ক্যাশ না থাকলেও আড়াই লক্ষাধিক টাকা চুরি!
প্রতিদিন কার্যক্রম শেষে পোস্ট অফিসের টাকা জমা দেয়া হয় থানায়। ওই পোস্ট অফিসের সঙ্গে যৌথভাবে যুক্ত ব্যাংক এশিয়া। বুধবার (২৬ জানুয়ারি) দিন শেষে ওই ব্যাংক প্রতিনিধি পোস্ট মাস্টারকে জানালেন 'আজ কোনো ক্যাশ নাই'।
অথচ বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে দাবি করেন, ড্রয়ার থেকে আড়াই লক্ষাধিক টাকা চুরি হয়েছে! ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের গুরুদাসপুর পৌর সদরের হাট গুরুদাসপুর পোস্ট অফিসে।
গুরুদাসপুর থানার ওসি আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে।
ব্যাংক এশিয়ার প্রতিনিধি সিএসও কেয়া খাতুন জানান, বুধবার অফিসের কার্যক্রম শেষে তিনি ২ লাখ ৫৮ হাজার টাকা ড্রয়ারে তালাবদ্ধ করে রেখে চলে যান। বৃহস্পতিবার সকালে অফিস সময় নিজ কক্ষে গিয়ে দেখেন একটি ড্রয়ার ভাঙা ও সিসি ক্যামেরার হার্ডডিস্ক নেই। পরে তিনি পোস্ট মাস্টারসহ স্টাফদের জানান।
এ বিষয়ে পোস্ট অফিসের নৈশ প্রহরী জানান, তিনি রাত ২টা পর্যন্ত ডিউটি করেন। পরে তালাবদ্ধ করে অফিসের মধ্যে ঘুমিয়ে পরেন। রাতে কোনো লোকজন প্রবেশ করেনি এবং কোনো প্রকার ভাঙচুরের শব্দও পাওয়া যায়নি।
তবে পোস্ট মাস্টার মিজানুর রহমান জানান, বুধবার ওই প্রতিনিধি জানিয়েছেন 'কোন ক্যাশ নেই'। পোস্ট অফিসেরও ক্যাশ ছিল না। এ জন্য থানায় যাওয়া হয়নি। বৃহস্পতিবার সকালে টাকা চুরির কথা জানান তিনি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মতিন বলেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ওই প্রতিনিধির তথ্যমতে, বুধবার কালেকশন শেষে তিনি ১৮ লাখ টাকা ব্যাংকে জমা দিয়েছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, সিসিটিভির হার্ডডিস্ক নেই। তবে ড্রয়ার ঠিক আছে। আর ওই ড্রয়ারটি এখনও ওই প্রতিনিধির কাছে থাকা চাবি দিয়ে খুলছে। বিষয়টির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
কেএম/এমএসপি