নেত্রকোনায় দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে তরমুজ
নেত্রকোনায় তীব্র গরমের কারণে চাহিদা বেড়েছে তরমুজের। গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে আবার রোজাদাররা ইফতারে পানীয় হিসেবে তরমুজ খেয়ে পিপাসা দূর করেন। আর এই তীব্র গরমের সুযোগে কিছু ব্যবসায়ী তরমুজের দাম দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি তরমুজের দাম বেড়েছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। বর্তমানে বাজারে খুচরায় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি দরে। হঠাৎ করে তরমুজের দাম বৃদ্ধিতে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তুষ্ট দেখা দিয়েছে এবং দাম নিয়ে বাগবিতণ্ডায় জড়াচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েই। অন্যদিকে কোনো উপায় না পেয়ে ক্রেতারা বেশি দামে ক্রয় করতে বাধ্য হচ্ছেন।
কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, কয়েকদিন আগেও ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি ধরে তরমুজ নিয়েছি। এখন ৭০ টাকা কেজি ধরে নিতে হচ্ছে। কোনো উপায় না পেয়ে ৭০ টাকা কেজি ধরে নিতে হচ্ছে তরমুজ। প্রশাসন ও পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে তরমুজের দামও দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। যদি প্রশাসনের বাজারগুলোতে তদারকি থাকত তাহলে হয়তো এতটা বাড়ত না ।
কয়েকজন তরমুজ ব্যবসায়ীদের কাছে মূল্যবৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, বৃষ্টির কারণে বরিশাল, দিনাজপুর, চুয়াডাঙ্গা, পটুয়াখালীর তরমুজ দ্রুত সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। কিন্তু বাজারে চাহিদা কমেনি। এখন বাজারে তরমুজের চাহিদা থাকায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে তরমুজ আনতে গেলে বেশি দামে এবং যাতায়াতে বেশি খরচ হওয়ায় তরমুজের দাম বাড়াতে হয়। না হলে তাদের লোকসান হবে বলেও জানান তারা।
জেলা ফল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জজ মিয়া বলেন, নেত্রকোনায় তরমুজের ভালো চাহিদা আছে। কিন্তু সে অনুযায়ী তরমুজ কম। কারণ রাজশাহী, চুয়াডাঙ্গা, দিনাজপুর, পটুয়াখালী, কুমিল্লা ইত্যাদি অঞ্চলগুলোতে হঠাৎ বৃষ্টি হওয়ায় তরমুজের ফসল নষ্ট হয়ে যায়। তরমুজ পরিপক্ক না হওয়ার আগেই নষ্ট হওয়া দামবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। তা ছাড়া তরমুজ আমদানি করতে গাড়ি ভাড়াও বেশি।
নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, জেলা শহরের বিভিন্ন বাজারে মনিটরিং সেল কাজ করছে। ফাঁক পেলেই কিছু ব্যবসায়ী তরমুজসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে। তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।
এসজি