১৩ বছর আইনি লড়াই শেষে কারাগারে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে
মোছা. দুলভী বেগম ও তার স্বামী আব্দুর রশিদ শহিদ। ছবি: সংগৃহীত
দীর্ঘ ১৩ বছর আইনি লড়াই। এরপর কারাগারে প্রেমিকের সঙ্গে বিয়ে হলো সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরের মোছা. দুলভী বেগমের। হাইকোর্টের নির্দেশে মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ কারাগারের জেল সুপারের কক্ষে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়। এসময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হোসেনসহ কারা কর্তৃপক্ষ উপস্থিত ছিলেন।
দুলভী বেগম জানান, বাবা মারা যাবার পর মা সরলা বেগমসহ মামা বাবুল মিয়ার বাড়ি জগন্নাথপুরের শ্রীরামসী এলাকার নবীনগরে চলে আসেন তারা। ওখানেই গ্রামের ছাইম উল্লাহর ছেলে আব্দুর রশিদ শহিদের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তার। পরে গোপনে কাবিন ছাড়াই বিয়েও করেন তারা। এরপর দুলভী গর্ভবতী হলে দুই মাসের মাথায় আব্দুর রশিদ শহিদ ইংল্যান্ডে চলে যান। এরপর থেকে দুলভী বেগমের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন তিনি। ১৩ বছর পর সন্তানকে বাবার পরিচয় দিতে পেরে খুশি বলেও জানান দুলভী বেগম।
দুলভী বেগমের করা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয় আব্দুর রশিদ শহিদের। মঙ্গলবার দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে সুনামগঞ্জ জেলা কারাগারে দুলভী ও আব্দুর রশিদ শহিদের বিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্পন্ন করা হয়। ছয় লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে পড়ান কাজী।
আব্দুর রশিদ শহিদের স্ত্রী সাজনা বেগমও বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা হোসেন, জেল সুপার শফিউল আলম, অতিরিক্ত জেলা সুপার হুমায়ুন কবিরসহ দুইপক্ষের কয়েকজন স্বজনও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেল সুপার হুমায়ুন কবির বলেন, সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে এই বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে।