একসঙ্গে জন্ম নেওয়া সেই চার নবজাতকের সবাই মারা গেছে
ছবি: সংগৃহীত
একদিন যেতে না যেতেই মারা গেল ফরিদপুরে একসঙ্গে জন্ম নেওয়া চার নবজাতকের সবাই। শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) মধ্যরাত থেকে ভোর রাতের মধ্যে পৃথক পৃথক সময়ে ৪ নবজাতকের মৃত্যু হয়।
শুক্রবার বিকেলে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বৈশাখী রায় (২৩) চার পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু একদিন যেতে না যেতেই দিবাগত রাত দেড়টায় প্রথমে দুইজন ও ভোররাত ৪টার দিকে বাকি দুই নবজাতক মারা যায়। পরে শনিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে শহরের অম্বিকাপুর শ্মশানে মৃত চার নবজাতককে একসঙ্গে সমাহিত করা হয়।
তাদের বাবা রাজন বিশ্বাস বলেন, আমাদের ঘর আলোকিত করে চার সন্তান জন্ম নেওয়ায় আমরা খুশি ছিলাম। তবে দুইজনের অবস্থা জন্মের পর থেকেই সংকটজনক বলেছিলেন চিকিৎসকেরা। তবে এক দিন যেতে না যেতেই এক রাতেই চার সন্তান চলে গেল না ফেরার দেশে।
ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক এনামুল হক বলেন, শিশুদের জন্মের পর মা বেশ রুগ্ন ছিলেন। গর্ভে চারটি শিশু ধারণ করার মত শক্তি তার ছিল না। গর্ভ ধারণের ২৮ সপ্তাহে বাচ্চাগুলো জন্ম নিয়েছিল। প্রতিটি বাচ্চার ওজন ছিল ৮০০ থেকে ৯০০ গ্রাম।
চার নবজাতকের মা বৈশাখী রায় ফরিদপুর শহরের পশ্চিম আলীপুর মহল্লার বাসিন্দা মদন রায়ের মেয়ে। ২০১৯ সালে বৈশাখীর সঙ্গে পাশের রাজবাড়ী শহরের ভাজনচালা এলাকার বাসিন্দা ভোলানাথ বিশ্বাসের ছেলে রাজন বিশ্বাসের (২৬) সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। রাজন বিশ্বাস পেশায় একজন মুদি ব্যবসায়ী। রাজন-বৈশাখী দম্পতির এবারই প্রথম সন্তান হয়। মৃত চার সন্তানই ছিল ছেলে সন্তান ।