তোলারাম কলেজের দুই কেন্দ্রে চলছে শান্তিপূর্ণ ভোট
নারায়ণগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সিটি করপোরেশন এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে এমন চিত্রই পাওয়া গেছে।
দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে শহরের চাষাড়া সংলগ্ন তোলারাম সরকারি তোলারাম কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা গেছে, সেখানে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ চলছে। সরকারি তোলারাম কলেজে মোট দুটি কেন্দ্র। ১০০ নম্বর কেন্দ্রটি হচ্ছে পুরুষ কেন্দ্র এবং ১০১ নম্বর কেন্দ্রটি হচ্ছে মহিলা কেন্দ্র।
মহিলা কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ১১টি। ভোটারের সংখ্যা ৩ হাজার ৫৯৮টি। এই কেন্দ্রে প্রতিবন্ধী এবং বহু বয়স্ক মহিলা ভোট দিয়েছেন। দুপুর দেড়টা পর্যন্ত কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ২৪ শতাংশ। এর আগে দুপুর সোয়া ১২টা পর্যন্ত ভোট পড়েছিল।
কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আশরাফুল আলম সিদ্দিকী বলছিলেন, ইভিএমে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে শুরুতে শুরুতে কিছুটা জটিলতা হলো সময় যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সবকিছু সহজ এবং স্বাভাবিক হয়ে গেছে। শুধুমাত্র বয়স্ক মহিলাদের ক্ষেত্রে ফিঙ্গারের ম্যাচিং করতে গিয়ে কিছুটা সময় লেগেছে। এ ছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক মিনিটের মধ্যে ভোট প্রদান কমপ্লিট হয়েছে।
তিনি জানান, ভোট প্রদানে খুব বেশি সময় ব্যয় হচ্ছে না।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আরো জানান, তার কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রধান দুই মেয়র প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী এবং তৈমুর আলম খন্দকার ঘুরে গেছেন।
নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপার কেন্দ্রটি পরিদর্শন করেছেন।
এই কেন্দ্রে ভোট দেওয়া কাজল আক্তার পাখি বলেন, আগে সব সময় ব্যালটে সিল দিতাম। এবার খুব সুন্দর ভাবে ভোট দিয়েছি। প্রথমে একটু আনইজি লাগলেও কেন্দ্রে ঢোকার পর সহজেই ভোট দিতে পেরেছি। এই পদ্ধতিটা (ইভিএম) খুবই ভালো।
নুসরাত জাহান রাফি নামে আরেক মহিলা বলেন, মেশিনে ভোট দিতে যাওয়ার আগে প্রথমে একটু ভয় লেগেছিল, পারব কি পারব না। কিন্তু কেন্দ্রে যাওয়ার পর দেখলাম খুব সহজেই সুন্দর ভাবে ভোট দেওয়ায় দিতে পেরেছি। খুবই ভালো লাগছে পদ্ধতিটি। সহজে এবং কম সময়ে ভোট দেওয়া যায়।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়েরাও খুব কম সময়ে দ্রুত ভোট দিয়েছে। এবারই তারা প্রথম ভোট দিল।
তোলারাম সরকারি কলেজে ১০০ নম্বর কেন্দ্রটি হচ্ছে পুরুষ কেন্দ্র। কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩ হাজার ৬৪৫ জন। বুথ রয়েছে ১০টি। কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার মীর মশাররফ হোসেন বলছিলেন, দুপুর ১টা পর্যন্ত তার কেন্দ্রে ভোট কাস্ট হয়েছে ৩৫ শতাংশ। তিনি বলেন, যে হারে ভোট কাস্ট হয়েছে তাতে মধ্যাহ্ন বিরতির পর আরও ৩৫ শতাংশ ভোট কাস্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শেষ বেলায় টোটাল ৭০ শতাংশ ভোট কাস্ট হবে বলে আশা করছেন এই প্রিসাইডিং অফিসার।
ইভিএম নিয়ে কোনো অভিযোগ পাননি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। তার কেন্দ্রের প্রত্যেকটি বুথে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের এজেন্ট রয়েছে।
এনএইচবি/এসআইএইচ