দক্ষিণ কোরিয়ায় ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার দায় নিজের কাঁধে নিয়ে পদত্যাগ করবেন দেশটির পরিবহনমন্ত্রী পার্ক সাং-উ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) তিনি এ ঘোষণা দেন।
গত, ২৯ ডিসেম্বর জেজু এয়ার পরিচালিত একটি বিমান মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়েতে বিস্ফোরণ হলে ১৭৯ জন নিহত হন।
মঙ্গলবার রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ (২৯ ডিসেম্বর) রোববার থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক থেকে রওনা হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ানে পৌঁছেছিল। এ সময় বিমানটি রানওয়ে দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যায়। একপর্যায়ে রানওয়ের দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
দেশটির পরিবহনমন্ত্রী পার্ক সাং-উ একটি প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমি এই বিপর্যয়ের দায় এড়াতে পারি না।’
তিনি আরও জানান, বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তিনি একটি সঠিক সময় বের করবেন এবং পদত্যাগ করবেন। এছাড়া মন্ত্রী জানিয়েছেন, তারা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে বিমানবন্দরের অবতরণ ব্যবস্থা আরও নিরাপদ করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
এদিকে দুর্ঘটনার তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ গত সপ্তাহে জেজু এয়ার এবং মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অপারেটরে অভিযান চালায়। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা ইঞ্জিনগুলোর একটিতে পাখির পালক পাওয়া গেছে বলে জানান প্রধান তদন্তকারী লি সেউং-ইওল।
এর আগে দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল পাখির আঘাতে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।
এদিকে সোমবার বিমান বিধ্বস্তে ক্ষতিগ্রস্ত একটি ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার পুনরুদ্ধার এবং কারণ বিশ্লেষণ করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রওনা হয়েছেন দুজন কোরিয়ান তদন্তকারী।
২৯ ডিসেম্বর থাইল্যান্ড থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরা বিমানটিতে ছয়জন ক্রুসহ মোট ১৮১ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে শুধু দুজন যাত্রী বেঁচে যান। বাকি সবাই বিমান বিধ্বস্তে নিহত হন। গত কয়েক দশকের মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় এটিই সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা।