শ্বশুরবাড়িতে জামাইয়ের মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা
কুষ্টিয়ায় শ্বশুরবাড়িতে নাসির হোসেন (৩২) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, পরিকল্পিতভাবে থাকে হত্যা করা হয়েছে।
সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার লাহিনী বটতলা খুনকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নাসির হোসেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়ন ভাদালিয়া কাথুলিয়া গ্রামের সাজ্জাদ হোসেনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শ্বশুরবাড়ির লোকজন নাসিরের মরদেহ দড়ি থেকে নামিয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
রবিবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে নাসির তার শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে যান কিন্তু পরদিন সকালে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
নাসিরকে হত্যার পর তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে বলে দাবি করেছেন নিহতের ছোট ভাই নাজমুল।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার লাহিনী বটতলা খুনকারপাড়া এলাকার শওকত আলীর মেয়ে সুমাইয়া সুলতানা কাঞ্চনের (৩২) বিয়ে হয়।
বিয়ের পর থেকেই নাসির তার বাড়িতে থাকলেও সুমাইয়া ঢাকাতে চাকরি করতো। তিনি কুষ্টিয়ায় তার বাড়িতে বেড়াতে গেলে নাসির শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে সকালে শ্বশুরবাড়ি থেকে নাসিরের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাব্বিরুল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘খবর পেয়ে নাসিরের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএ/এমএসপি