সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

আজকের এই দিনে মুক্তির স্বাদ পান নওগাঁবাসী

ফাইল ছবি

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে দেশ স্বাধীন হলেও কিছু জেলা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল ওই বাহিনী ও তাদের দোসররা। নওগাঁ ছিল সেগুলোর মধ্যে একটি। আজকের এই দিনে মুক্তির স্বাদ পান নওগাঁবাসী। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি সেনাদের আত্মসমর্পণের খবর পেয়ে জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে নওগাঁকে মুক্ত করার প্রস্তুতি নেন মুক্তিবাহিনীর স্থানীয় কমান্ডার জালাল হোসেন চৌধুরী। সে অনুযায়ী পরদিন ভোরে তার নেতৃত্বে নওগাঁ শহরের দিকে এগোয় প্রায় সাড়ে ৩ শত বীর মুক্তিযোদ্ধা। সেখানে পাকিস্তানি সেনাদের সঙ্গে রাত পর্যন্ত চলে সম্মুখ যুদ্ধ। দুর্বল হয়ে পড়ে হানাদাররা।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার হারুন অর রশিদ বলেন, ‘১৬ থেকে ১৮ ডিসেম্বর, এ দুই দিন আমাদের কাছে ছিল খুবই ভয়াবহ। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় বোঝা যাচ্ছিল না কোথায় কী হচ্ছে।’

হারুন জানান, ১৮ ডিসেম্বর বগুড়া থেকে ভারতের মেজর চন্দ্র শেখর ও তার দল এবং পশ্চিম দিনাজপুরের বালুরঘাট থেকে পি বি রায়ের নেতৃত্বে মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী নওগাঁয় প্রবেশ করে। চূড়ান্ত হার মানে হানাদার বাহিনী।

সেদিন সকাল ১০টার দিকে প্রায় দুই হাজার পাকিস্তানি সেনা শহরের পিএম গার্লস স্কুল, সরকারি গার্লস স্কুল, পুরাতন থানা চত্বর ও এসডিও অফিস এলাকায় রাস্তার দু’পাশে অস্ত্র রেখে আত্মসমর্পণ করেন। এসডিও অফিস চত্বরে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা।

নওগাঁর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মেহমুদ মুস্তফা রাসেল ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি সেনারা ঢাকায় আত্মসমর্পণের খবর শোনার পর থেকেই বীর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয় উল্লাসের জন্য নওগাঁ শহরে প্রবেশের চেষ্টা করে। ১৭ ডিসেম্বর সকাল ৭ টার দিকে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩-৪ শত মুক্তিযোদ্ধা নওগাঁ শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। জগৎসিংহপুর, খলিশাকুড়ি, হাট-নওগাঁ, শিবপুর থেকে মুক্তিযোদ্ধারা শহরের ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করলে পাকিস্তানি সেনারা মার্টার সেল নিক্ষেপ করে। শুরু হয় সম্মুখ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে ৭ জন শহিদ হন।’

তিনি আরোও বলেন, ‘সেদিন যারা শহিদ হয়েছেলেন- কিশোর অছিমুদ্দিন, ফজলু, ফরিদ হোসেন, আমজাদ হোসেন, ওসমান, শাহাদাত হোসেন, ইসাহাক। পর দিন ১৮ ডিসেম্বর সকালে বগুড়া থেকে অগ্রসরমান ভারতীয় মেজর চন্দ্র শেখর, পশ্চিম দিনাজপুর বালুরঘাট থেকে পিবি রায়ের নেতৃত্বে মিত্র বাহিনী নওগাঁ শহরে প্রবেশ করে। পাকিস্তানি সেনাদের তখন আর করার কিছুই ছিল না। ফলে সকাল ১০ টার দিকে প্রায় দুই হাজার পাকিস্তানি সেনা নওগাঁ কেডি স্কুল থেকে পিএম গার্লস স্কুল, পুরাতন থানা চত্বর ও এসডিও অফিস থেকে শুরু করে রাস্তার দু পাশে মাটিতে অস্ত্র রেখে সারিবদ্ধ ভাবে দাড়িয়ে নত মস্তকে আত্মসমর্পণ করে। এ নওগাঁর বিহারি সম্প্রদায় কেডি সরকারি স্কুলে আশ্রয় নেয়। পুরাতন কালেক্টর (এসডিও) অফিস চত্বরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সেখানে উপস্থিত মুক্তিযোদ্ধারা পতাকার প্রতি সালাম জানিয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। এর মধ্যে দিয়ে ১৮ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় নওগাঁ।’

জেলার সামাজিক সংগঠন একুশে পরিষদের সভাপতি ডি এম আবদুল বারী বলেন, প্রতিবছর এ দিনটিকে ‘নওগাঁ হানাদার মুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করেন তারা।

Header Ad
Header Ad

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে

ছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত ১২ বছরের শিশু আরাফাতের মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

রোববার (২২ ‍ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১ টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সেল সম্পাদক জাহিদ আহসান স্বাক্ষরিত এ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়, শহীদের মিছিল ভারী করে ২২ ডিসেম্বর রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে ১২ বছরের শিশু যোদ্ধা গুলিবিদ্ধ আরাফাত শাহাদাত বরণ করেছেন। রাজধানীর সিএমএইচে চিকিৎসারত অবস্থায় কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হৃদ্‌যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে) হয়ে সে শাহাদাত বরণ করে। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, শাহাদাত বরণ যেভাবে আমাদের বেদনাতুর করে, সেভাবেই সাহস এবং উৎসাহ জোগায় নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের। আমরা শহীদদের আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ গড়তে একবিন্দুও পিছপা হব না। শহীদ আরাফাতের মৃত্যুসহ জুলাই গণহত্যার কুশীলব শেখ হাসিনা, তার সঙ্গী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং গুলি চালানো বাহিনীর সব সদস্যকে অতি দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।

শহীদ আরাফাতের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আরও জানায়, একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করছি। ২৩ ডিসেম্বর দুপুর তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদ আরাফাতের জানাজা হবে।

Header Ad
Header Ad

আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা

বক্তব্য রাখছেন নৌ পরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। ছবি: সংগৃহীত

নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, এই সরকার অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কাজ করছে। যতই বদনাম করুন, চার মাসের কাছাকাছি শোনেন নাই যে হাজার কোটি টাকা পাচার হয়ে গেছে। এই সরকারে যারা কাজ করছে হয়ত তাদের অনেকেরই আমাদের মত প্রশাসনিক নলেজ কম থাকতে পারে, কিন্ত কোনো অসৎ ব্যক্তি আমাদের কেবিনেটে নেই, টপ টু বটম।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের পতেঙ্গা বোট ক্লাবে বিএসসির (বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন) ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নৌ উপদেষ্টা বলেন, বিএসসিতে আগের মতো চুরিচামারি ও হেরফের হবে না। কোনো চোর ধরা পড়লে তার আর রক্ষা নেই।

ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, বিএসসির জাহাজের বহর আরও বড় করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি, আগামী দুই বছরে এটা সম্ভব হবে। তখন শেয়ার হোল্ডাররা আরও বেশি লভ্যাংশ পাবে বলে।

তিনি আরও বলেন, আমরা চট্টগ্রামে (বন্দরে) ফরেন ডাইরেক্ট ইনভেস্টমেন্টের ব্যবস্থা করছি। কয়েকটা কান্ট্রি চট্টগ্রাম বন্দর, বে টার্মিনালসহ আরও অন্যান্য বন্দরে বিনিয়োগ করতে চাচ্ছে। ১ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংক ৬০০ মিলিয়ন ডলার বে টার্মিনালে বিনিয়োগ করার জন্য বসে আছে। দ্রুত আমরা এটা সাইন করবো।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, শেয়ারের বাজারে বর্তমান দুর্দিনে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন শেয়ার হোল্ডারদের জন্য ২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। আশা করছি, আগামী বছর এ লভ্যাংশ আরও বাড়বে।

বিএসসির ৪৭তম বার্ষিক সাধারণ সভায় বিএসসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) কমডোর মাহমুদুল মালেক বলেন, প্রতিষ্ঠার ৫৩ বছরের মধ্যে এবার সর্বোচ্চ নিট মুনাফা করেছে বিএসসি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কর সমন্বয়ের পর সংস্থাটির নিট মুনাফা হয়েছে ২৪৯.৬৯ কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালের ৫ ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়। তখন শিপিং করপোরেশনের বহরে ছিল ৩৪টি জাহাজ। এতো জাহাজ থাকার পরও সে সময় বিএসসি লোকসানি প্রতিষ্ঠান ছিল। বর্তমানে পাঁচ জাহাজে রেকর্ড সংখ্যক লাভ করেছে।

Header Ad
Header Ad

কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ছবি: সংগৃহীত

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে এবং নতুন কোনো সমস্যার সৃষ্টি না হলে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর লন্ডন যেতে পারেন।

রোববার (২২ ডিসেম্বর) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, আশা করছি, সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২৯ ডিসেম্বর তিনি লন্ডনে যাবেন। ম্যাডামের সঙ্গে তার চার-পাঁচজন চিকিৎসক যাবেন। ইতোমধ্যে প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, শারীরিকভাবে নতুন কোনো সমস্যা উদয় না হলে, ২৯ ডিসেম্বর (রোববার) দিনে একটি ফ্লাইটে খালেদা জিয়া ঢাকা ছাড়বেন। তার সঙ্গে সফর করবেন মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্য ডা. শাহাবউদ্দিন, ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেনসহ কয়েকজন।

এর আগে, ২৯ অক্টোবর অধ্যাপক জাহিদ হোসেন জানিয়েছিলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে প্রথমে ‘লং ডিসটেন্স স্পেশালাইজড এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর সেখান থেকে তাকে তৃতীয় একটি দেশে মাল্টিডিসিপ্ল্যানারি মেডিক্যাল সেন্টারে নেওয়া হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শিশু আরাফাত মারা গেছে
আমাদের কেবিনেটে কোনো অসৎ ব্যক্তি নেই: নৌ উপদেষ্টা
কবে লন্ডন যাচ্ছেন খালেদা জিয়া, যা জানা গেল
হামাসের সঙ্গে সংঘর্ষে ৩৫ ইসরাইলি সেনা নিহত, আহত শতাধিক
নতুন স্বরাষ্ট্রসচিব ড. নাসিমুল গনি
গুম করে বন্দিদের ভারতে পাঠাতেন শেখ হাসিনা!
বিরামপুরে সাদ পন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ
নওগাঁয় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
আব্রাম না থাকলে তাকে আমার যোগ্য বলেই মনে করতাম না: অপু বিশ্বাস
কাবাঘরে ‌‘জয় বাংলা’ স্লোগান, পরিচয় জানা গেল সেই যুবকের
গাইবান্ধায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেফতার
ডিসেম্বরেই বিশ্বব্যাংক ও এডিবির ১১০০ মিলিয়ন ডলার পাবে বাংলাদেশ
বঙ্গোপসাগর বড় বড় শক্তির নজরে পড়েছে: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতুর নাম পরিবর্তন হয়ে যা হলো
ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীদের হামলার প্রতিবাদে নওগাঁয় মানববন্ধন
আমনের ভরা মৌসুমেও বাড়তি চালের দাম, কারসাজিতে কারা?
গোবিন্দগঞ্জে ট্রাকচাপায় নারীসহ ২ জন নিহত
বুয়েট শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় তিন আসামি ২ দিনের রিমান্ডে
আবারও বৃষ্টির আভাস, তাপমাত্রা কমে বাড়তে পারে শীত
উপদেষ্টা হাসান আরিফের মৃত্যুতে সোমবার রাষ্ট্রীয় শোক