বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ | ১ মাঘ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

১৪০টি ঘুমের ওষুধ খেয়ে পুলিশ কনস্টেবলের আত্মহত্যা

কনস্টেবলের রুবেল মিয়া। ছবি: সংগৃহীত

পারিবারিক কলহে নেত্রকোনা মডেল থানায় কর্মরত এক পুলিশ সদস্য ১৪০টি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে মারা গেছেন। জানা গেছে, ওই কনস্টেবলের নাম রুবেল মিয়া (২৮)।

জানা গেছে, রবিবার (৯ জুন) রাতে তিনি ওই থানার ব্যারাকে ট্যাবলেট খাওয়ার পর অসুস্থ হলে তাকে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে তাকে জরুরি ভাবে নেওয়া হয়। সেখান থেকে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সোমবার (১০ জুন) বিকেলে তিনি মারা যান।

রুবেল মিয়া ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের ছেলে। তিনি নেত্রকোণা শহরের কোর্ট স্টেশন এলাকায় তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার ও দুই সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গত সপ্তাহে পরিবার বাড়িতে চলে যাওয়ার পর থানা ব্যারাকে থাকতেন।

মঙ্গলবার (১১ জুন) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোণার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ সদস্য বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো দায়িত্ব পালন শেষে রুবেল মিয়া রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানার মেসে রাতের খাবার খান। এরপর তিনি তার ফেসবুক আইডিতে ‘দ্য এন্ড’ লিখে স্ট্যাটাস দেন। রাত ১২টার দিকে তার ছোট ভাই স্ট্যাটাসটি দেখতে পেয়ে ৯৯৯ এ কল করে জানান। এরপর কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করে। ঘটনার জানার পর নেত্রকোণা মডেল থানা পুলিশ তাকে প্রথমে নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর তাকে ময়মনসিংহের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় সোমবার বিকেল ৫ টার দিকে রুবেল মিয়া মারা যান।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ লুৎফুর রহমান বলেন, ‘কনস্টেবল রুবেল মিয়া ৮ বছর ৬ মাস ২৯ দিন আগে পুলিশে যোগদান করে। নেত্রকোণা মডেল থানায় ১ বছর ৬ মাস আগে যোগদান করে। পারিবারিক কলহের কারণে সে অতিরিক্ত ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ময়মনসিংহে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে মারা যায়।’

Header Ad
Header Ad

‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির দাবিকারীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি বৈষম্যবিরোধীদের

ছবি: সংগৃহীত

‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনকারী পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ নামক সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা। তারা দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

বক্তারা বলেন, এই হামলা একটি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের উদাহরণ। তারা অভিযোগ করেন যে, ‘স্টুডেন্ট ফর সভেরেন্টি’ একটি উগ্রবাদী সংগঠন, যা অন্যায়ভাবে এই হামলার মাধ্যমে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন দমনের চেষ্টা করছে। নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী বলেন, এই হামলা দেশের সংবিধানিক মূল চেতনার বিরোধী। তিনি ১৯৭২ সালের সংবিধানের সমালোচনা করে বলেন, এতে দেশের সব জাতিগোষ্ঠীর অধিকার স্বীকৃত হয়নি।

নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন এবং মুখপাত্র সারজিস আলম হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তাদের বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো হামলা প্রতিরোধে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়নি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ভুঁইফোড় সংগঠনগুলো ছাত্রলীগের মতো আচরণ করছে এবং হামলাকারীদের রক্ষায় ট্যাগিংয়ের রাজনীতি করা হচ্ছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল ও মুখপাত্র উমামা ফাতেমা শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকে জাতিগত শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হিসেবে উল্লেখ করেন। তারা বলেন, মতবিরোধ থাকলে আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে তা নিরসন করা উচিত। এসময় বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা জাতিগত বিভাজনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা মেহরাব সিফাত, রিফাত রশিদ, লুৎফর রহমান, আবদুল হান্নান মাসুদসহ অনেকে। তারা সবাই অবিলম্বে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

Header Ad
Header Ad

পাঁচ মামলায় গ্রেফতার সাবেক এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভীকে চট্টগ্রামের চার থানার পাঁচটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বুধবার এসব মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে সকালে তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পৃথক চারটি আদালতে হাজির করা হয়।

পাঁচলাইশ থানার একটি মামলার শুনানি হয় অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সরকার হাসান শাহরিয়ারের আদালতে। ডবলমুরিং থানার একটি মামলার শুনানি করেন প্রথম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু বকর সিদ্দিক। চান্দগাঁও থানার দুটি মামলার শুনানি হয় চতুর্থ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোস্তফার আদালতে এবং কোতোয়ালী থানার একটি মামলার শুনানি করেন ষষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম।

গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে ড. আবু রেজা নদভীকে রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে সরকার পতনের পরিকল্পনাসহ একাধিক মামলা দায়ের হয়। রাজধানীর লালবাগ থানায় দায়েরকৃত ঢাকা আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থী খালিদ হাসান সাইফুল্লাহ হত্যা মামলাতেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। ১১ জানুয়ারি নদভীকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম কারাগারে পাঠানো হয়। এর পরদিন লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানার পাঁচটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

Header Ad
Header Ad

অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান, দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীর কারাগারে

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর ভাটারা থানায় দায়ের করা অস্ত্র মামলায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমানকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে মতিউর রহমান ও লায়লা কানিজকে গ্রেপ্তার করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। বিকেল সাড়ে ৫টায় মতিউর রহমানকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।

ভাটারা থানায় করা অস্ত্র মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

লায়লা কানিজের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন অভিযোগ করেছে যে, তিনি তার সম্পদ বিবরণীতে অসত্য তথ্য প্রদান করে প্রায় ১ কোটি ৫৩ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন এবং প্রায় ১৩ কোটি টাকার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করেছেন।

দুদকের রিমান্ড আবেদনে উল্লেখ করা হয়, লায়লা কানিজ সরকারি কর্মচারী হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার ও জালিয়াতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ প্লেসমেন্ট শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করেছেন। এই ক্রয়-বিক্রয়ের সঙ্গে অন্য কারো সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না, তা তদন্তের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

আদালত লায়লা কানিজকে রিমান্ডের আবেদন শুনানির জন্য ১৯ জানুয়ারি দিন ধার্য করে এবং তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

মতিউর রহমান ‘ছাগলকাণ্ড’ নামে আলোচিত একটি ঘটনার জন্য আগে থেকেই পরিচিত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে নতুন করে অস্ত্র মামলা দায়ের এবং স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ সীমান্তবর্তী এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

‘আদিবাসী’ স্বীকৃতির দাবিকারীদের ওপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি বৈষম্যবিরোধীদের
পাঁচ মামলায় গ্রেফতার সাবেক এমপি ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নদভী
অস্ত্র মামলায় রিমান্ডে ছাগলকাণ্ডে আলোচিত মতিউর রহমান, দুর্নীতির মামলায় স্ত্রীর কারাগারে
যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
জামায়াত আমিরের সঙ্গে মালয়েশিয়ার হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
দহগ্রাম সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়ায় মদের বোতল ঝুলিয়ে দিলো বিএসএফ
নিলামে উঠছে আওয়ামী লীগ আমলের ৩০ এমপির বিলাসবহুল গাড়ি
ছয় কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত: রিজওয়ানা হাসান
ঐকমত্য প্রতিষ্ঠায় প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে কমিশন গঠন
সংস্কারের আগে ডাকসুর নির্বাচন নয়: ঢাবি ছাত্রদল
বেনাপোলে বিজিবি ও বিএসএফের সেক্টর পর্যায়ে সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হত্যার বিচার না করতে পারলে আমাদের বাঁচার অধিকার নেই: আইন উপদেষ্টা
অনশনরত এসআইদের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা
ডেসটিনির এমডিসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড
বাম চোখে সমস্যা, শিশুর ডান চোখ অপারেশন করলেন চিকিৎসক
প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রস্তাব জমা দিলো চার সংস্কার কমিশন
পারিশ্রমিক না পাওয়ায় দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের অনুশীলন বয়কট
দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন গ্রেপ্তার
নারী উদ্যোক্তা তনির স্বামী মারা গেছেন
ছাগল মতিউরকে ধরা হয়েছে, অন্যদেরও খুঁজে খুঁজে ধরা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা