মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস
ঘন কুয়াশা ও কনকনে বাতাসে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে দেশের সর্বউত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের মানুষ। জেঁকে বসেছে শীত। স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন ও মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল তাপমাত্রা ছিল ৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতেই ঘনকুয়াশায় ঢেকে যায় চারদিক। রাতভর ঝড়ে বৃষ্টি মতো কুয়াশা। তীব্র শীতের কারণে সন্ধ্যার পর জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। সোমবার একটু দেরিতে সূর্যের দেখা মিললেও হিমেল বাতাসের কারণে সূর্যের প্রখরতা ছড়াতে পারেনি। এতে করে বিপাকে পড়েছেন দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। তবে জীবিকার তাগিদে অনেকেই শীত উপেক্ষা করেই কাজের সন্ধানে ছুটছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও হাটবাজার গুলো। এদিনে সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় কনকনে শীতের তীব্রতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ভোরে ঘনকুায়াশা থাকার কারণে পঞ্চগড় জেলার বিভিন্ন সড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহানগুলোকে চলাচল করতে দেখা গেছে। এদিকে শীতের কারণে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।
পঞ্চগড় সদর উপজেলার অভিরাম এলাকার রিকশা চারক রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তীব্র শীতের কারণে মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। এ কারণে আমরাও ইনকাম করতে পারছি না; কিন্তু কি করব শীতকে উপক্ষো করে পেটের তাগিদে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। খাবার নিয়ে না যেতে পারলে বাড়িতে চুলা জ্বলবে না।’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, তেঁতুলিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে উঠানামা করছিল। সোমবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায় রেকর্ড করা হয়েছে ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আরও কয়েকদিন এমন তাপমাত্রা বয়ে যেতে পারে বলেও জানান তিনি।
এসএ/