বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবিযুক্ত ব্যানার ছিঁড়ে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা
পটুয়াখালীর গলাচিপায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয় ও পটুয়াখালী-৩ আসনের নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী এ্যাড. মুঃ ফখরুল ইসলাম মুকুলের ছবি সম্বলিত উন্নয়ন চিত্রের ব্যানার ফেস্টুন ছিড়ে ফেলেছে অজ্ঞাত ব্যক্তিরা। রাতের আঁধারে কে বা কারা এ বিলবোর্ডের ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে তা কেও বলতে পাড়ছেন না। এ নিয়ে জনমনে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সেই সঙ্গে দলীয় নেতাকর্মীরা চরম ক্ষোভ জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জনগণের সামনে উন্নয়নের বার্তা নিয়ে ছুটে চলছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্মবিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. মুঃ ফকরুল ইসলাম মুকুল। তার উদ্যোগে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের নানামুখী উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে সমগ্র গলাচিপা-দশমিনা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ফেস্টুন লাগানো হয়। সেই ব্যানার ফেস্টুন রাতের আঁধারে কে বা কারা ছিড়ে ফেলেছে।
স্থানীয়রা জানান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. মুঃ ফখরুল ইসলাম মুকুলের সৌজন্যে গলাচিপা উপজেলার বাদুরা বাজার সংলগ্ন মহাসড়কের পাশে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবিসহ বিভিন্ন উন্নয়নের ছবি সম্বলিত একটি বিলবোর্ড ব্যানার টাঙ্গানো ছিলো। ব্যানার টাঙ্গানোর একদিন পরেই দেখা যায় কে বা কারা যেন ব্যানারটি ছিড়ে ফেলেছে। এছাড়াও গলাচিপা ফেরিঘাট সংলগ্ন একটি ব্যানার ছিড়ে ফেলেছে।
স্থানীয়রা আরও বলেন, সম্ভবত রাতের আঁধারে প্রতিহিংসা বশত এ কাজটি কেউ করে থাকতে পারে। সরকার ক্ষমতায় থাকতে কুচক্রী মহল প্রধানমন্ত্রীর ছবিযুক্ত ব্যানার ছিড়ে চরম দুঃসাহস দেখাচ্ছে। যারা এ কাজটি করেছে তাঁরা কখনো সরকারের ভালো চায় না। এদের খুঁজে বের করে অবশ্যই আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো উচিত।
দলীয় নেতা-কর্মীরা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, কোন সুস্থ মানুষ এমন কাজ করতে পারে না। বঙ্গবন্ধু এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি ছেঁড়া আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও রাতের আঁধারে যারা কাজটি করেছে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা প্রয়োজন। না হলে এমন ঘটনা আরও ঘটবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে, গলচিপা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক সন্তোষ দে ঘটনাটি ন্যক্কারজনক উল্লেখ করে বলেন, সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে যে কেউ ব্যানার, পোস্টার করতে পারে। কিন্তু যারা এসব ব্যানার, পোস্টার ছিড়ে ফেলেছে তারা চরম হীনমন্যতার কাজ করেছে।
গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন মোবাইল ফোনে বলেন, পরিদর্শন ও তদন্ত করে এর পেছনে কেউ জড়িত আছে কি-না সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এএজেড