে একটি মুঠোফোনও পাওয়া যায়।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরিক্ষায় ২১৫ নম্বর কক্ষে ইতিহাস বিভাগের শহীদুজ্জামান নামের এক পরীক্ষার্থীর পক্ষে শামীম আহম্মেদ তুষার নামে একজন প্রক্সি দিচ্ছিলেন। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষা চলাকালে তাকে শনাক্ত করে। এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক বছরের সাজা প্রদান করেন। ইতোমধ্যে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ মূল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছি। এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রেরণ করেছি।

পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থী কীভাবে মুঠোফোন নিয়ে প্রবেশ করলো, এমন প্রশ্নের উত্তরে এই শিক্ষক বলেন, এসব কথা লেখার প্রয়োজন নেই।

তবে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে আটটি পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার ব্যাপারটি ছড়িয়ে পড়লে সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের পরীক্ষা সংক্রান্ত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্যে একজন চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীর টানা আটদিন প্রক্সি পরীক্ষা দেয়া এবং নবম দিনে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শনাক্ত সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলেছে। সচেতন মহলের মানুষ বলছেন, একজন ভুয়া পরীক্ষার্থী নবম দিনে শনাক্ত হচ্ছে, তাও আবার তার কাছে মোবাইল ছিল। কেন্দ্রের মধ্যে মোবাইল নিয়ে প্রবেশের বিষয়েও প্রশ্ন উঠছে জনমনে। ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার তীব্র নিন্দা চলছে। দাবি উঠেছে, কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার।

তবে চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজেরও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, কলেজের সিনিয়র শিক্ষক এটি জানতেন। তাছাড়া ছাত্রলীগ নেতা সেটাও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানতেন। তবে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সময় এটি কেউ বলেননি।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সদ্য সাবেক (কমিটি নেই) সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ বলেন, শহীদুজ্জামান বিল্পব জীবননগর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। প্রায় সাত বছর আগে কমিটি হয়েছে। ও পরবর্তীতে বোধহয় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে ভর্তি হয়েছে।

জীবননগর পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মো. শহীদুজ্জামান বিপ্লবের পিতা আবুল কাশেম বলেন, আমি অত শিক্ষিত না। আমার ছেলে কি করেছে সেটা আমি জানতাম না। জানলে তো তাকে এই কাজ করতে দিতাম না।

জীবননগর পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. খোকন তুষারের পিতা নিশ্চিত করলেও এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হননি।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনার আরও গভীর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

সর্বশেষ সংবাদ

সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঘুমের কারণে বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারেননি তাসকিন!
ছাত্রলীগ নেতার পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে এসে কাউন্সিলর পুত্র আটক
ফুলছড়িতে বজ্রপাতে এক যুবকের মৃত্যু
রূপগঞ্জে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে বাড়ি ঘিরে রেখেছে এটিইউ
ছাগলকাণ্ডে মতিউর-ফয়সালের পর ফাঁসছেন এনবিআরের আরেক কর্মকর্তা
একদিনে যমুনায় পানি বাড়ল ৩৩ সেন্টিমিটার
পায়রার তীরে ভাসছে মাথাবিহীন ২৫ ফুট লম্বা তিমির মরদেহ
চার বছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এলো জুনে
আলোচিত ১৫ লাখের সেই ছাগল মিলল সাভারে
গাজা থেকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাল ‘ইসলামিক জিহাদ’
পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদনে ফিরলো পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র
বেলজিয়ামকে হারিয়ে কোয়ার্টার-ফাইনালে ফ্রান্স
এলপিজির নতুন দাম নির্ধারণ আজ
দেশের চার সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত
স্লোভেনিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পর্তুগাল
হত্যাচেষ্টা ও চুরির মামলায় চিত্রনায়িকা ববির জামিন
দুর্নীতিবাজদের জন্য সহানুভূতি নয়: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
পদ্মা সেতু পরিচালনায় যুক্ত হচ্ছে নতুন কোম্পানি
বিদেশের কারাগারে বন্দি সাড়ে ১১ হাজার বাংলাদেশি : সংসদে পররাষ্ট্রমন্ত্রী