বিএনপি নির্বাচনে না এলে অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাবে: কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনও দেশে সংবিধান অনুযায়ী হবে। চেষ্টা করব বিএনপিকে নির্বাচনে আনার। না আসলে বিএনপির অস্তিত্ব বিলীন হবে। গত তিনটি নির্বাচনে বিএনপির চরম বিপর্যয় হয়েছে, তাদের কর্মকাণ্ড দেখে আমার মনে হয়, আগামী নির্বাচনে চতুর্থ বারের মতো বিএনপির বিপর্যয়ের সময় এসে গেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, তবে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বিএনপির শুভ বুদ্ধির উদয় হবে এবং বিএনপির অস্তিত্বের স্বার্থে তাদের নেতৃবৃন্দ একটা পর্যায়ে গিয়ে নির্বাচনে আসতে বাধ্য হবে। শনিবার (০৪ মার্চ) টাঙ্গাইলের কুমুদিনী সরকারি কলেজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের ম্যুরালের শুভ উদ্বোধন ও নতুন শিক্ষার্থীদের নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন দেখে মানুষ খুবই খুশী। মানুষ উন্নয়নের প্রশংসা করছে। স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত দেশ নির্মাণের, সে লক্ষ্যেই দেশ এগিয়ে চলেছে। কাজেই, দেশের জনগণ আবার শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় আনবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ২০১৪ সালে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহন করে নাই, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করেছে, হরতাল দিয়েছে, আন্দোলন করেছে, অবরোধ দিয়েছে, জীবন্ত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, রেল লাইন তুলে দিয়েছে , বিদ্যুতের লাইন কেটে দিয়েছে। ২০১৫ সালে তারা একটানা ৯০ দিন হরতাল দিয়েছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তাদের চরম বিপর্যয় হয়েছে। উন্নয়ন মানুষ দেখছে মানুষ জানে রাস্তাঘাট উন্নয়ন হয়েছে মানুষ প্রশংসা করছে।
পোলট্রি মুরগির দাম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. রাজ্জাক বলেন, করোনার শুরু থেকে শুরু করে দীর্ঘদিন যাবৎ পোল্ট্রি ব্যবসায়ী, খামারি, উদ্যোক্তারা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছিলেন, লস দিচ্ছিলেন। হঠাৎ করে এবছর গত দুই মাস ধরে পোল্ট্রির মুরগির দাম অনেক বেশি। শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের প্রান্তিক খামারিরাও ঠিকমতো দাম পাচ্ছেন না।
তিনি আরও বলেন, এ বিষয়টি আমি সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামে তুলে ধরব। এমন একটা নীতি আমাদের নির্ধারণ করতে হবে। যার মাধ্যমে পোলট্রির দাম সহনশীল রাখা যাবে যাতে করে নিম্নআয়ের সীমিত আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা মধ্যে থাকে এবং একইসঙ্গে ব্যবসায়ী, খামারি ও উদ্যোক্তারা লাভবান হয়।
কুমুদিনী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক বদরুল আলমের সভাপতিত্বে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম এমপি, মো. ছানোয়ার হোসেন এমপি, সংরক্ষিত নারী এমপি খন্দকার মমতা হেনা লাভলী, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র এসএম সিরাজুল হক আলমগীর, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শাহজাহান আনসারী, কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক আবদুল করিম মিঞা প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
এএজেড