সীমান্তের ওপারে সংঘাত : নাইক্ষ্যংছড়ির ২৪০ পরিবারকে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ
ছবি: সংগৃহীত
মিয়ানমারে জান্তা সরকারের বাহিনী ও বিদ্রোহীদের তুমুল লড়াইয়ের পরিপ্রেক্ষিতে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে ফিরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)।
বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মুজাহিদ উদ্দিন মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত পরিদর্শনকালে এ নির্দেশ দেন।
ডিসি বলেন, বান্দরবান-মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে চলমান পরিস্থিতির কারণে ছাত্রছাত্রী ও সীমান্তে অতি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী ২৪০ পরিবারকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসাথে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সীমান্তবর্তী স্কুলগুলো বন্ধ ও সবাইকে আতঙ্কিত না হয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, মিয়ানমার থেকে ছোড়া গোলায় নাইক্ষ্যংছড়িতে সৈয়দ আলম (৩৮) নামের আরো এক বাংলাদেশী যুবক আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের পশ্চিমকুল পাহাড়পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সৈয়দ আলম ওই এলাকার কাদের হোসেনের ছেলে।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের জলপাইতলি এলাকায় এক বাংলাদেশী নারীসহ দুজন নিহত ও আহত হয়েছে অন্তত তিনজন। বিদ্রোহীদের কাছে টিকতে না পেরে বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) শতাধিক সদস্য।
এ অবস্থায় সীমান্তে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের নিরাপদে আশ্রয় দিতে উত্তর ঘুমধুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।