বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের গ্রেপ্তার নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এবং নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি হামলা ও গুলি করে একজনকে হত্যা ও গ্যাস বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে ঠাকুরগাঁওয়ে গণমিছিল ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে শহরের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জেলা বিএনপির আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বক্তারা বলেন, ঢাকার বিভাগীয় গণসমাবেশ বানচালের জন্য সরকার ও সরকারের পুলিশ বাহিনী পরিকল্পিতভাবে নয়াপল্টনে হামলা চালিয়েছে। গুলি করে বিএনপির এক কর্মীকে হত্যা করেছে পুলিশ। শতাধিক নেতা-কর্মী আহত করা হয়েছে। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালামসহ শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাতীয়বাদী শক্তিকে দমন করার জন্য পুলিশি নির্যাতন ও জুলুম অব্যাহত রয়েছে। জুলুম, নির্যাতন বন্ধ না হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তি অচিরেই এই অবৈধ সরকারকে উৎখাত করবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান বলেন, গ্রেপ্তার ও হামলা করে আন্দোলনকে দমানো যাবে না। শত বাধা দিয়েও সরকার ঢাকার গণসমাবেশ বানচাল করতে পারেনি। এই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। মানুষ রাস্তায় নেমেছে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরে যাবে না। তিনি আরো বলেন, অবিলম্বে মির্জা ফখরুলসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। না হলে সরকারের পতনে যে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে, আমরা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে হলেও তা বাস্তবায়ন করব।
সমাবেশ ঘিরে জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও উপজেলা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে এসে জড়ো হন। দুপুর সাড়ে তিনটায় দিকে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শুরু হয়। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সেখান থেকে মিছিল বের করে শহরের প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে এসে জড়ো হন।
এএজেড