২১ বছরেও সাড়া মেলেনি 'সুন্দরবন দিবস' পালনে

আজ ১৪ই ফেব্রুয়ারী সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারীকে 'সুন্দরবন দিবস' হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
এরপর থেকে প্রতিবছরের ১৪ ফেব্রুয়ারীতে সুন্দরবনসংলগ্ন উপকূলীয় জেলাগুলোতে বিভিন্ন এনজিও, সেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে এই দিনটি সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসলেও গত ২১ বছরেও জাতীয়ভাবে দিবসটি পালনে সাড়া মেলেনি।
অথচ, দেশের পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরবন অনেক গুরুত্ব বহন করে চলেছে। সুন্দরবন উপকূলবাসীর কাছে এক রক্ষাকবচের নাম। অ্যামাজনকে যদি বলা হয় পৃথিবীর ফুসফুস, তাহলে সুন্দরবনকে বলা উচিত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আহার দাতা ও যার উপমা মায়ের সঙ্গে দেওয়া যায়।
মা যেমন সকল প্রতিকূল মুহূর্তে তার সন্তানকে পরম মমতায় আগলে রাখেন, ঠিক তেমনি ভাবে সকল দূর্যোগ থেকে সুন্দরবন সকল প্রতিকূলতা সহ্যকরে উপকূলকে রক্ষা করে। একারনে, সুন্দরবনের গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে জাতীয়ভাবে সুন্দরবন দিবস পালন করা সম্ভব হলে মানুষের মধ্যে সুন্দরবন নিয়ে যেমন সচেতনতা বাড়বে, ঠিক তেমন-ই সুরক্ষা পাবে সুন্দরবন।
এব্যাপারে বুড়িগোয়ালীনি ষ্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম বলেন, অবশ্যই জাতীয় ভাবে 'সুন্দরবন দিবস' পালন করা উচিত। সুন্দরবন সুরক্ষায় 'সুন্দরবন দিবস' পালনের কোন বিকল্প নেই। যত বেশি মানুষকে যুক্ত করা যাবে সুন্দরবনের সম্পদ রক্ষায় তত বেশি সহায়ক হবে। একারনে আশাকরি সরকার প্রধান বিষয়টি গুরুত্ব দিবেন।
এএজেড
