উখিয়া সীমান্ত এলাকায় মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ৫ সদস্য অস্ত্রসহ আটক

ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের উখিয়া সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের সময় মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ৫ সদস্যকে অস্ত্রসহ আটক করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় তাদের বাধা দিতে গিয়ে বোমা হামলা আহত হয়েছেন কয়েকজন স্থানীয়।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে উখিয়ার থাইংখালী পুটিবনিয়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে তাদের পুলিশের হাতে তুলে দেয় এলাকাবাসী। পালংখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম গফুর চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) মধ্যে চলমান সংঘর্ষের কারণে তারা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে আসছিল। এসময় তাদের দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের লক্ষ্য করে বোমা হামলা করে। এসময় কয়েকজন স্থানীয় আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা ধাওয়া করে তাদের আটক করে। তাদের পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
থাইংখালী পুটিবনিয়া এলাকার বাসিন্দা আতিকুল কবি বলেন, মায়ানমারের সীমান্ত ঘেঁষে আমাদের চিংড়ি মাছের ঘের রয়েছে। কয়েকজন যুবক একটি ডিঙি নৌকা করে বাংলাদেশের দিকে আসছিল। প্রথমে তাদের মিয়ানমারের পুলিশ মনে করেছি। কিন্তু কাছে এলে দেখা যায় তারা মায়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্য। তাদের ভেতরে প্রবেশে বাঁধা দিলে তারা গ্রেনেট বোমা হামলা করে। এসময় কয়েকজন স্থানীয় আহত হন।
এদিকে মঙ্গলবার ১০টার পর থেকে মিয়ানমারের বাহিনী আরাকান আর্মির অবস্থান লক্ষ্য করে বোমা হামলা করা হয়েছে। অন্যদিকে আরাকান আর্মির আক্রমণের মুখে এ পর্যন্ত ২২৯ জন মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী পুলিশ (বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হেফাজতে রয়েছেন।
এছাড়া বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের জলপাইতলী গ্রামের একটি রান্নাঘরে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেলের আঘাতে দুইজন নিহত হয়েছেন। নিহত দু’জনের মধ্যে একজন বাংলাদেশি নারী, অন্যজন রোহিঙ্গা পুরুষ ছিলেন বলে জানা গেছে।
