বড় ভাইয়ের কোদালের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু
নওগাঁ সদর উপজেলার শৈলগাছি ইউনিয়নের গুমারদহ গ্রামে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বড় ভাইয়ের কোদালের হাতলের আঘাতে ছোট ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজন, স্থানীয় বাসিন্দা ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলামের দুই ভাই ও দুই বোন। তাদের বাবা মৃত আবুল হোসেনের রেখে যাওয়া সম্পত্তির ভাগ বাটোয়ারা না হওয়ায় নজরুল ইসলাম ও তার বড় ভাই ফজলুর রহমানের মধ্যে বিরোধ লেগে থাকত। গত ১০ জানুয়ারি ফজলুর রহমান গ্রামের মাঠে একটি জমিতে বোরো ধান লাগানোর জন্য আইল দিতে যান। এ সময় নজরুল তাকে বাধা দিতে যান। এ নিয়ে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ফজলুর রহমান তার হাতে থাকা কোদালের হাতল দিয়ে নজরুলকে বেশ কয়েকবার আঘাত করেন। এতে নজরুল গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার অবস্থার অবনতি হলে ওই দিনই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ বিষয়ে শৈলগাছী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, ঘটনার পাঁচ-ছয় দিন আগে জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে ফজলুর তার ছোট ভাইকে কোদালের হাতল দিয়ে মারধর করেন। এতে নজরুল গুরুতর আহত হন। সোমবার রাতে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে। আজ সকালে নিহতের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে আসার পর পুলিশ খবর পেয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি থানায় নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান জানান, নিহত ব্যক্তির মরদেহ আজ মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গুমারদহ গ্রামের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পরই সঠিকভাবে বলা যাবে এটি হত্যা-নাকি স্বাভাবিক মৃত্যু। তবে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্ত ব্যক্তি নিহত নজরুলের বড় ভাই ফজলুর রহমান ও তার স্ত্রী নার্গিস সুলতানা পলাতক রয়েছেন।
এসআইএইচ