নওগাঁয় সংগীত শিল্পী সাথীকে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
নওগাঁর সিগনেচার মিউজিক্যাল ব্যান্ড এর সংগীত শিল্পী ও ভারত বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মৈত্রী পরিষদের নওগাঁ জেলা শাখার মহিলা বিষয়ক সম্পাদক সংগীত শিল্পী শামীমা সাথীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৩০ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে এই অভিযোগে তার স্বামী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের বাবলু হোসেনের ছেলে শাহীনকে (৩২) আটক করেছে পুলিশ।
শাহীন তার স্ত্রী ও সন্তানকে নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত। সাথী বগুড়ার আদমদীঘির সান্তাহারের মুজিবর রহমানের মেয়ে। মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সান্তাহার স্টেশন কলোনী সংলগ্ন শান্তাহার এলাকায় সাথীর জানাযা শেষে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
সাথীর বড় ভাই সেলিম রেজা জানান, সাথী একজন সংগীত শিল্পী। সে কয়েক বছর পূর্বে চাঁপাইনবাবগঞ্জের শাহীনকে ভালোবেসে বিয়ে করে। তাদের ঘরে এক বছরের শিশুকন্যা রয়েছে। শাহীন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকরি করতেন। কিছু ব্যক্তিগত আচরণের কারণে সে কিছুদিন আগে চাকরিচ্যুত হয়। বিয়ের পর থেকেই তারা ভাড়া বাসা নিয়ে নওগাঁয় বসবাস করতেন। সাথীকে বিয়ের আগে শাহীন আরও একটি বিয়ে করেছেন। এই বিষয়টি গোপন রেখেই সাথীকে ২য় বিয়ে করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে শাহীন ও সাথীর মধ্য মনোমালিন্যর সৃষ্টি হয় এবং একপর্যায়ে নওগাঁ ভাড়া বাসায় সাথীকে একা ফেলে রেখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ চলে যায় তার স্বামী। গত তিনদিন আগে নওগাঁ থেকে সাথী তার স্বামীর বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জে যায় এবং গত রবিবার দিবাগত রাত সেখানেই তার মত্যু হয়। সাথীর মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা সেখানে যাই। সাথীর মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। শাহীন আমার বোন সাথীকে হত্যা করছে। আমি শাহীনের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। খবর পেয়ে পুলিশ সাথীর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়ে দেয়।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, জেলা শহরের গুলবাগ নতুনপাড়া এলাকায় সাইফুল ইসলাম মাসুদের ভাড়াটিয়া শাহীন আলী তার স্ত্রী শামীমা খাতুন সাথীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছেন। রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং এ ঘটনায় অভিযুক্ত শাহীনকে আটক করেন।
ওসি আরও জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জের ধরে রবিবার শাহীন তার স্ত্রী শামীমাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে এবং তখন পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টিটি/এসএ/