শেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত আরও ১ জনের মৃত্যু
বগুড়ার শেরপুরে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে আরও একজন মারা গেছেন। নিহতের নাম নীল রতন কুমার পাল (৪২)।
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুরে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত রতন বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ডেমাজানী গ্রামের নিখিল কুমার পালের ছেলে। এ নিয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ছয় জনে দাঁড়িয়েছে।
গত বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর আমবাগানে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির পাঁচ যাত্রী নিহত হন। তাদেরও পরিচয় মিলেছে।
তারা হলেন- বগুড়ার ধুনট উপজেলার শ্যামগাতী গ্রামের সাবান আলীর ছেলে হৃদয় হাসান (২৫), তার স্ত্রী সফিয়া খাতুন (২১), শেরপুর উপজেলার ধড়মোকাম গ্রামের রহমতুল্লাহর ছেলে সিএনজি চালক বাবলু প্রামাণিক (৫৫), একই উপজেলার চোমরপাথালিয়া গ্রামের বদিউজ্জামানের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০) ও আব্দুল রহিম (২৫)।
এ দিকে দুর্ঘটনায় নিহত সিএনজিচালকের ভাই সেলিম উদ্দিন বাদী হয়ে শেরপুর থানায় মামলা করেছেন। মামলায় হানিফ পরিবহন বাসের (ঢাকা মেট্টো ব-১৪-৮৭৫১) চালককে আসামি করা হলেও তার নাম-পরিচয় উল্লেখ করা হয়নি।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ বানিউল আনাম জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর আইনী প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাস ও অটোরিকশাটি জব্দ করা হলেও চালক পালিয়ে যান। তবে তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। এ ছাড়া এ ঘটনায় মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, বুধবার (২৬ জানুয়ারি) বিকালে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের একটি বাস বগুড়ায় যাচ্ছিল। বাসটি ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের মির্জাপুর আমবাগানে পৌঁছলে বিপরীতগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির পাঁচজন যাত্রী নিহত ও দশজন যাত্রী গুরুতর আহত হন।
এসআর/এমএসপি