বৃষ্টি-সীমাহীন অপেক্ষায় গাড়িতেই পচছে তরমুজ, দুশ্চিন্তায় ব্যবসায়ীরা
ভোলায় তরমুজ এখন চাষী এবং ব্যবসায়ীদের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। লাগাতার কয়েক দিনের বৃষ্টিতে এবং ইলিশা ফেরি ঘাটে সীমাহীন অপেক্ষায় গাড়িতেই পচছে তরমুজ।
ফেরি পারাপারের জন্য ৩ দিন অপেক্ষা করে ঢাকা মেট্রো-ট ২০১৫২৬ নম্বরের গাড়িটি। এতে গড়িটিতে লোড করা তরমুজ পচে যায়। নষ্ট হওয়া তরমুজ ফেলা হচ্ছে নদীতে। দুশ্চিন্তায় এবং ভাড়ার টাকা পরিশোধ করতে না পারার আশঙ্কায় পালিয়ে গেছে তরমুজের ব্যবসায়ী। তবে এই গাড়িতে ২৮০০ পিচ তরমুজ নিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুরে যাওয়ার কথা ছিল বলে জানান চালক বাচ্ছু মিয়া। তবে যথা সময়ে ফেরি পার হতে পারলে তরমুজ নষ্ট হতো না বলে দাবি করেন তিনি (চালক)।
সেমবার (২৭ মার্চ) এমন দৃশ্য দেখা গেছে ভোলা প্রবেশ দ্বার ইলিশা ফেরি ঘাটে। ফেরি পারাপারের অপেক্ষায় বৃষ্টির পানিতে ভেজা তরমুচ নষ্ট হতে চলেছে। তাই ব্যবসায়ীদের মধ্যে তরমুজ নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত নেই।
ঘাটে সীমাহীন অপেক্ষায় থাকার পরে নষ্ট হওয়া ২৮০০ পিচ তরমুজ লটধরে বিক্রি হয়েছে মাত্র ৪০০০০ হাজার টাকা। এতে তরমুজ মালিকের অন্তত ৩ লক্ষ টাকা লোকসান গুনতে হবে বলে ধারনা করেন ট্রান্সপোর্ট এজেন্সির মালিক বাবুল মিয়া। তিনি জানান, আমি গাড়িটি ভাড়া দিয়েছি ৮০০০০ টাকা, ব্যবসায়ী ভাড়া দিতে আরো ৪০হাজার টাকা ভর্তুকি দিতে হবে বলে তরমুজ বিক্রি করে ভাড়া নেবার আদেশ দিয়ে পালিয়ে গেছেন।
তবে বিআইডব্লিউটিসি ম্যানেজার মো. পারবেজ খান বলেন, আমাদের এখানে অপেক্ষায় থাকার কারণে তরমুজ নষ্ট হবার কোনো সুযোগ নেই। কারণ আমাদের এ রুটে ৪টি ফেরি পারাপারের জন্য চলমান রয়েছে। কাচামালের গাড়ি দিনে দিনে পার হয়ে যায় অপেক্ষা করতে হয় না। তা ছাড়াও একদিনে তরমুজ নষ্ট হবার কথা নয় তারা বৃষ্টির পানিতে নষ্ট হওয়া তরমুজ লোড করেছে হয়তো । তাদের ছাড়াও অনেক গাড়ি আছে তাদের তরমুজ পচে নাই কেন? বৃষ্টির পানিতে ভেজা তরমুজ গাড়িতে চাপের কারণে দু-একটা নষ্ট হতে পারে। তবে এ গাড়ির সব তরমুজ নষ্ট হয়েছে ভেজার কারণে।
এসআইএইচ