কুয়াকাটায় ‘মোখা’র প্রভাব নেই, সমুদ্রে এখনো মাছ ধরার ট্রলার
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে এখনো প্রভাব পড়েনি ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র। আগামী ১৩ মে সন্ধ্যা থেকে পরের দিন ভোরে নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় আকারে আঘাত হানতে পারে সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায়। বর্তমানে প্রখর রোদের তাপে অতিষ্ঠ উপকূলবাসী। বৃষ্টি কিংবা ঝড়ো-বাতাস নেই কোথাও। সমুদ্র এখনো উত্তাল হয়নি। তাই এখনো সমুদ্রে মাছ ধরছে হাজারো জেলে।
উপকূলের জেলেরা জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র সংবাদ শুধু গণমাধ্যমের বদৌলতে তারা জানছেন। বাস্তবে এর কোনো প্রভাব পড়েনি। এখনো সমুদ্র শান্ত আছে। জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পায়নি। সবকিছু স্বাভাবিক আছে। এখনো জেলেদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েনি। তবে তারা সর্তক রয়েছেন। পত্রিকা, টেলিভিশনসহ ফেসবুক, ইউটিউবে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র সংবাদ দেখছেন।
আলীপুর-মহিপুর ঘুরে দেখা গেছে, কিছু ট্রলার মাছ শিকার করে ঘাটে ফিরে এসেছে। কিছু ট্রলার মাছ বিক্রি করে আবার সমুদ্রে ফিরে গেছে। অধিকাংশ ট্রলার এখনো সমুদ্রে অবস্থান করছে। যে ট্রলারগুলো সমুদ্রে গেছে অথবা অবস্থান করছে, তা আবহাওয়ার গতিবিধি দেখে তীরে ফিরবে।
ট্রলার মাঝি জহিরুল ইসলাম বলেন, বুধবার বিকালে আমি সমুদ্র থেকে ঘাটে এসেছি। সমুদ্রে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কোনো প্রভাব দেখেনি। আমার কাছে সবকিছু স্বাভাবিক মনে হয়েছে।
ট্রলারমালিক শাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৃহস্পতিবার (১১ মে) থেকে যেসব ট্রলার ঘাটে ফিরে আসবে তা সমুদ্রে যাবে না। আজকেও কয়েকটি ট্রলার সাগরে গেছে। আবহাওয়া খারাপ না হলে অবরোধের আগে ঘাটে ফিরে আসবে। আর আবহাওয়া খারাপ হলে দ্রুত চলে আসবে।
ট্রলার মাঝি রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, ২০ তারিখ থেকে ৬৫ দিনের অবরোধ শুরু হবে। এখন ঘাটে বসে থাকার সময় নাই। যেসব ট্রলার সমুদ্রে আছে, তা আবহাওয়া খারাপ দেখলে ফিরে আসবে।
কলাপাড়া উপজেলা ফিশিং ট্রলার মাঝি সমবায় সমিতির সভাপতি মান্নান মাঝি বলেন, অধিকাংশ ট্রলার এখনো সমুদ্রে আছে। ট্রলারগুলো উপকূলের কাছাকাছি নিরাপদ স্থানে মাছ শিকার করছে। আবহাওয়া বৈরী হলেই খাপড়াভাঙ্গা নদীতে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে আসবে।
কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, আমরা উপজেলার মৎস্য ব্যবসায়ী নেতাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। এখনো কিছু মাছ ধরা ট্রলার সমুদ্রে আছে। শুক্রবারের মধ্যে নিরাপদে ফিরে আসবে।
এসজি