ফেনীতে ইকোপার্ক ও নদীতে অবমুক্ত উদ্ধার করা ১০৮টি সুন্দি কাছিম
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর বিসিক মোড় থেকে ১৯ মে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ১০৮টি সুন্দি কাছিম উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় কনক চন্দ্র দাস নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। তিনি লক্ষীপুরের কমলনগর উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মৃত উপানন্দ চন্দ্র দাসের ছেলে।
শনিবার দুপুরে কাজিরবাগ ইকোপার্কে কাছিমগুলো অবমুক্ত করা হয়। ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন, সামাজিক বন বিভাগ ফেনী সদরের রেঞ্জ অফিসার বাবুল চন্দ্র ভৌমিক, ফেনী বন্যপ্রাণী রেস্কিউ টিমের ফাউন্ডার সাইমুন ফরাবী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মোহাম্মদ শাহাদাৎ হোসেন জানান, ফেনী মডেল থানার বিশেষ দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিসিক মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। এক ব্যক্তি তিনটি ক্যারেটে ভরে ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এসময় ১০৮টি (৮০ কেজি) সুন্দি কাছিম উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা কাছিমগুলো শনিবার দুপুরে কাজিরবাগ ইকোপার্ক ও কালিদাস পাখালিয়া নদীতে অবমুক্ত করা হয়েছে।
জিজ্ঞাসাবাদে আটক ব্যক্তি জানায়, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন চর এলাকার লোকজনের কাছ থেকে কাছিমগুলো সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে নিজ হেফাজতে রেখে ফেনীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদারীপুর, সাতক্ষীরা ও খুলনায় দীর্ঘদিন যাবৎ কাছিম পাচার করে আসছে।
বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা বন্যপ্রাণী গবেষক জোহরা মিলা জানান, সুন্দি কাছিম স্থানীয়ভাবে 'চিতি কাছিম' নামেও পরিচিত। দুই থেকে তিন দশক আগেও দেশের নদী, খাল, বিল, হাওর ইত্যাদি জলাশয়ে প্রচুর সুন্দি কাছিম দেখা যেত, তবে বাসস্থান ধ্বংস ও ক্রমাগত শিকারের কারণে এই জলজ প্রাণী হারিয়ে যেতে বসেছে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, প্রাণীটি বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ এর তফসিল-২ অনুযায়ী সংরক্ষিত। তাই সুন্দি কাছিম হত্যা বা এর ক্ষতিসাধন শাস্তিযোগ্য অপরাধ। আটককৃত পাচারকারীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
এসএন