শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ | ২৭ চৈত্র ১৪৩১
Dhaka Prokash

সিসিকের ‘উন্নয়ন দুর্ভোগ’, নগরের ড্রেনে ভাসে ময়লার স্তুপ

দোকানের সামনের রাস্তা থেকে ময়লা-আবর্জনা সরাচ্ছিলেন শফিক মিয়া। আধ ঘণ্টার বৃষ্টিতে পাশের ড্রেন থেকে ভেসে আসছিল ময়লা-আবর্জনার স্তুপ। এসব ময়লা থেকে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। দুর্গন্ধের কারণে শফিক মিয়ার দোকানের নিয়মিত ক্রেতারা আসতে চাইছেন না দোকানে! অগত্যা একটি লোহা জাতীয় বস্তু দিয়ে তিনি ভেসে আসা ময়লাগুলো সরিয়ে দিতে চেষ্টা করেন।

শফিক মিয়ার দোকান নগরীর নাইওরপুলে। শুধু শফিক মিয়াই নন, এমন দুর্ভোগের শিকার তালতলা এলাকার টায়ার ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিনও। একই অভিযোগ ধোপাদীঘির পাড়স্থ ব্যবসায়ী শওকত আলীর। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন কালিঘাট, ছড়ারপাড় ও মাছিমপুর এলাকার লোকজন। জলাবদ্ধতাসহ ড্রেনের আবর্জনার চিত্র এই এলাকার নিত্য-নৈমিত্তিক ব্যাপার। এর ফলে পানির স্বাভাবিক প্রবাহ বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। যার ফলে বর্ষা মৌসুমে নগরবাসী ফের বন্যার কবলে আক্রান্ত হতে পারেন।

বৃহস্পতিবার নগরীর লামাবাজার ভাতালিয়া গলির নোয়াপাড়া মসজিদের পূবে সড়কের পাশে দেখা যায় খোলা ড্রেনে আবর্জনা জমে পানিপ্রবাহ বন্ধের উপক্রম। বদ্ধ পানি থেকে ছড়াচ্ছে বিকট দুর্গন্ধ।

এই দুর্ভোগ লাঘবে কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ পেলেও টানা দুইবারে নগর পিতা নগরবাসীর এই দুর্ভোগ সমাধান করতে পুরোপুরি ব্যর্থ। বর্ষা যখন কড়া নাড়ছে দরোজায়, ঠিক সেই সময়টাতে বরাবরের মতো শঙ্কায় নগরবাসী। মাত্র কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে নালা-ছড়া উপচে রাস্তায় পানি উঠে আসে। এর সাথে আসে ময়লা আবর্জনা। বৃষ্টি থামলে পানি নেমে গেলেও বিভিন্ন বাসাবাড়ির উঠোন ও রাস্তায় পড়ে থাকে ড্রেন থেকে উঠে আসা ময়লা-কাদা ও বিভিন্ন আবর্জনা। এসব আবর্জনায় আশপাশ নোংরা হওয়ার পাশাপাশি ছড়ায় দুর্গন্ধ। ড্রেনে ময়লার স্তুপের কারণ পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে বর্ষায় ভয়ানক দুর্ভোগের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

ঠিকমতো নালা, ছড়া, ড্রেন পরিষ্কার না করায় এমন হচ্ছে বলে মনে করেন ভুক্তভোগীরা। তারা অভিযোগ করেন, সিটি করপোরেশন দায়সারাভাবে মাঝে মধ্যে ড্রেন পরিষ্কারের কাজ করে। তা ছাড়া যখন পরিষ্কার করে তখন ড্রেন থেকে তোলা আবর্জনা ড্রেনের পাশেই কয়েকদিন ফেলে রাখে। এতে মানুষের পায়ে লেগে কিংবা বাতাসে তার বেশিরভাগ আবার ড্রেনেই চলে যায়। তা ছাড়া কুকুর এসব আবর্জনা নাড়াচাড়া করায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরে। এতে একদিকে যেমন পরিবেশ দূষিত হচ্ছে এর সঙ্গে ছড়াচ্ছে নানান রোগবালাই। পানিবন্দির বিড়ম্বনা তো থাকছেই।

সরেজমিনে নগরীর লামাবাজার, ভাতালিয়া, নোয়াপাড়া, দাড়িয়াপাড়া, জল্লারপাড়ায় দেখা গেছে প্রতিটি এলাকায় ড্রেনে ময়লার স্তুপ। বড়ো বড়ো ড্রেনগুলোর মুখে ময়লা জমে বন্ধ হয়ে আছে আর ছোট ছোট ড্রেনগুলো পুরোটাই ময়লা-আবর্জনায় ঢেকে আছে। এলাকাবাসী জানান, মাঝে মধ্যে সিটি করপোরেশন থেকে পরিচ্ছন্ন কর্মীরা ড্রেন পরিষ্কার করেন। তারা রাস্তার পাশের সামনের দিকে পরিষ্কার করলেও ভেতরের দিকে হাত দেন না। এতে আসলে তারা দায় সারছেন কিন্তু নাগরিক দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে না।

বৃষ্টির পানিতে ভেসে আসা ময়লা-আবর্জনা সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সিলেটের সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, নিঃসন্দেহে বিষয়টি গভীর উদ্বেগের। তবে এই ঘটনার জন্য শুধু মেয়রকে এককভাবে দায়ী করা যুক্তিযুক্ত নয়। এমন সমস্যা নগরীর সবকটি ওয়ার্ডে বিদ্যমান।

তিনি বলেন, প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নিজ নিজ ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনে নিজেদের ডিমান্ড জানালে মেয়র মহোদয়ের জন্য কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হতো। তবে তিনি নগরবাসীকেও এ ব্যাপারে সচেতন থাকার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে না ফেলে রাস্তার ফেলে রাখার কারণে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।

সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সিলেট জেলা সাবেক আহ্বায়ক মুকির হোসেন চৌধুরী বলেন, ড্রেন ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে ড্রেন উপচে পানি আর ময়লা রাস্তায় চলে আসে। বৃষ্টি হলেই আমরা আতঙ্কে থাকি কখন পানি এসে বাসায় ঢুকে। পানির চেয়ে আরও বেশি সমস্যা পানি নেমে যাওয়ার পর ময়লা কাদা আর আবর্জনার বিড়ম্বনা। পানি নেমে গেলেও এগুলো তো আর নামে না। তাই এবিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নজর দেওয়া জরুরি। এতে মানুষের দুর্ভোগ যেমন বাড়ছে তেমনি নগর কর্তৃপক্ষের প্রতি ক্ষোভও বাড়ছে।

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ই ইউ শহিদুল ইসলাম শাহীন বলেন, ‘এরই নাম অপরিকল্পিত উন্নয়ন। যে খাতে টাকার অপচয় এবং লুটপাট চলবে কিন্তু কমবে না দুর্ভোগ। এর ফলে নগরীর ১১টি ছড়া ও খাল উদ্ধার, ড্রেনেজ সংস্কারের নামে সরকারি বরাদ্দ এলেও শঙ্কা কমছে না নগরবাসীর।

নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর নজরুল ইসলাম মুমিন বলেন, কিছু ড্রেনের সংস্কার কাজ এখনো চলমান। ময়লা আবর্জনার বিষয়টি স্বীকার করলেও তিনি বলেন, এখন আর ছড়ারপাড়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় না। তবে চলমান কাজ শেষ হলে জলাবদ্ধতা এবং ড্রেনেজ সমস্যা থেকে ওয়ার্ডবাসী পরিত্রাণ পাবে।

সিসিকের প্রধান নিবার্হী বদরুল হক বলেন, ময়লা-আবর্জনা নির্ধারিত স্থানে ফেলে না দিয়ে অনেকেই ড্রেনের মধ্যে ফেলেন। এর ফলে সিসিকের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা লোকজন প্রতিদিন কাজ করলেও ড্রেনগুলো ফের ময়লায় ভরে যায়। তিনি বলেন, নগরবাসী সচেতন হলেই এবং নির্ধারিত স্থানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে দেওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই জলাবদ্ধতা এবং ময়লা আবর্জনাজনিত সমস্যার সমাধান সম্ভব।

এসএন

Header Ad
Header Ad

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার

দিলশাদ আফরিন। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক কমিটির শৃঙ্খলা ও আদর্শ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সংগঠনটির নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা শাখার সদস্য দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এই বহিষ্কারাদেশ জারি করা হয়।

বিষয়টি বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) গণমাধ্যমের সামনে আসে।

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন স্বাক্ষরিত ওই বহিষ্কারাদেশে বলা হয়, ‘এই পত্রের মাধ্যমে আপনাকে জানানো যাচ্ছে যে, জাতীয় নাগরিক কমিটি-এর নিয়ম ও নীতিমালা অনুযায়ী আপনার সাম্প্রতিক কর্মকান্ড আমাদের সংগঠনের শৃঙ্খলা এবং আদর্শের পরিপন্থী বলে প্রতীয়মান হয়েছে। সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এবং সংগঠনের শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্য সচিব আখতার হোসেন এর অনুরোধক্রমে আপনাকে জাতীয় নাগরিক কমিটি থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।’

নারায়ণগঞ্জ জেলার দায়িত্বে থাকা জাতীয় নাগরিক কমিটির সাবেক যুগ্ম সদস্য সচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন দিলশাদ আফরিনকে বহিষ্কারের বিষয়ে বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় নাগরিক কমিটি অভিযোগ তদন্ত করে সত্যতা পাওয়ায় গত ৮ এপ্রিল তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে।

আফরিন জাতীয় নাগরিক কমিটির শহীদ আহত কল্যাণ সেলের কোনো দায়িত্বে ছিলেন না। তারপরেও তিনি ব্যক্তিগতভাবে শহীদ ও আহত পরিবারের আর্থিক বিষয় নিয়ে কাজ করেছেন। যা নিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটি অবগত ছিল না বলেও জানান তিনি।

Header Ad
Header Ad

সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে বিএনপি ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। এ ছাড়া জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বাড়ানো যায়, তা নিয়েও দলটি কাজ করতে চায়।

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) আয়োজনে বিনিয়োগ সম্মেলন ২০২৫–এ অংশ নিয়ে বিএনপি এসব পরিকল্পনার কথা জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

‘১ ট্রিলিয়ন ডলার ইকোনমি’ শিরোনামে দেওয়া ওই পোস্টে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর লিখেছেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থান বা চাকরির ব্যবস্থা করবে। প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই)/মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) লক্ষ্যমাত্রার শূন্য দশমিক ৪৫ শতাংশ থেকে জিডিপির ২ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে বিএনপি। ২০৩৪ সালে জিডিপির লক্ষ্যমাত্রা ১ ট্রিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে বিএনপি। জনগণের ঘাড় থেকে বাড়তি করের লাগাম টেনে ধরা, মানুষের মন থেকে করের ভয় দূর করে কীভাবে কর আহরণ বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়েও কাজ করতে চায় বিএনপি।

বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বা এফডিআইকে জনপ্রিয় করতে বিএনপি ১১টি রেগুলেটরি পরিবর্তনের প্রস্তাব করেছে বলেও পোস্টে উল্লেখ করেন মির্জা ফখরুল। এর মধ্যে আটটি প্রস্তাবের কথা তুলে ধরেছেন তিনি। এগুলো হলো বিডাকে কার্যকর করা, ভিসা বা ওয়ার্ক পারমিট বিধির আধুনিকীকরণ, বিনিয়োগকারীদের জন্য ২৪x৭ (দিনে ২৪ ঘণ্টা ও সপ্তাহে ৭ দিন) সেবা চালু করা, স্বয়ংক্রিয় মুনাফা প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা, স্থানীয়ভাবে দক্ষ জনশক্তির ব্যবস্থা করা, বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সঙ্গে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া এবং প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধি।

সরকার গঠন করতে পারলে দেশের মানবসম্পদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধির ব্যবস্থা নেওয়া, প্রকৃত প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানের পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধির জন্য বিএনপি অতীতের চেয়েও ব্যাপক সফলতা অর্জন করতে চায় বলে জানান মির্জা ফখরুল। পোস্টে তিনি জানান, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিনিয়োগ সম্মেলন উপলক্ষে এক শুভেচ্ছাবার্তায় তিনটি বিষয় বলেছেন। এগুলো হলো ঐক্যই ভবিষ্যৎ জাতীয় উন্নয়নের সোপান, এফডিআই আকৃষ্ট করতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সরকার আইন করেছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার সরকারগুলোর বিনিয়োগবান্ধব নীতি ছিল।

Header Ad
Header Ad

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত। ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বেলা ১১ টা থেকে ‍দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকা মেহেরপুর জেলার ইছাখালি সীমান্ত এলাকার মেইন পিলার ১২৪ এর নিকট শূন্য রেখা বরাবর ভারতীয় পার্শ্বে বিএসএফ নব চন্দ্রপুর ক্যাম্পে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বিজিবি সূত্র জানায়, চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এবং প্রতিপক্ষ ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের সাথে ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে বিজিবি’র পক্ষে চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হাসান স্টাফ অফিসারসহ মোট ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব প্রদান করেন।

অপরদিকে বিএসএফ এর পক্ষে ৫৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট শ্রী বিনয় কুমার তাঁর স্টাফ অফিসারসহ ৮ সদস্য বিশিষ্ট প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকের শুরুতে উভয় পক্ষ ঈদ-উল-ফিতর পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার সীমান্ত এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার লক্ষ্যে চোরাচালান প্রতিরোধ, অবৈধ অনুপ্রবেশ রোধ, যৌথ টহল তৎপরতা জোরদারকরণ এবং গোয়েন্দা নজরদারির বিষয়সমূহে বিস্তারিত আলোচনা করেন। সীমান্তকে অধিক সুসংহত ও কার্যকরী করার লক্ষ্যে বিজিবি-বিএসএফ যৌথভাবে কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ একমত পোষণ করেন। এছাড়াও, সীমান্তে দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখা ও সীমান্ত সংক্রান্ত যে কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার তাৎক্ষণিক তথ্য আদান-প্রদানের বিষয়ে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডারগণ সম্মত হন।

বৈঠক শেষে উভয় ব্যাটালিয়ন কমান্ডার মেইন পিলার ১২৪ সহ তৎসংলগ্ন সীমান্ত পিলারসমূহ যৌথভাবে পায়ে হেঁটে পরিদর্শন করেন।
দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে আন্তরিক ও সদ্ভাবপূর্ণ পরিবেশে বৈঠক শেষ হয়।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য দিলশাদ আফরিন বহিষ্কার
সরকারে এলে প্রথম ১৮ মাসে ১ কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে বিএনপি
চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত
আবারও চেন্নাইয়ের অধিনায়ক হলেন ধোনি
‘ক্রিম আপা’ খ্যাত কন্টেন্ট ক্রিয়েটর শারমিন শিলা গ্রেফতার
দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে সোনা, ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা
ভিন্ন ধর্মের ছেলের সঙ্গে প্রেম, বাবার হাতে প্রাণ গেল মেয়ের
পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হলেন সাবেক আইজিপি ময়নুল
জেনে নিন গ্রীষ্মে সুস্বাদু আর উপকারী কাঁচা আমের ১১টি বিস্ময়কর গুণ
এসএসসি পরীক্ষা না দিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অনশনে কিশোরী
সাধারণ মানুষ চায় এই সরকার আরো ৫ বছর থাকুক: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে টাঙ্গাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মানববন্ধন (ভিডিও)
জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে ইসরায়েল এমন অপকর্মের সাহস পেত না: মির্জা আব্বাস (ভিডিও)
নওগাঁয় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ২
বাংলাদেশ রেলওয়ের দুই কর্মকর্তাকে পদায়ন ও বদলি
২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশে হাসপাতাল বানাচ্ছে মার্কিন কোম্পানি
কাদের-কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
সিলেটে থানায় লালগালিচা দেখে ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
দিল্লিতে লিঙ্গ পরিবর্তনের চিকিৎসা নিতে এসে গ্রেপ্তার ৫ বাংলাদেশি
রবিবার ৩ জেলায় সাধারণ ছুটি, সবমিলিয়ে টানা ৪ দিনের অবকাশ