বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৪ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

নেত্রকোনায় ২০ সিনেমা হলের একটিও নেই

একটা সময় ছিল মানুষের বিনোদনের মাধ্যমই ছিল হলে গিয়ে সিনেমা দেখা। যেকোনো উৎসবের সঙ্গে বাড়তি বিনোদন হিসেবে যোগ হতো সিনেমা। তবে বর্তমানে হলে গিয়ে সিনেমা দেখার সেই রমরমা অবস্থা আর নেই। দেশের অধিকাংশ স্থানে এখন সিনেমা হলগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। একই অবস্থা নেত্রকোনা জেলায়ও। এখানকার ২০টি সিনেমা হলের মধ্যে টিকে নেই একটিও।

পঞ্চাশের দশক পর্যন্ত জেলা শহরের বাসিন্দাদের চিত্তবিনোদনের প্রধান কেন্দ্র ছিল ‘বিজয় টকিজ’ সিনেমা হল (প্রেক্ষাগৃহ)। অজহর রোডে অবস্থিত এ প্রেক্ষাগৃহ পরিচালনা করতেন প্রকৃত মিত্র ও হিরণ মিত্র নামের দুই ব্যবসায়ী। পরবর্তী সময়ে এটির মালিকানায় যুক্ত হন আবদুল হালিম মিয়া নামে আরও একজন। বর্তমানে এসব হলের গল্প আছে বাস্তবে নেই।

১৯৬৩ সালে বিজয় টকিজ হলের মালিকানা হস্তান্তর হয়। তখন ক্রয়সূত্রে প্রেক্ষাগৃহটির মালিক হন নওয়াব আলী মিয়া। ‘বিজয় টকিজ’ এর বদলে তিনি এটির নতুন নাম রাখেন ‘হাসনা টকিজ’।

এ হলের জমজমাট ব্যবসায় খুশি হয়ে নওয়াব আলী মিয়া ১৯৭০ সালে শহরের কোর্ট স্টেশনের পেছনে ‘হীরামন’ নামে আরও একটি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি করেন। নওয়াব আলী মিয়ার ছেলে আবদুল কাদির মিয়া এটি পরিচালনা করতেন। ‘হাসনা টকিজ’ ও ‘হীরামন’ হলে সিনেমা দেখেননি নেত্রকোনা শহরে এমন প্রবীণ লোক পাওয়া দুস্কর। অথচ এখন সিনেমা হলের ব্যবসা পুরোপুরি ধ্বসের কাতারে। বন্ধ হয়ে গেছে একের পর সব সিনেমা হল।

নানা বাস্তবতায় জেলার ২০টি সিনেমা হলের মধ্যে সবগুলো এখন বন্ধ। কোনোটির এখন আর অস্তিত্বই নেই। শুধু ‘হীরামন’ হলটি বন্ধ হয়েছে গত বছর। আবদুল কাদির মিয়ার ছেলে শেখ সুলতান তপু পরিচালনা করতেন এ সিনেমা হল। দর্শক কমে যাওয়ায় এটি মালিক বন্ধ করতে বাধ্য হন। অবশিষ্ট নেই একটিও।

প্রেস ক্লাব, নেত্রকোনা জেলা কমিটির সভাপতি শামীম আহমেদ তালুকদার জানান, ‘পাকিস্তান আমলে নেত্রকোনার সিনেমা হলগুলোতে বোম্বের হিন্দি ও পাকিস্তানের উর্দু ছায়াছবির প্রদর্শনী হতো। মাঝে মধ্যে কলকাতা থেকে দু-একটা বাংলা সিনেমা আসত। তখন প্রতিদিন হলগুলোতে তিন-চারটি করে শো চলত। শো চলাকালে তিল ধারণের জায়গা হতো না। লম্বা লাইন ধরে টিকিট কাটতে হতো।’

নেত্রকোনা শহরের পাশাপাশি জেলার মোহনগঞ্জ উপজেলা সদরেও সিনেমার রমরমা ব্যবসা ছিল। ‘রাজমহল’, ‘দিলশাদ’, ‘মিতালী’ ও ‘কংকন’ নামে একযোগে চারটি সিনেমা হল চালু ছিল সেখানে। সদ্য মুক্তি পাওয়া সিনেমা প্রদর্শনের প্রতিযোগিতা চলত এসব হলে। কালের আবর্তে চারটিই এখন বন্ধ।

‘রাজমহল’ এখন কমিউনিটি সেন্টার। আর ‘দিলশাদ’ গোডাউন। বাকি দুটির অস্তিত্বই নেই। এদিকে পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজারেও জমজমাটভাবে চালু ছিল তিনটি সিনেমা হল। হলগুলো হলো- আশা, তরঙ্গ ও হলি। এখন একটিও চালু নেই। একইভাবে বন্ধ হয়ে গেছে কলমাকান্দার বনানী, সমতা, বারহাট্টার মধুমিতা, কেন্দুয়ার সাথী, রামপুরের আনন্দ, দুর্গাপুরের অনামিকা ছবিঘর, সাগরিকা, মদনের লিপি, পূর্বধলার রিয়া। এ ছাড়া চৌরাস্তা ও হুগলা বাজারের আরও দুটি হল এবং আটপাড়ার খেয়া ও মঙ্গলসিদ্ধ এলাকার একটি হলও বন্ধ হয়ে গেছে।

নেত্রকোনা জেলা শহরের ‘হীরামন’ এর পরিচালক শেখ সুলতান তপু জানান, বর্তমান সময়ে সিনেমা হলের ব্যবসা একেবারেই মন্দা চলছে। দর্শকরা এখন আর হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে চায় না। সিডি, ভিসিডি আসার পর থেকেই সিনেমা ব্যবসায় ধস নামতে শুরু করে। আর এখন ইন্টারনেট, ডিস অ্যান্টেনা, মোবাইল ফোনসহ নানা প্রযুক্তির বদৌলতে দর্শকরা ঘরে বসেই সিনেমা দেখতে পারছে। এ ছাড়া একটি সিনেমা মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে পাইরেটেড কপি বের হয়ে যাচ্ছে। এ সবই সিনেমা ব্যবসায় ধস নামার কারণ।

স্থানীয় আবু আব্বাছ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শফিকুল ইসলাম জানায়, দুই বছর আগে এ পর্যন্ত মাত্র দুইবার হলে গিয়ে সিনেমা দেখেছে সে। একটি ‘আয়নাবাজি’। অপরটি ‘মনপুরা’। দুটোই আর্টফিল্ম ধরনের ছায়াছবি। এ রকম ছবি এলে আবার হলে গিয়ে দেখতাম। কিন্তু সুযোগ আর নেই জেলার কোথাও।

অন্যদিকে নেত্রকোনা সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী নওরিন আক্তার বলে, ‘হলে গিয়ে কোনোদিনই সিনেমা দেখিনি। দু'বছর আগে একবার একটি ছবি দেখতে কয়েক বান্ধবী মিলে হলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু অভিভাবকরা সম্মতি দেননি। তারা জানান, হলে গিয়ে সিনেমা দেখার মতো নাকি পরিবেশ নেই। পরে আমরা সিডি সংগ্রহ করে কম্পিউটারের সাহায্যে বাসায় বসে দেখেছি।’

নওরিনের মতো বর্তমান প্রজন্মের এমন অনেকেই আছে যারা কোনোদিন হলে গিয়ে সিনেমা দেখেনি। অথচ, দু’দশক আগেও সিনেমা ছিল বিনোদনের সেরা মাধ্যম। বিকেল হতেই হলগুলো কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যেত। অনেক সময় কাউন্টারে টিকিট পাওয়া যেত না। কালোবাজারিদের কাছ থেকে বেশি দামে টিকিট কিনতে হতো। আবার অনেকের এক ছায়াছবি বারবার দেখেও যেন তৃপ্তি মিটত না।

উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর জেলা সংসদের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘৯০ এর দশকের পরবর্তীকালে বাংলা চলচিত্রে অশ্লীলতা প্রদর্শনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এক সময় এটা চরম আকার ধারণ করে। অত্যন্ত নিম্নমানের এবং রুচি বিবর্জিত ছায়াছবি তৈরি হতে থাকে। এসব কারণে ভদ্রলোকেরা মুখ ফিরিয়ে নেয়। বিশেষ করে নারী দর্শকরা সম্পূর্ণভাবে হল বিমুখ হয়ে পড়েন।

তিনি আরও বলেন, এখন মাঝে মাঝে কিছু ভালো ছায়াছবি নির্মিত হয়। কিন্তু হলগুলোর সেই পরিবেশ নেই। সবাই ঘরে বসে দেখতেই স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। অথচ অতীতে যেকোনো পারিবারিক অনুষ্ঠানের সঙ্গে সিনেমা দেখার কর্মসূচি থাকত। বাড়িতে কোনো আত্মীয়-স্বজন বেড়াতে এলেও তাকে নিয়ে সিনেমা দেখানো হতো।’

এসএন

Header Ad
Header Ad

ডি-৮ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ২০২১ সালের এপ্রিলে ডি-৮-এর চেয়ারের পদ গ্রহণের পর থেকে বেশ চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ডি-৮ সহযোগিতাকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) মিশরের রাজধানী কায়রোতে অনুষ্ঠিত ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপটে আমরা প্রথমে সীমাবদ্ধতা ও বাধা-বিপত্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছি, এরপর ‘বহুবিধ সংকট আমাদের অনেক দেশকে নানাভাবে ভুগিয়েছে।

বাংলাদেশের বিদায়ী চেয়ার হিসেবে ড. ইউনূস ১১তম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর নেতাদের স্বাগত জানান।

তিনি ঐতিহাসিক কায়রো নগরীতে নিখুঁত আয়োজন ও সদয় আতিথেয়তা প্রদানের জন্য আগামী চেয়ারম্যান ও সম্মেলন আয়োজক দেশ মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসিকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমাদের অভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, অগ্রগতি ও সহযোগিতার জন্য সংগঠনের নীতির প্রতি অবিচল অঙ্গীকারের প্রেক্ষিতে আমাকে অবশ্যই মিশর সরকারের প্রশংসা করতে হবে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ডি-৮-এর চেয়ার থাকাকালে ডি-৮ ইয়ুথ কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা এবং ডি-৮ অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি অনুস্বাক্ষরের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখের দাবি রাখে।

ড. ইউনূস বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অকুণ্ঠ সমর্থন ও সামষ্টিক স্বার্থ অনুধাবন ছাড়া এটি অর্জন করা সম্ভব হতো না।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের চেয়ারম্যানশিপে সমর্থন এবং আমাদের সম্মিলিত স্বার্থকে এগিয়ে নিতে যে অঙ্গীকার দেখানো হয়েছে তার জন্য বাংলাদেশ ডি-৮-এর সকল সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞ।

তিনি বলেন, আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে মিশরের কাছে চেয়ারম্যান পদ হস্তান্তর করার এই লগ্নে আমি এই শীর্ষ সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ‘যুবকদের জন্য বিনিয়োগ ও এসএমইকে সহায়তা করা’- নির্ধারণের জন্য প্রেসিডেন্ট এল-সিসি’র প্রশংসা করছি। এটি ডি-৮-এ আমাদের লক্ষ্যগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

প্রধান উপদেষ্টার মতে, ডি-৮ দেশগুলোকে অবশ্যই ভবিষ্যতের অর্থনীতিতে যুব ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত কর্মক্ষেত্রের পরিবর্তনশীল প্রকৃতির আলোকে শিক্ষাকে পুনরায় আবিষ্কার ও তার অবস্থান পুনঃনির্ধারণ করতে হবে।

তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুব দ্রুত পরিবর্তিত হয়ে যায়। ফলে সরকারের পক্ষে তা অনুধাবন এবং কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা কঠিন হয়ে পড়ে। কিন্তু সমস্যা মোকাবেলায় আমাদের প্রচেষ্টার সমন্বয় সাধন অব্যাহত রাখতে হবে।

ড. ইউনূস বলেন, মিশরের কাছে বাংলাদেশের দায়িত্ব হস্তান্তরের এই মুহূর্তে আমি চেয়ার হিসেবে আমাদের সহযোগিতামূলক অগ্রাধিকার বাস্তবায়নে মিশরের প্রতি বাংলাদেশের অবিচল সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছি।

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট আল-সিসির বিজ্ঞ নেতৃত্বে মিশর বাংলাদেশের ওপর আস্থা রাখতে পারে।

ড. ইউনূস বলেন, মিশরের নেতৃত্বে ডি-৮ বিকশিত হোক এবং সদস্য দেশগুলোকে একটি অনিশ্চিত বিশ্বে বৃহত্তর স্বাধীনতা, স্থিতিশীলতা, সম্প্রীতি ও সমৃদ্ধি অর্জনে সহায়তা করুক।

Header Ad
Header Ad

উদ্ধার হওয়া ৪ অস্ত্র আসল নয়, খেলনা পিস্তল

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চুনকুটিয়া পাকাপুল এলাকার রূপালী ব্যাংকের জিঞ্জিরা শাখা থেকে আটক তিন ডাকাতের পরিচয় মিলেছে। এছাড়া তাদের কাছ থেকে চারটি খেলনা পিস্তল ও দুটি দেশীয় ছোঁড়া পাওয়া গেছে।

গ্রেপ্তার দুই ডাকাতের বয়স ১৪, বাকি একজনের ১৮ বছর বলে ধারণা করছে পুলিশ।

যৌথ বাহিনীর হাতে আত্মসমর্পণ করা তিন ডাকাত কেরানীগঞ্জ মডেল থানার হেফাজতে আছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

গ্রেফতারকৃত তিন ডাকাত
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে ডাকাতরা ব্যাংকে ঢোকে। এ সময় পাশের মসজিদের মাইক থেকে ডাকাতির খবর জানানো হলে স্থানীয় কয়েকশ লোক ব্যাংকের ওই শাখা ঘিরে ফেলেন ও বাইরে থেকে তালা ঝুলিয়ে দেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ফায়ার সার্ভিস ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যাংকটি ঘেরাও করে রাখে।

জানা গেছে, ব্যাংকে ডাকাত দলের হানা দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর উৎসুক জনতা সেখানে ভিড় করে। এ সময় নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাংক–সংলগ্ন মূল সড়কের উভয় পাশের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি ডাকাত দলকে আত্মসমর্পণের জন্য পাশের মসজিদের মাইক থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর চেষ্টায় সন্ধ্যার দিকে আত্মসমর্পণ করে তারা।

Header Ad
Header Ad

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ফের তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট

ছবি: সংগৃহীত

যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে নতুন করে তদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো উচিত বলে অভিমত দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত বলেছেন, ন্যায়বিচার নিশ্চিতে যথাযথ ও বিশেষজ্ঞ সংস্থার মাধ্যমে এই মামলার তদন্ত করা উচিত। এই পর্যবেক্ষণের আলোকে যথাযথ ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এ পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পর্যবেক্ষণ দেন। সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৭৯ পৃষ্ঠা করে পৃথক দুটি মামলার (হত্যা ও বিস্ফোরক মামলা) পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত তারেক রহমান ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সব আসামিকে খালাস দেন হাইকোর্ট। বিচারিক আদালতের রায় বাতিল করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে ৪ দিন মামলাটির শুনানি হয়। শুনানি শেষে রায়ের জন্য ওই দিন ধার্য করা হয়েছিল।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. জসিম সরকার, রাসেল আহমেদ এবং সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল লাবনী আক্তার। আবদুস সালাম পিন্টুসহ দণ্ডিত বেশ কয়েকজনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান। এছাড়া লুৎফুজ্জামান বাবরসহ আরও তিন আসামির পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এছাড়া বিএনপির নেতাদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, গাজী কামরুল ইসলাম সজল, জাকির হোসেন, ছিদ্দিক উল্লাহ মিয়া, মাকসুদ উল্লাহ প্রমুখ।

এ মামলায় ২০১৮ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ রায় দেন। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক শিক্ষা উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টুসহ ১৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১৯ জনকে দেওয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এ ছাড়া সেনাবাহিনী ও পুলিশের সাবেক ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। সব মিলিয়ে ৪৯ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছিল।

পরে ওই বছরের ২৭ নভেম্বর মামলার বিচারিক আদালতের রায় প্রয়োজনীয় নথিসহ হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স শাখায় পৌঁছে। পাশাপাশি কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ মামলার আপিল শুনানি বিচারপতি সহিদুল করিমের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে শুরু হয়। এর মধ্যে ওই বেঞ্চ পুর্নগঠন হয়। এ কারণে নতুন বেঞ্চে আবার শুনানি শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে মামলাটির শুনানি শেষ পর্যায়ে গেলেও সরকার পরিবর্তনের পর গত ৩১ অক্টোবর মামলাটির পুনরায় শুনানি শুরু হয়। তবে শুনানি শেষে গত ২১ নভেম্বর মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখেন হাইকোর্ট। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো.জসিম সরকার। অপরদিকে আসামি পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শিশির মনির।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ডি-৮ সহযোগিতা এগিয়ে নিতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা
উদ্ধার হওয়া ৪ অস্ত্র আসল নয়, খেলনা পিস্তল
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলা ফের তদন্ত করা উচিত: হাইকোর্ট
‘আর অপেক্ষা করতে পারছি না, ভিডিও বার্তায় হামজা
ডাকাতদলের একজনের বাড়ী গোপালগঞ্জে
কিডনি রোগীকে সাহায্য করতে ডাকাতির চেষ্টা
গ্রাহক সেজে ম্যানেজারকে পিস্তল ঠেকায় ডাকাতরা
ইজতেমা যথাসময়ে হবে, সহিংসতাকারীদের ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আ.লীগের নির্বাচনে অংশগ্রহণে বাধা নেই : বদিউল আলম মজুমদার
বন্ধুত্বের আহ্বান জানিয়ে বাংলাদেশকে ৬৮৫ ভারতীয় নাগরিকের খোলা চিঠি
সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ডাকাতদের আত্মসমর্পণ, ভল্ট ও জিম্মিরা অক্ষত
সাবেক এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুরের সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক
কেরানীগঞ্জে ব্যাংকে ডাকাত; ভেতরে জিম্মি ১৫ জন
পিলখানা হত্যাকাণ্ড: হাসিনাসহ ৫৮ জনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ কুবিতে ছাত্রদলের ব্যানারে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ
রাজশাহীতে বিএনপির মাইকে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গান, দুই পক্ষের মধ্যে হট্টগোল  
সেন্টমার্টিনে অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
কেরানীগঞ্জে রূপালী ব্যাংকে ডাকাত, ঘিরে রেখেছে র‍্যাব-পুলিশ
সংস্কারপন্থীদের কারণে বিভেদ বিএনপিতে, ত্যাগীদের ক্ষোভ
লোকসভায় ধস্তাধস্তি; রাহুলের ‘আঘাতে’ বিজেপির ২ এমপি আহত