বাংলাদেশে র্যাবকে বন্ধ করে দেওয়া উচিত: ডা. জাফরুল্লাহ
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, ‘পুলিশ থাকার পরও দেশে র্যাব থাকতে হবে কেন? র্যাবের বর্তমান যে কার্যকলাপ সে হিসেবে দেশে র্যাব থাকা উচিৎ-ই না। র্যাবকে বন্ধ করে দেওয়া উচিৎ।’
বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) দুপুর ১টায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা ক্যাম্প ও অপারেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, মাদক ইত্যাদি ইস্যুতে র্যাব যে কর্মকাণ্ড করছে তাতে বিশ্বে নিষিদ্ধ হওয়াটাই স্বাভাবিক। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের এম্বাসি, সংস্থার মাধ্যমে র্যাবের কার্যক্রম দেখছে। যদিও র্যাবের শুরুটা করেছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। র্যাব সঙ্কট উত্তরণে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) চলমান ইস্যু নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রী চাইলে বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবেই শেষ করতে পারতেন। তার উদাসীনতায় শাবিপ্রবি ইস্যুতে অনেক জল ঘোলা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলা কোনোভাবেই উচিৎ হয়নি। অর্থসহায়তাকারীদের গ্রেপ্তার করা ঠিক হয়নি। আমি টাকা প্রদান করলে আমাকেও কি গ্রেপ্তার করা হতো? শিক্ষার্থীদের ওপর থেকে দ্রুত মামলা প্রত্যাহার করা হোক। অন্য ভিসিদেরও বিষয়টি বুঝা উচিৎ। সরকারের উচিৎ ভিসিকে দ্রুত অন্য কোনো জায়গায় সরিয়ে নেওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার সব সময় ভুল পথে হাঁটে। যারা সরকারের সমালোচনা করেন, তাদের সহ্য করার ক্ষমতা সরকারের নেই। যেকোনো ইস্যুতে নিজেদের স্বার্থে সরকার অন্ধ হয়ে যায়। আমাদের দেশে যারা রাজনীতি করেন তাদের মাঝে সহিষ্ণুতার অভাব রয়েছে। সারা পৃথিবীতেই লোকজন সরকারের সমালোচনা করছেন। তারা সহ্য করতে পারেন, আমরা পারি না। এটা হতে পারে না।’
গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রসঙ্গে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে এখনো ঠিক মতো স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছায়নি। আরও বেশি আশা করি আমরা। ডাক্তাররা এখনো গ্রামে থাকতে চান না। তাদের যদি সরকার কর্তৃক বিশেষ সুবিধা দেওয়া হতো তাহলে হয়তো ডাক্তাররা গ্রামাঞ্চলে আসার আগ্রহ দেখাতেন। সাধারণ মানুষকে গণস্বাস্থ্যের মাধ্যমে আমরা যে সেবা দিচ্ছি তা অনুকরণীয় হতে পারে।’
এ সময় পাগলা বাজার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালের উদ্যোগে ঢাকা থেকে আসা বিশেষজ্ঞ মেডিকেল টিমের (মেডেসিন, গাইনি, চক্ষু, শিশু ও সার্জারি) বিভিন্ন চিকিৎসা সেবা পরিদর্শন ও পরামর্শ দেন তিনি। পরিদর্শনের সময় পাগলা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পরিচালক মো. আবদুল আউয়ালসহ গণস্বাস্থ্যের কেন্দ্রীয় হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ ২৭ জন চিকিৎসকসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমএসএস/এমএসপি