গাইবান্ধার ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে, ভোটার উপস্থিতি কম
গাইবান্ধার ৩টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধা সদর, গোবিন্দগঞ্জ ও পলাশবাড়ী এই তিন উপজেলায় ভোটগ্রহণ চলছে।
মঙ্গলবার (২১ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলবে বিরতীহীনভাবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে সকাল সোয়া ১০টা পর্যন্ত ভোটারের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে ভোটারের উপস্থিতি বাড়বে বলছেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা।
এদিকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের জন্য সকল ধরণের প্রস্ততির কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবদুল মোত্তালিব।
তিনি আরও জানান, গাইবান্ধার এই ৩টি উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে গাইবান্ধা সদর উপজেলায় ৭ জন জন। তারা হলেন- মো. আব্দুল হামিদ মিয়া (আনারস), মো. আমিনুর জামান রিংকু (দোয়াত-কলম), মো. ইস্তেকুর রহমান (কাপ-পিরিচ), মো. নূর-এ-হাবীব টিটন (টেলিফোন), মো. মকদুবর রহমান সরকার (হেলিকপ্টার), মো. মাজেদুল ইসলাম রিবন (ঘোড়া) এবং শাহ্ আহসান হাবিব রাজিব (মোটরসাইকেল)।
পলাশবাড়ী উপজেলায় ৬ জন। তারা হলেন- এ.কে.এম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ (মোটরসাইকেল), মো. জরিদুল হক (কাপ-পিরিচ), মো. তহিদুল আমিন মন্ডল সুমন (ঘোড়া), মো. তৌহিদুল ইসলাম (দোয়াত-কলম), মো. নাজিবুর রহমান (আনারস) এবং মো. শামিকুল ইসলাম সরকার (শালিক)। এ ছাড়াও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় ২ জন। তারা হলেন, মো. আব্দুল লতিফ প্রধান (মোটরসাইকেল) ও মো. শাকিল আকন্দ বুলবুল (আনারস)।
এছাড়া সদরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৮জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬জন, পলাশবাড়ীতে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৩জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন এবং গোবিন্দগঞ্জে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৭জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এই তিনটি উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ১০ লাখ ৫৫ হাজার ৬শ ১৩ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯শ ২৩ জন, নারী ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৬শ ৭৫ জন এবং হিজড়া ১৩ জন রয়েছেন।
রিটানিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক দেওয়ান মওদুদ আহমেদ জানান, এই তিন উপজেলায় ভোট কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে ৪শ ১৮টি এবং ভোট কক্ষ ২ হাজার ৮৮৩টি। এসব ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের ভোট গ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন ৪শ ১৮জন প্রিজাইডিং অফিসার।
তিনি আরও জানান, প্রতিটি কেন্দ্রে ৫জন পুলিশসহ ১৮জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য দ্বায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া ৪৫জন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ৩জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ৬ প্লাটুন বিজিবিসহ র্যাবের ২টি টিম।