১২ বছর কাউন্সিলরের দখলে থাকা বিশাল পুকুরটি গণপূর্তর
বরগুনা সদর হাসপাতাল সংলগ্ন ২.৭০ একর জমিতে বিশাল একটি পুকুর। পুকুরটি হাসপাতাল পুকুর নামেই বেশি পরিচিত এবং সেখানে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মৌখিক অনুমতি নেওয়া হয়েছে দাবি করে প্রায় ১২ বছর ধরে মাছ চাষ করে আসছিলেন স্থানীয় সাবেক পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম স্বপন।
অবশেষে জানা গেছে, বিশাল এই পুকুরটি বরগুনা সদর হাসপাতালেরই না, এটি গণপূর্ত বিভাগের। কাউন্সিলর স্বপন গণপূর্ত বিভাগের অনুমিতি ছাড়াই প্রায় ১২ বছর এটি দখলে রেখেছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে দখলদার উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে পুকুরটি দখলে নিতে সক্ষম হয়েছে গণপূর্ত বিভাগ এবং খুব দ্রুতই এটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকালে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত বিশ্বাস এ সব তথ্য জানান। সুব্রত বিশ্বাস বলেন, বরগুনা সদরের ২৭ নং কড়ইতলা মৌজার এল.এ কেস নং ৪৮/৬১-৬২ এর মধ্যমে বরগুনা গণপূর্ত বিভাগের অনুকূলে ২২৫.৮৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়।
গেজেট ভুক্ত ওই জমির আওতাধীন ২.৭০ একর জমির উপরিস্থিত একটি বিশাল পুকুর গণপূর্তর অনুমতি ছাড়াই দখল করে মাছ চাষ করে আসছিলেন সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম স্বপন। এনিয়ে আদালত পর্যন্ত গড়ানোর অবশেষে আদালতের আদেশে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ২৩ মার্চ এক উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে এটির দখল উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
তিনি আরও বলেন, উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে পুকুরে মাছ কাউন্সিলরকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরে পুকুরটি গণপূর্তর উল্লেখ করে সামনে নোটিশ টানানো হয়েছে। খুব শীঘ্রই পুকুরটি সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এদিকে এ বিষয় সাবেক পৌর কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম স্বপনের মোবাইল ফোনে কল করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে ২৩ মার্চ বরগুনা গণপূর্তকে কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম স্বপন একটি লিখিত অঙ্গিকার নামা প্রদান করেছেন বলে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত বিশ্বাস। অঙ্গিকার নামায় আমিনুল ইসলাম স্বপন বলেন, আমি পুকুর থেকে সব মাছ ধরে নিতে পেরেছি। এখন থেকে এ পুকুরে আমার কোন দাবি দাওয়া নাই এবং আমি কোন মামলা মোকদ্দমায়ও আর জড়াব না।
এএজেড