র্যাঙ্গস গ্রুপের ম্যানেজারের মরদেহ উদ্ধার নিয়ে ধুম্রজাল
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার লেবুতলা সীমান্তের বিপরীতে ভারতের কাশিপুর এলাকায় প্রদিপ কংশ বণিক (৪৮) নামে কথিত এক বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ উদ্ধার নিয়ে ধুম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। প্রদিপকে বাংলাদেশের র্যাঙ্গস মোটর লিমিটেডের ম্যানেজার দাবি করা হলেও তার মরদেহের কাছে মিলেছে ভারতীয় পাসপোর্ট। ফলে ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ প্রদিপের মরদেহ ভারতীয় হিসেবে নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে মহেশপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, প্রদিপ কংশ বণিকের মরদেহ গত মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ভারতের কাশিপুর এলাকার একটি রাস্তার উপর পড়ে ছিল। খবর পেয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বাগদা থানা পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। মরদেহের পাশে ৪টি মোবাইল ফোন, ভারতীয় পাসপোর্ট, র্যাঙ্গস মটরের পরিচয়পত্র ও ভিজিটিং কার্ড পড়েছিল। যোগাযোগ করা হলে র্যাঙ্গস গ্রুপের কর্মকর্তা লিটন জানান, প্রদীপ কংশ বণিক তাদের হেড অফিসের ম্যানেজার। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। গত ২৩ জানুয়ারি অফিসের কাজে প্রদিপ যশোরে যান। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
তবে প্রদিপের পাসপোর্টে বিজনেস ভিসা লাগানো ছিল বলে দাবি করেন তার ছোট ভাই এবি ব্যাংকের অফিসার সুবীর কংশ বণিক। তার ভাই কি কারণে ভারতে গেছেন তা নিয়েও তাদের সন্দেহ আছে বলে জানান তিনি।
ভারতের বাগদা থেকে সাংবাদিক উত্তম সাহা জানান, পশ্চিবঙ্গের বাগদা থানার কাশিপুর গ্রামের সীমান্ত এলাকায় একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার পাসপোর্ট নম্বর আর ৪৮৮৭৮০৮।
এদিকে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রদীপের নিকট যে পাসপোর্ট ছিল তা ভারতীয়। ফলে তার লাশ ভারতীয় পুলিশ ও বিএসএফ নিজেদের নাগরিক দাবি করে নিয়ে যায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পুলিশ ও বিজিবির কর্মকর্তারা মনে করেন, প্রদিপ কংশ দ্বৈত নাগরিক ছিল। কিন্তু প্রদিপের নিহত হওয়ার ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছে তার পরিবার।
এমআর/এসআইএইচ