রোজাদারের প্রাণ জুড়াতে নওগাঁর পাতলা দই

চৈত্রের তীব্র তাপদাহ শুরু না হলেও দিনের গরমে রোজাদারদের ক্লান্ত করে তৃষ্ণার্তের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। আর দিন শেষে সেই তৃষ্ণার্ত রোজাদারের প্রাণ জুড়াতে তৃপ্তি এনে দেয় নওগাঁর পাতলা দই। বিশেষ করে স্বাস্থ্য সচেতন রোজাদার ব্যক্তিদের পছন্দের শীর্ষে পাতলা দই নামের এ পানীয়। তবে এবার দাম একটু বেশি!
বর্তমানে বাহারি ইফতার আইটেমের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে এই নওগাঁর পাতলা দই। ইফতারে এনে দেয় বাড়তি মাত্রা। দুগ্ধজাত এ পানীয় অত্যন্ত সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। বছরের প্রায় বারো মাসই জেলার বিভিন্ন দই ও মিষ্টান্ন সামগ্রী বিক্রির দোকানে কমবেশি পাতলা দই পাওয়া যায়। এবারও পবিত্র রমজানের শুরুতেই ইফতারের অন্যান্য সামগ্রীর পাশাপাশি দইয়ের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) বিকেলে শহরের ব্রিজের মোড় এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলায় অন্যতম একটি পণ্য এ দই। এই পাতলা দইয়ের সুনাম রয়েছে দেশজুড়েও। রমজানের আগে প্রতিটি দইয়ের হাড়ি প্রকারভেদে ৮০ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি হলেও রমজানে সেই হাড়ির দাম বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৫০ টাকা করে। এতে অনেকেই দই কিনতে এসে ফিরে যাচ্ছেন। দইয়ের দাম বেশি হলেও বিকেলে ইফতারের আগমুহূর্তে বাজারের দই ফুরিয়ে যাচ্ছে।
ক্রেতারা বলছেন, রমজানে বিশ্বের অন্যান্য দেশে সব পণ্যের দাম কমে, আর আমাদের দেশে পুরোটাই উল্টো। সামান্য একটি দইয়ের দাম বেড়েছে হাড়িপ্রতি ৪০ থেকে ৫০ টাকা করে। দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি রমজানের আগে থেকেই বাজার মনিটরিং করা যেত, তাহলে সবকিছুই সাধারণ মানুষদের হাতের নাগালে থাকতো। অনেক সাধারণ খেটে-খাওয়া মানুষরা দই কিনতে এসে ফেরত যাচ্ছেন।
দই বিক্রেতা সাহিন,স্বপন,মন্টু মানিক, গৌতম, সঞ্জয়, নিবারণ ঘোষ জানান, দইয়ের প্রধান উপকরণ হচ্ছে দুধ ও চিনি। এই দুই উপকরণের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়াই, আমরাও বেশি দামে দই বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছি। তবে রমজানে কেন বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেননি বিক্রেতারা।
এ বিষয়ে নওগাঁ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আশীষ কুমার সরকার ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, দইয়ে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ভিটামিন, উপকারী ব্যাকটেরিয়া থাকে যা শরীরের বিভিন্ন উপকারে আসে। এ ছাড়া উচ্চরক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। হজমে সহায়তা করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক ভাল রাখে। পাকস্থলীর সমস্যা কমায়। ক্লান্তি অবসন্নতা কমিয়ে মনে প্রশান্তি আনে, মেজাজ ফুরফুরে রাখে।
এএজেড
