পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে সহায়তা, প্রভাষকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
বরগুনার আমতলীতে বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। বুধবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে আসামি পক্ষের আইনজীবী এম ইসহাক বাচ্চু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইনজীবী জানান, পাবলিক পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে সহায়তার দায়ে মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) আমতলীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের বিচারক আরিফুর রহমান এ আদেশ দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৩ মে বকুলনেছা মহিলা কলেজে উচ্চতর গণিত দ্বিতীয়পত্রের এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছিল। এদিন পরীক্ষার হলে মেহেদী হাসান নামে এক শিক্ষার্থীর পরিবর্তে আরিফুর রহমান নামে এক ব্যক্তি প্রক্সি দিতে এসে ধরা পড়লে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্তরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ঘটনায় ওই কলেজের তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান বাদী হয়ে আরিফুর রহমানকে আসামি করে আমতলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
পরে তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আমতলী সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে সে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। জবানবন্দিতে তিনি জানান, এতে বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর সম্পৃক্ততা রয়েছে।
সেই সময় বিচারক বিষয়টি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পরবর্তীতে পিবিআই তদন্ত কর্মকর্তা আব্দুস সোবাহান আদালতে একটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই প্রতিবেদনে প্রভাষক সৈয়দ মোহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহর নাম বাদ পারে।
মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) মামলার ধার্য তারিখে আমতলীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হওয়ায় বিচারক আরিফুর রহমান মামলাটি আমলে নিয়ে ওয়ালিউল্লাহকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এসআইএইচ