রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ১০ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘পুরুষের চাইতে কম মজুরি পায় চাতালে কর্মরত নারীরা’

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

‘চাতালে রোদে পুড়ে, আগুনের তাপে ও ধুলা-ময়লায় সকাল ৭টা থেকে ৮-৯ ঘণ্টা কাজ করে ১২০-১৩০ টাকা করে মজুরি পাই। কিন্তু পুরুষ মানুষেরা কাজ করে দিনে ৪০০-৫০০ টাকা করে মজুরি পায়। এইগুলো ফারাকের (বৈষম্য) কথা বলতে গেলে কাজই থাকবে না। এমনকি পুরুষের চাইতে চাতালে কর্মরত আমরা নারীরা মজুরি কম পায়। পেটের তাগিদে সব সহ্য করে কাজ করি।

চাতালে কাজ করে অমানবিক ও অবাস্তব মজুরি পাওয়ার কষ্টের কথাগুলো ঢাকাপ্রকাশকে বলছিলেন শিউলী বেগম (৪০) নামের এক নারী শ্রমিক। গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দুপুরে নওগাঁ পৌরসভার লস্করপুর এলাকায় মেসার্স সরস্বতী রাইস মিলে কথা হয় শিউলী বেগমের সঙ্গে।

আজ শুক্রবার (৮ মার্চ) আন্তর্জাতিক নারী দিবস। এই দিবস উপলক্ষে নারীর অধিকার, মজুরিসহ নানা বিষয়ে সম-অধিকার নিয়ে অনেক সভা-সেমিনার হয়; কিন্তু মজুরি বৈষম্য কমেনি।

শিউলী বেগমের মতো চাতালে নারী শ্রমিকেরা সকাল-সন্ধ্যা পুরুষ শ্রমিকদের মতো কাজ করেন। কিন্তু পুরুষদের তুলনায় তাঁদের মজুরি অর্ধেকেরও কম। এভাবেই বছরের বছর ধরে চালকল কারখানাগুলোতে নারী-পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যে মজুরি বৈষম্য চলে আসছে। চাতালে কাজ করা নারীরা ছাড়া কৃষি শ্রমিক হিসেবে কাজ করা নারীরাও মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন। মজুরি বিষয়ে কথা বলেও তাঁরা কোনো প্রতিকার পান না।

চাতাল শ্রমিকদের দাবি, শ্রম আইন অনুযায়ী মালিকপক্ষ ও শ্রমিকদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে মজুরি ঘোষণা করা হোক। নূন্যতম মজুরি ঘোষণা করা হলে চাতাল শ্রমিকদের অমানবিক ও অবাস্তব মজুরি এবং নারী ও পুরুষ শ্রমিকের মধ্যকার মজুরি বৈষম্যের অবসান ঘটবে।
ধান উৎপাদনে প্রসিদ্ধ জেলা হিসেবে পরিচিত দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা নওগাঁয় চাতালে ধান প্রক্রিয়াকরণের ধারা বহুবছরের। জেলা চালকল মালিক গ্রুপ সংগঠনের সূত্র মতে, এ জেলায় ১ হাজার ২০০টি চালকল আছে। এসব চালকলে ৩০ হাজারের ওপর শ্রমিক কাজ করে। এর মধ্যে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ৬০ শতাংশের বেশি।

বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্ক শ্রমিক দৈনিক আট ঘণ্টার বেশি সময় কাজ করতে পারবেন না বা তাঁকে দিয়ে কাজ করানো যাবে না। ক্ষেত্রবিশেষে ১০ ঘণ্টা পর্যন্ত শ্রমিক কাজ করতে পারবেন। তবে চাতালে শ্রমিকদের কাজের নির্দিষ্ট কোনো সময় নেই। আইনে নারী শ্রমিকদের রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কাজ করানো নিষেধ থাকলেও চাতালে নারী শ্রমিকদের বেলায় তা মানা হয় না। নিয়োগপত্র না থাকায়, চাতাল মালিক ইচ্ছে করলেই শ্রমিকদের কাজ থেকে বাদ দিতে পারেন।

নওগাঁ পৌরসভার লস্করপুর এলাকায় অবস্থিত সরস্বতী রাইস মিলের নারী শ্রমিক মনোয়ারা বেগম বলেন, ‘এখানে কাজ করলে টাকা, না করলে টাকা নাই। কখনো কখনো গভীর রাতে ধান সেদ্ধ শুরু হয়। ওই দিন বাচ্চা কি খাইলো, স্বামী কি খাইলো , বাড়ি কখন যামু তার কিছুই ঠিক থাকে না।’

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাশিয়া এলাকায় মেসার্স রেবেকা রাইস মিলের চাতাল শ্রমিক জুলেখা খাতুন বলেন, ২০০ মণ ধান সেদ্ধ ও শুকালে নগদ ৬০০ টাকা এবং ১১০ কেজি চালের খুদ (ভাঙা চাল) মজুরি হিসাবে দেওয়া হয়। এক চাতাল (২০০ মণ) ধান সেদ্ধ ও শুকাতে আট-নয়জন নারী শ্রমিকের তিন থেকে চার দিন সময় লেগে যায়। আবার ঝড়-বৃষ্টি হলে এক চাতাল ধান শুকাতে সাত-আট দিনও লেগে যায়। এক চাতাল ধান শুকানো হলে নগদ টাকা ও খুদ তাঁরা ভাগ করে নেন। নগদ টাকা ও বাজার অনুযায়ী খুদের দাম অনুযায়ী দিনে তাঁদের ১২০-১৩০ টাকা করে মজুরি পড়ে।

চাতাল সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চাতালে মাতৃত্বকালীন ছুটির বালাই নেই। ছুটি চাইলে মালিক কাজ ছেড়ে চলে যেতে বলেন। নারী শ্রমিকদের সঙ্গে থাকা ছোট সন্তানদের জন্যও নেই কোনো সুযোগ-সুবিধা।

নওগাঁ জেলা ধান্য বয়লার ও অটো সাটার শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মোজাফফর হোসেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, চাতালে আট থেকে নয়টি স্তরে শ্রমিকদের কাজ করতে হয়। ট্রাক থেকে ধান নামানো, গুদামজাতকরণ, ধান সেদ্ধ করা, শুকানো, চাল প্রক্রিয়াকরণ, চাল বস্তায় ভরা, বস্তার মুখ সেলাই করাসহ সব কাজই করতে হয় চাতালশ্রমিকদের। এর মধ্যে নারী শ্রমিকেরা ধান সেদ্ধ করা ও শুকানোর কাজ করে থাকে।

চাতাল শ্রমিকদের মজুরি বৈষম্যের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘চাতাল শ্রম আইনের অন্তর্ভুক্ত একটি শিল্প। কিন্তু এ খাতে শ্রম আইনের একটি ধারাও মানা হয় না। চাতালের শ্রমিকেরা শ্রমিক হিসেবেই স্বীকৃত নন। আমরা দীর্ঘদিন ধরে চাতালে কর্মরত মানুষদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি এবং তাঁদের জন্য নূন্যতম মজুরি ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছি। নূন্যতম মজুরি না থাকায় একেক চালকল চালকল একেক রকম মজুরি দিচ্ছে। কোথাও একজন শ্রমিক দিনে ১০০ টাকা, কোথাও ১৫০ টাকা আবার কোথাও ৩০০ টাকা পেয়ে থাকেন। চাতালে নারী শ্রমিকেরা তো যে মজুরি পান সেটা অমানবিক ও অবাস্তব। বর্তমান বাজারে এই মজুরি দিয়ে জীবন নির্বাহ করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।’

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নওগাঁ জেলা শাখার সভাপতি ও নওগাঁ জজ কোর্টের আইনজীবী মহসিন রেজা ঢাকাপ্রকাশকে জানান, ‘চাতাল শিল্পের প্রতি সরকারের কোনো নজরদারি না থাকায় এ শিল্পে কর্মরত শ্রমিকেরা দিনের পর দিন মজুরি বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছে। নওগাঁতে শ্রমিক ও চালকল মালিকপক্ষের মধ্যকার চুক্তি অনুযায়ী প্রতি তিন বছর পর পর চালকল কারখানার শ্রমিকদের মজুরি সমন্বয় হওয়ার কথা। সর্বশেষ ২০১৫ সালে দুই পক্ষের মধ্যে চুক্তি হয়। সেই চুক্তির মেয়াদ ২০১৮ সালে শেষ হলেও এখন পর্যন্ত চালকলের শ্রমিকদের মজুরি সমন্বয় করা হয়নি। অথচ এই সময়ের মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। অবিলম্বে এই শিল্পের শ্রমিকদের শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া ও নূন্যতম মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা উচিত।’

Header Ad
Header Ad

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!

ছবি: সংগৃহীত

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহতের ঘটনায় দিনটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এরই মধ্যে ২৫ ফেব্রুয়ারিকে ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করে পরিপত্র জারি করা হয়েছে। দিবসটি যথাযথভাবে পালনের জন্য সবাইকে অনুরোধ করেছে সরকার।

তবে পরিপত্র জারির পর থেকেই অনেকের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, ২৫ ফেব্রুয়ারি কি সরকারি ছুটি থাকবে? এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও নানা আলোচনা চলছে।

সরকারি পরিপত্র অনুযায়ী, ২৫ ফেব্রুয়ারি সরকারি ছুটি থাকবে না। দিবসটি ‘গ’ শ্রেণীভুক্ত দিবস হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা জাতীয়ভাবে পালন করা হবে, তবে ছুটি থাকবে না।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, সরকার প্রতিবছর ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। তবে এটি সরকারি ছুটি ছাড়া জাতীয় দিবস হিসেবে পালন করা হবে।

এর আগে মন্ত্রিপরিষদসচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা করা হবে, তবে এদিন সরকারি ছুটি থাকবে না।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। শোকাবহ ও হৃদয়বিদারক এই দিনকে রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের মাধ্যমে সেনা সদস্যদের আত্মত্যাগকে জাতীয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

Header Ad
Header Ad

ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা

মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। ছবি: সংগৃহীত

জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবির কর্তৃক মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। মধুর ক্যান্টিনে শিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধকে কলঙ্কিত করে। মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে শিবির বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদের অবমাননা করছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে দেয় ছাত্রসংগঠনটি ।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র রাজনীতির সূতিকাগার ঐতিহাসিক মধুর ক্যান্টিনের প্রতিষ্ঠাতা স্বত্বাধিকারী মধুদা ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ পাক হানাদার বাহিনী কর্তৃক পরিচালিত অপারেশন সার্চলাইট এর হানাদার বাহিনীর হাতে শহীদ হন। জামায়াতে ইসলামী এবং ইসলামি ছাত্রসংঘ পাক হানাদার বাহিনীর সহযোগী হয়ে মহান মুক্তিযুদ্ধে স্বাধীনতা বিরোধী ভূমিকা পালন করে। শহীদ মধুদা’র হত্যাকাণ্ডের নৈতিক দায় জামায়াতে ইসলামী, তাদের ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রসংঘ এবং পরবর্তীতে ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিতে হবে।

ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তি। ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীনতা বিরোধী সংগঠন জামায়াতে ইসলামীর ছাত্রসংগঠন ইসলামি ছাত্রশিবিরের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন শহীদ মধুদার প্রতি এবং তার পরিবারের প্রতি অসম্মানজনক। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবির এর সংবাদ সম্মেলন আয়োজনের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বিবৃতিতে ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির বলেন, শহীদের নিজের আঙিনায় খুনির সহযোগীদের বিচরণ খুবই ন্যাক্কারজনক ঘটনা। অনুতাপ এবং বিবেকবোধ থেকেই ছাত্রশিবির এর মধুর ক্যান্টিনে আসা উচিত নয়।

তারা আরও উল্লেখ করেন, অপারেশন সার্চলাইট এ শহীদ মধুদা’র মতো অসংখ্য মানুষ শহীদ হওয়ার প্রেক্ষিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু ইসলামি ছাত্রশিবির নানাভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতীয় ষড়যন্ত্র বলে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরকে এবং বীর শহীদদেরকে অবমাননা করছে। মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের উপস্থিতি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করবে।

Header Ad
Header Ad

ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী

ছবি: সংগৃহীত

ভারতের কেরালায় ঘটে গেছে এক ভয়াবহ ও গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা। পাঁচ বছর ধরে এক দরিদ্র দিনমজুরের কিশোরী কন্যা ধর্ষণের শিকার হয়েছে, আর এতে জড়িত ছিল তার সহপাঠী, প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনসহ বেশ কিছু অপরিচিত ব্যক্তি। সম্প্রতি পুলিশের তদন্তে বেরিয়ে আসে এই নির্মম সত্য, যা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে যখন ভুক্তভোগী কিশোরী তার কলেজের এক কাউন্সিলরের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। এরপর পুলিশ তদন্ত শুরু করলে একে একে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। পুলিশ জানায়, ওই কিশোরী যে গ্রামে বাস করতো, সেখানে বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী এবং আত্মীয়স্বজনের দ্বারা সে দীর্ঘদিন ধরে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর নির্যাতনকারীরা ভিডিও ধারণ করেও তাকে ব্ল্যাকমেইল করত।

কেরালা পুলিশের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অজিতা বেগম জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে এখন পর্যন্ত ৫৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া আরও দুই অভিযুক্ত দেশ ছেড়ে পালিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ তাদের খুঁজে বের করতে তৎপর রয়েছে।

এই ভয়ংকর ঘটনার পর কেরালাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে, বিশেষ করে নিকট আত্মীয় ও পরিচিতজনদের হাতে এমন নির্মম নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিষয়টি সমাজে গভীর উদ্বেগের জন্ম দিয়েছে। বর্তমানে নির্যাতিত কিশোরীকে মনস্তাত্ত্বিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে, পাশাপাশি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ ঘোষণা, সরকারি ছুটি নিয়ে যা জানা গেল!
ঢাবির মধুর ক্যান্টিনে ছাত্রশিবিরের সংবাদ সম্মেলন, ছাত্রদলের নিন্দা
ভারতে ৫ বছর ধরে নিকটজনদের কাছে ধর্ষণের শিকার কিশোরী
ইলন মাস্ককে বাংলাদেশ সফর ও স্টারলিংক চালুর আমন্ত্রণ প্রধান উপদেষ্টার
পাঁচ দফা দাবিতে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, একাডেমিক শাটডাউন ও লংমার্চের ঘোষণা
নির্বাচন নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুটি সময়সীমা নির্ধারণ: সিইসি
নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ অভিনেতা আজাদ, আহত মা ও স্ত্রী
আহতদের চিকিৎসা বন্ধে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজ’ শেখ হাসিনার নির্দেশ ছিলো
এস আলম পরিবারের ৮,১৩৩ কোটি টাকার শেয়ার অবরুদ্ধের নির্দেশ
২৫ ফেব্রুয়ারি ‘জাতীয় শহীদ সেনা দিবস’ পালনের ঘোষণা
প্রথমবার বাংলাদেশ-পাকিস্তান সরাসরি বাণিজ্য চালু
৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর, জানা গেল নাম
পুলিশ প্রজাতন্ত্রের স্বাধীন কর্মচারী, কোনো দলের নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ধর্ষণের প্রতিবাদে আসাদ গেটে ছাত্র-জনতার সড়ক অবরোধ
স্ত্রীর সামনে বিএনপি নেতাকে পিটিয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২
দুই ফুসফুসেই নিউমোনিয়া, পোপ ফ্রান্সিসের অবস্থা ‘আশঙ্কাজনক’
সংস্কার কমিশনের সুপারিশ: জুনেই স্থানীয় সরকার নির্বাচন
নওগাঁয় রাতে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি
প্রযোজনায় নাম লেখালেন বুবলি  
চোখে লাল কাপড় বেধে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুয়েটের ৮০ শিক্ষার্থী