দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ। তীব্র শীতে বেড়েছে জনদুর্ভোগ। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। অনুভূত হচ্ছে কনকনে শীত। গত এক সপ্তাহ ধরে জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬-৮ ডিগ্রিতে উঠানামা করছে।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সোমবার দুপুরে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা অনেকটাই বেড়েছে। মৃদু শৈত্যপ্রবাহ থেকে তাপমাত্রা বেড়ে আবহাওয়ার উন্নতি হবে। চলতি মাসের শেষের দিকে শীত কমা শুরু হতে পারে।
জেলায় গতকালের তুলনায় ঘন কুয়াশার পরিমাণ কিছুটা কমেছে। সোমবার সকালে হিমেল হাওয়া কিছুটা কম থাকলেও চারদিকে ঘন কুয়াশা বিরাজমান ছিল। দিনের বেলায় মহাসড়কগুলোতে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করছে যানবাহনগুলো। শীত নিবারণের জন্য আগুন পোহাচ্ছেন মানুষজন। তীব্র শীতে সময়মতো কাজে যোগ দিতে পারছেন না শ্রমজীবী মানুষেরা।
এদিকে তীব্র শীতের কারণে গবাদিপশু নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে খামারিদের। ঘন কুয়াশায় আলু, মরিচ, ভুট্টা, বোরো ধানের বীজতলাসহ নানা ফসলের ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
সদর উপজেলার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম বলেন, এই শীতের কারণে সকাল বেলা বাড়ি থেকে বের হওয়া যায় না। দিনের বেলা রোদ উঠলেও আকাশে মেঘ থাকার কারণে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। খুব কষ্টের মধ্যে আছি আমরা।
জেলার উপর দিয়ে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহ আরও কয়েকদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস।
এদিকে চলতি শীত মৌসুমে সরকারি ও বেসরকারিভাবে ৫৭ হাজার শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসন। আরও বরাদ্দ পেলে দ্রুতই বিতরণ করার আশ্বাস জেলা প্রশাসক জহিরুল ইসলামের।
এসজি