রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

বেইলি রোডের আগুন

ঈদের বাজার নিয়ে কখনো বাড়ি ফিরবে না মেহেদী

বেইলী রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত মেহেদী হাসান। ছবি-সংগৃহীত

পরিবারের বড় ছেলের স্বপ্ন ছিল বিদেশে গিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব-অনটন দূর করবেন। পরিবারের সদস্যদের মুখে ফোটাবেন হাসি। তাইতো পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্রও প্রস্তুত করছিলেন। কিন্তু ভাগ্যে আর সহায় হলো না তার। তার আগেই ভয়াবহ আগুনে স্বপ্ন পুড়ে ছাঁই হয়ে গেল। এতে অনেকটা স্থায়ীভাবেই বন্ধ হয়ে গেল পরিবারের আনন্দ। ঈদেও ব্যতয় ঘটেনি এমন পরিস্থিতির।

বলছি, টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার বানাইল ইউনিয়নের দেওরা গ্রামের বাসিন্দা মেহেদী হাসানের কথা। তিনি কাজ করতেন রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের দ্বিতীয় তলার একটি ফাস্টফুডের দোকানে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি ভবনটিতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ঘটনায় প্রাণ যায় তার। এরপর থেকে এখনো শোকের মাতম কাটেনি মেহেদী হাসানের পরিবারের। উপার্জনকারী সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা পরিবারের সদস্যরা।

মেহেদী হাসানের মা-বাবা।

পরিবার জানা যায়, মেহেদী হাসান ২০১২ মির্জাপুর কোড়ালিয়া পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ২০১৪ সালে দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি আরফান খান মেমোরিয়ার ডিগ্রি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। অভাব অনটনের সংসারের হাল ধরতে ঢাকাতে চাকনি নেন।

মেহেদীর ছোট ভাই ইসরাফিল মিয়া বলেন, আমরা দুই ভাই একই জায়গায় কাজ করতাম। অগ্নিকাণ্ডের আগেই আমি একটি কাজে ভবনের অন্য আরেকটি ফ্লোরে ছিলাম। পরে আমি ভবন থেকে লাফিয়ে প্রাণে বেঁচে যাই। গত বছর আমরা দুই ভাই বাবা মার সাথে ঈদ করেছি। আর কোন দিন ভাইয়ের সাথে ঈদ করা হবে না আমাদের।

তিনি আরও বলেন, দুই ভাই মিলে সংসার হাল ধরতে চেয়েছিলাম আর তা কোন দিন পূরণ হবে না। জানি না এখন এ স্বপ্ন আমি পূরণ করতে পারবো কি না। সরকারের কাছে দাবি জানাই আমাদের সহযোগিতা করা হোক।

মেহেদীর বাবা আয়নাল হক বলেন, অভাব অনটনের সংসার চালাতেই দুই ভাই কাজ করতেন ঢাকাতে। বড় ছেলে মেহেদীর বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন ছিল। পাসপোর্ট করার জন্য কাগজপত্র রেডি করতেছিল। মেহেদী স্বপ্ন দেখতো, বিদেশে গিয়ে স্বাবলম্বী হয়ে পরিবারের অভাব অনটন দূর করবে। সবার মুখে হাসি ফোটাবে।

তিনি বলেন, আমর বয়স হয়ে গেছে, কিছু করতে পারি না। আমি ঋণ করেছি বড় ছেলে ঋণের টাকা প্রতি মাসে দিতো। এ টাকা এখন কে দিবে। গতবছর মেহেদী আমাদের সাথে ঈদ করেছে। আর কোন দিন আমার ছেলে আমাদের সাথে ঈদ করতে পারবে না।

তিনি আরও বলেন, এ সংসার এখন কিভাবে চলবে। কে দেখবে এ সংসার। মাথায় আর কাজ করে না। ঈদ আসলেও আমাদের মাঝে সে আনন্দ নেই। ছেলের মা সব সময় কান্না করে। কান্না করতে করতে ছেলের মাও অসুস্থ হয়ে গেছে। সরকারের কাছে দাবি জানাই আমাদের যেন সহযোগিতা করেন।

মেহেদীর মা কল্পনা বেগম বলেন, মেহেদী বড় ছেলে ছিল। আমাদের সংসারে হাল ধরেছে সে পরিবারের সব খরচ দিতো। এখন এ সংসার কে দেখবে। গতবছর এক সাথে ঈদ করেছি। আমাদের জন্য গতবছর কাপড় ও বাজার করে নিয়ে আসছিল। এবার আর কেউ আসবে না। এ বলে মেহেদীর মা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আর মেহেদীর জন্য দোয়া করছেন।

এদিকে, টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনের সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ মেহেদীর পরিবারকে কিছু নগদ অর্থ সহযোগিতা দিয়েছেন। তার ছোট ভাইকে চাকরি দেওয়ারও আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানায় পরিবারটি।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ নুরুল আলম বলেন, মেহেদীর পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে। আমরা আরও সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

Header Ad
Header Ad

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ। ছবি: সংগৃহীত

আশুলিয়ার জিরাবোয় নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতা আজিজুর রহমান আজাদ। আজ রোববার ভোরে একদল ডাকাত তার বাড়িতে ঢোকে এবং তাদের গুলিতে বিদ্ধ হন অভিনেতা। এ ঘটনায় তার স্ত্রী ও মা গুরুতর আহত বলে জানা গেছে।

তপু খান জানান, ঘটনাটি ঘটেছে ভোরবেলা। কয়েকজন ডাকাত আজাদের বাসার রান্নাঘরের গ্রিল কেটে ঘরে ঢুকে। যার শব্দে বাসার সবাই টের পেয়ে রান্নাঘরে যায়। এ সময় অভিনেতার স্ত্রীর মাথায় এবং তার মায়ের পায়ে গুরুতরভাবে আঘাত লাগে। এরপর ডাকাতরা চলে যাওয়ার সময়ে আজাদের পায়ে তিনটি গুলি করে।

মা-স্ত্রীসহ অভিনেতা এখন রাজধানীর উত্তরার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আজাদের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার স্ত্রী এবং মায়ের চিকিৎসা চলছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।

শিপ ইন্টারন্যাশনাল হসপিটালের চিকিৎসক ডা. কামরুজ্জামান বলেন, অভিনেতার শরীরে তিনটি গুলি বিদ্ধ হয়েছে। বর্তমানে তিনি শংকামুক্ত। 

Header Ad
Header Ad

আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতদের দেখতে গিয়ে তাদের চিকিৎসা বন্ধ রাখতে ও ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এমনই এক প্রমাণ প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মো. তাজুল ইসলাম।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতে পূর্বনির্ধারিত শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান তিনি।

চিফ প্রসিকিউটর বলেন, "আমরা রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর) পরিদর্শনে গিয়ে জানতে পারি, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে একবার হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তখন তিনি চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’—অর্থাৎ আহতদের চিকিৎসা না দিতে এবং কাউকে ছাড়পত্র না দিতে নির্দেশ দেন।"

তিনি আরও বলেন, "এই নির্দেশের কথা আহত রোগী, তাদের স্বজন এবং হাসপাতালের চিকিৎসকরাও আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এর তথ্য-প্রমাণ পেয়েছি এবং আদালতে তা উপস্থাপন করেছি।"

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে চিফ প্রসিকিউটর জানান, "জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের মৃতদেহ সুরতহাল করতে দেওয়া হয়নি, ডেথ সার্টিফিকেটেও গুলিবিদ্ধ হওয়ার তথ্য লুকানো হয়েছে। অনেকের ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট বা জ্বরের কারণে মৃত্যু হয়েছে বলে উল্লেখ করতে বাধ্য করা হয়েছে। এমনকি আন্দোলনে শহীদদের লাশ দাফন করতে গেলে পুলিশের হামলার মুখে পড়তে হয়েছে তাদের পরিবারকে।"

তিনি বলেন, "আদালত জানতে চেয়েছেন, শহীদদের সুরতহাল প্রতিবেদন বা পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কেন নেই। আমরা আদালতকে জানিয়েছি, সে সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের মাত্রা এতটাই ভয়াবহ ছিল যে, দ্রুত লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়েছিল। ফলে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিবেদন তৈরি করা সম্ভব হয়নি।"

চিফ প্রসিকিউটর আরও বলেন, "শেখ হাসিনার নির্মমতার এসব প্রমাণ যাচাই-বাছাই ও ফরেনসিক বিশ্লেষণের পর মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলার প্রমাণ হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।"

এই মামলার তদন্ত ও বিচারকাজ চলমান রয়েছে এবং এর মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রসিকিউটর।

Header Ad
Header Ad

এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ৮ হাজার ১৩৩ কোটি ৫৬ লাখ ৭২ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সংস্থাটির উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক আদালতে শেয়ার অবরুদ্ধের আবেদন করেন, যা শুনানি শেষে মঞ্জুর করা হয়।

আবেদনে উল্লেখ করা হয়, এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, তিনি ও তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বিভিন্ন ব্যাংক থেকে বিধিবহির্ভূতভাবে ঋণ নিয়ে তা আত্মসাৎ করেছেন এবং দেশ-বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ গড়েছেন।

এছাড়া, বিভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা এসব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। অনুসন্ধান শেষ হওয়ার আগে এসব সম্পদ স্থানান্তর হয়ে গেলে তা উদ্ধার করা কঠিন হয়ে পড়বে।

ফলে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্তকরণ এবং সরকারের অনুকূলে রাখার স্বার্থে শেয়ারগুলোর পাশাপাশি সেগুলো থেকে উদ্ভূত মুনাফা, আয় ইত্যাদি জরুরি ভিত্তিতে ফ্রিজ (অবরুদ্ধ) করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে বলে দুদকের আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী  
বিয়ে বাড়িতে গান বাজানোর জেরে বাসর ঘরে হামলা  
আজ দুবাইয়ে ভারত-পাকিস্তান মহারণ  
মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে বাবা গ্রেপ্তার  
দুপুরের মধ্যে ১৪ জেলায় বজ্রবৃষ্টির আভাস  
সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে যা জানালো র‍্যাব  
এ বছরই মধ্যে তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন : দুদু