মুন্সীগঞ্জে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে এলাকায় আতঙ্ক!
মুন্সীগঞ্জ সদরে চরঝপটা এলাকায় আধিপত্য নিয়ে আওয়ামী লীগের দুইগ্রুপের সংঘর্ষের অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ ও ঘরবাড়ি ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার পর থেকে এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। এ পরিস্থিতিতে স্থানীয় দক্ষিন চরমশুরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় নামের একটি বিদ্যালয়ে পাঠদান না করেই ছুটি দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বিদ্যালয়টিতে কোন পাঠদান হয়নি।
এর আগে রবিবার রাত সাড়ে ৮ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত সদর উপজেলার চরাঞ্চলের চরকেওয়ার ইউনিয়নের চরঝাপটা গ্রামে বিবাদমান দুটি পক্ষ মন্টু দেওয়ান ও নান্নু মিজি গ্রুপের সাথে জিন্নত মিজি ও নাজমুল প্রধান গ্রুপের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অর্ধশতাধিক ককটেল বিস্ফোরণ, ৪০ বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট হামলার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য মন্টু দেওয়ানের সাথে জিন্নত মিজি ও নাজমুল প্রধান গ্রুপের আধিপত্য নিয়ে পূর্ব বিরোধ চলে আসছিলো। উভয় আওয়ামী লীগের সমর্থক। রবিবার রাত ৯টার দিকে মন্টু দেওয়ান ও তারপক্ষের নান্নু হাজী,দ্বীন ইসলাম ও ইউসুফ আলীর নেতৃত্বে প্রতিপক্ষ জিন্নত মিজি ও নাজমুল প্রধান গ্রুপের লোকজনের বাড়িতে হামলা করে লুটপাট চালায়।
এসময় দফায় দফায় হামলা মহুমহু ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে গ্রামে আতঙ্ক সৃষ্টি করে প্রায় ৪০ টি বসতঘরে ভাংচুর ঘটনা ঘটে। হামলার এক পর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। মধ্যরাত পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। আহত হয় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন।
এ ঘটনার পর থেকে গ্রামে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সকালেও এলাকায় অবিস্ফোরিত ককটেল ঘটনা স্থলে পরে থাকে বলেও জানান এলাকাবাসী। এদিকে সোমবার সকালে এলাকায় থমথমে অবস্থা থাকায় আবারো সংঘর্ষের আতংকে পাঠদান না করে স্কুল ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে মোবাইল ফোনে দুইপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে পাওয়া যায়নি।
দক্ষিন চরমশুরা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাখন লাল তালুকদার জানান, সকালে সব শিক্ষকরাই বিদ্যালয়ে আসে। দুইপক্ষের সংঘর্ষের কারনে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি ছিলো, অনেক কম শিক্ষার্থী বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়। ১১টার দিকে স্থানীয় কয়েকজন এসে জানায় আবারো ঝামেলা হতে পারে। ককটেলের বালটি নিয়েও দৌড়াদৌড়ি হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে তারা যেনো বাসায় পৌছাতে পারে এজন্য পাঠদান ব্যহত করে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এর আগেও এমন ভাবে বিদ্যালয় বন্ধ করতে হয়েছে। এ বিষয় যথাযথ পদক্ষেপ না নেওয়া হলে আগামীতেও পাঠদান ব্যহত হবে।
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ তারিকুজ্জামান জানান, দুইপক্ষের সংঘর্ষের খবর পাওয়ার পরপরই রাতেই ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। কোন পক্ষ থেকে সোমবার বিকেল পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তবে এবিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় তৎপরতা চলছে।
এএজেড