ব্রাহ্মণবাড়িয়া ‘নাপা এক্সটেন্ড’ সঙ্কট
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে জ্বরের ওষুধ ‘নাপা এক্সটেন্ড’ ট্যাবলেটের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। বছর খানেক ধরে এ সঙ্কট চলায় সাধারণ মানুষ ভুগান্তিতে পড়েছে।
অনেকে মনে করেন, করোনায় ‘নাপা এক্সটেন্ট’ ভালো কাজ করে। ফলে এর চাহিদ বেশি। মহামারির সময় জ্বর-সর্দি হলেই মানুষ ‘নাপা এক্সটেন্ড’ খেতে পছন্দ করেন। ফলে ওষুধটির চাহিদা বেড়েছে। তবে এ সঙ্কটের বিষয়ে ব্যবসায়ী ও কোম্পানি একে অপরকে দায়ী করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বাগানবাড়ির বাসিন্দা মুরসালিন আহমেদ জানান, বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে ‘নাপা এক্সটেন্ড’র চরম সঙ্কট তৈরি হয়েছে। যেহেতু এটা ভালো কাজ করে, তাই এর চাহিদা স্বাভাবিকভাবেই বেশি। তাই বলে একটি জেলা শহরের ফার্মেসিতে গিয়ে এ ওষুধটি না পাওয়া দুঃখজনক। এ সমস্যা সমাধানে সংশ্লিষ্টদের সক্রিয় হওয়া প্রয়োজন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কে দাস মোড়ের ওষুধ ব্যবসায়ী আশরাফ মেডিকেল হলের মালিক নাজির আহমেদ বলেন, ‘আগে ‘নাপা এক্সটেন্ড’ পাওয়া সহজ ছিল। কিন্তু এখন আমরা যদি কোম্পানির কাছে ১০০ প্যাকেট চাই, তাহলে আমাদের দেওয়া হচ্ছে ৪ বা ৫ প্যাকেট। এতে চাহিদা মিটছে না। ওষুধ কোম্পানি ইচ্ছা করে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে রেখেছে। এতে কোম্পানির ব্র্যান্ড ভেল্যু বাড়ছে। কিন্তু তাই বলে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া উচিত নয়।’
একই অবস্থা কুমিল্লা শহরেও। সেখানকার ওষুধ ব্যবসায়ীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসে এখান থেকে ‘নাপা এক্সটেন্ড’ কিনে নিয়ে যাচ্ছে, ফলে সঙ্কট আরও প্রকট হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেক্সিমকো ওষুধ কোম্পানির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দায়িত্বে থাকা মেডিকেল প্রমোশন অফিসার (এমপিও) মো. শাহিন জানিয়েছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে পর্যাপ্ত ‘নাপা এক্সটেন্ড’ ট্যাবলেট সরবরাহ করা হচ্ছে। সঙ্কট থাকার কথা নয়। কিন্তু আপনি যে সঙ্কটের কথা বলছেন, তা মূলত স্থানীয় ব্যবসায়ীদের তৈরি। বেশি মুনাফার আশায় তারা এ সঙ্কট তৈরি করতে পারেন। আজও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪০০ প্যাকেট ‘নাপা এক্সটেন্ড’ এসেছে। কোম্পানি কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করে রাখার প্রশ্নই আসে না।‘
৪০০ প্যাকেট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জন্য পর্যাপ্ত কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটি পর্যাপ্ত। তবে কুমিল্লা থেকে ব্যবসায়ীরা এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ‘নাপা এক্সটেন্ড’ নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানেন না বলে জানান এমপিও শাহিন।
এসকে/এমএসপি