ধামরাইয়ে ৯ ইটভাটাকে ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকার ধামরাইয়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা নয়টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে মোট ৫৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুল্লা ও সোমভাগ ইউনিয়নের জলসিন, কুল্লা, কালামপুর, ধাইরা ও ডাউটিয়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।
এ সময় যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়।
পরিবেশ অধিদপ্তর জানায়, রাজধানীর পাশে ধামরাইয়ে বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় দীর্ঘদিন ধরে ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকাসহ নানা অভিযোগে আজ এসব ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে স্থানীয় জলসিনের মেসার্স পিউর ব্রিকসকে ২০ লাখ, মেসার্স মা ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা ও মা স্টার ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।
এ ছাড়া কুল্লা গ্রামের জয় বাংলা ব্রিকসকে ৬ লাখ, কালামপুরের এস বি এন-১কে ২ লাখ, ধাইরার এস বি এন-২ কে ৬ লাখ, কালামপুরের বি বি সি ব্রিকসকে ৬ লাখ, ডাউটিয়ার সান ব্রিকসকে ৬ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। এ ছাড়া ডাউটিয়া এলাকার হালিমা ব্রিকসের মালিক পলাতক থাকায় ভাটাটি পুরোপুরি ভেঙে দেওয়া হয়।
ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী ২/৩ ফসলি আবাদি কৃষি জমি, আবাসিক এলাকা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাটবাজার থেকে কমপক্ষে এক কিলোমিটার এবং গ্রামীণ বা ইউনিয়ন পরিষদ রাস্তা থেকে অন্তত আধ কিলোমিটারের মধ্যে ইটভাটা স্থাপন করা যাবে না। অথচ রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে এ ধরনের নিয়ম ভঙ্গ করে স্থাপন করা হয়েছে প্রায় ২০০ ইটভাটা।
এসব ইটের ভাটার মালিক আগে কৌশলে ছাড়পত্র পেলেও চলতি বছর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে কোনো ছাড়পত্র পায়নি। চলতি বছর ছাড়পত্র না পেলেও যথারীতি তাদের ভাটায় ইট তৈরির কাজ চলছিল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার চারপাশের বিভিন্ন জেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে ধামরাইয়ে অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, আগে ইটভাটার আংশিক ভেঙে দিয়ে বেশি টাকা জরিমানা করা হতো। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে কম জরিমানা করে ভাটার কার্যক্রম একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. জহিরুল ইসলাম তালুকদার, সহকারী পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব, অনিতা ঘোষ, পরিদর্শক জেসমিন আক্তার, ফাতেমাতুজ জহুরা প্রমূখ।
এসএন