কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল
কোম্পানীগঞ্জে ২ গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের মামলা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে সাত পুলিশ সদস্য আহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাজ্জাদ রোমন।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.সাজ্জাদ রোমন জানান, বুধবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। দুই পক্ষের সমর্থকদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ দুই পক্ষকে বামনী বাজার থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে ওসিসহ সাতজন পুলিশ সদস্য আহত হন।
এর আগে বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার উল্যাহকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় কাদের মির্জার ভাগনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজিস সালেকিন রিমনের সমর্থকরা ঝাড়ু মিছিল করেন। ঝাড়ু মিছিল শেষে বিক্ষোভ সমাবেশ করলে পুলিশ বাধা দেয়। পরে দুপক্ষের সংঘর্ষে ওসিসহ সাতজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপের দ্বন্দ্ব।
ভুক্তভোগী আনছার উল্লাহর অভিযোগ বুধবার দুপুরের দিকে তিনি বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আমেরিকা প্রবাসী মরহুম দর্জি ওবায়দুল হকের কুলখানি অনুষ্ঠানে যান। এ সময় ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। তিনি তাকে ওই অনুষ্ঠানে আসতে দেখে বসা থেকে উঠে অন্য একটি জায়গায় গিয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
আনছার উল্লাহ বলেন, কিছুক্ষণ পর উঠে এসে কাদের মির্জা আমাকে ভোট চুরির অভিযোগ তুলে মুখে থাপ্পড় মারেন। থাপ্পড়ের সঙ্গে সঙ্গে আমার চোখের চশমা চোখ থেকে খুলে মাটিতে পড়ে যায়। এরপর আমাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। এরপর আরো উত্তেজিত হয়ে আবার আমাকে আরেক থাপ্পড় দিয়ে আমার চাদর খুলে ফেলে দেন।
এ বিষয়ে কাদের মির্জার ভাগনে রামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী সিরাজিস সালেকিন রিমন বলেন, আমার ভোট করায় উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আনছার উল্লাহকে মারধর করেন কাদের মির্জা। এ ঘটনা শুনতে পেয়ে তাৎক্ষণিক আমি তাকে দেখতে যাই। ভুক্তভোগী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ ঘটনায় আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। আমার সমর্থককে মারধর করায় সন্ধ্যায় রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে ঝাড়ু মিছিল হয়েছে।
বুধবার দুপুর ২টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চরকাঁকড়া গ্রামের মরহুম দর্জি ওবায়দুল হকের বাড়িতে কুলখানি অনুষ্ঠানে এ বিএনপি নেতা ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনছার উল্লাহকে মারধর করার অভিযোগ উঠে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে রামপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এসএন