খেত লুটে বাঁধা দেওয়ায় তরমুজ চাষিকে কুপিয়ে জখম
বরগুনায় একটি তরমুজ খেতের তরমুজ লুটে বাঁধা দেওয়ায় খেতের চাষিকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই চাষিকে আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছেন স্থানীয়রা। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে সদরের ঢলুয়া ইউনিয়নের ফুল ঢলুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহত চাষি মিলন হাওলাদার ওই গ্রামের হামেদ হাওলাদারের ছেলে। অভিযুক্ত সাগর তিনিও একই গ্রামের দেলোয়ার হাওলাদারের ছেলে। মিলন ও সাগর সম্পর্কে চাচাতো ভাই।
প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল মান্নান বলেন, সন্ধ্যার পরপরই ৫-৭ জন অপরিচিত ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে এলাকায় এসে মিলনের তরমুজ খেতে লুট চালায় সাগর। এতে বাঁধা দিলে মিলনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কুপিয়ে জখম করে ওরা।
এ সময় আমি এগিয়ে এলে আমাকেও তাড়া করে। পরে ডাক চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে ওরা পালিয়ে যায় এবং মিলনকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই।
চাষি মিলনের মা রওশনারা বেগম বলেন, শুধু তরমুজ লুট না, মূলত আমার ছেলেকে হত্যা করতে চেয়েছিল ওরা। বরগুনা থেকে বরিশাল ও পরে ঢাকায় নিয়ে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে মিলনকে। বলা যায় না ছেলেটা আমার বাঁচবে কি না। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল হক স্বপন মোবাইল ফোনে বলেন, অভিযুক্তরা কিশোরগ্যাং সদস্য। তরমুজ চাষির কাছে একটি তরমুজ দাবি করলে চাষি তরমুজ না দেওয়ায় তাকে কুপিয়ে জখম করেছে।
এ বিষয় জানতে অভিযুক্ত সাগরের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক দাবি স্থানীয়দের। তবে এ বিষয় সাগরের দাদি আইফুল বলেন, আমার নাতি এমন কাজ করতেই পারে না। কারা না কারা এ কান্ড ঘটিয়েছে সে দায় আমাদের ওপর দিচ্ছে।
বরগুনা সদর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এএজেড