ভ্যালেন্টাইন উইকের শেষ দিন আজ। সকালের নাস্তা শুরু করুন প্রিয়জনকে চুমু খেয়ে। কারণ দিনটি চুমু খাওয়ার। প্রেমের আবহ নিয়ে ভালোবাসার সপ্তাহের ধারবাহিকতায় ১৩ ফেব্রুয়ারি সারা বিশ্বে পালন হয় কিস ডে হিসেবে।
প্রমিস, প্রপোজ, টেডি, হাগ পেরিয়ে শেষ দিন চলে আসে ভ্যালেনটাইন উইকের। আর এই দিনটিই কিস ডে।
চুম্বনের স্বাস্থ্য উপকারিতা
জানলে অবাক হবেন, চুম্বন বা চুমু স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারী। একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান করে চুম্বন। এ কথা অনেক আগেই দাবি করেছেন ব্রিটিশ বিজ্ঞানীরা।
ব্রিটেনের ‘নিউরোসায়েন্স অ্যান্ড কগনিটিভ সায়েন্স’এর বিজ্ঞানীদের দাবি, চুম্বন বা চুমু উচ্চ রক্তচাপ, অবসাদের মতো একাধিক সমস্যার সমাধান করতে পারে নিমেষে।
গবেষণা বলছে, আধা ঘণ্টার চুমতে ৬৮ ক্যালোরি বার্ন হয়। এমনকি মার্কিন একদল গবেষকদের দাবি চুমু যদি বেশি তীব্র হয়, সে সময় যদি খুব দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস চলে, তাহলে ৯০ ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরতে পারে।
ব্রিটেনের বাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বনের ফলে শরীরে অ্যান্ডরফিন হরমোন বেড়ে যায়, যা মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও চুমুর রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা-
১. দাঁতের ক্ষয়রোধ
অনেকেরই চুমু খাওয়ার আগে মুখ ও দাঁতের যত্ন নেওয়ার অভ্যাস আছে। কিন্তু আপনি কি জানেন চুমুও দাঁত ও মুখের সুস্বাস্থ্যের জন্য ভালো। চুমু স্যালভিয়া নিঃস্বরণ বাড়ায়। এটি অ্যাসিডের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়, খাবারের কণাগুলো সরিয়ে দেয় এবং দাঁতের ক্ষয়রোধ করে।
২. ক্যালরি ক্ষয়
আপনি যদি মনে করেন, শুধু জিম করা বা দৌড়ানোর মাধ্যমে দ্রুত শরীরের কিছু ক্যালরি ক্ষয় করা যাবে, তাহলে আপনি ভুল করছেন। কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, চুমু খাওয়া হলে প্রতি মিনিটে মাত্রাভেদে এক থেকে দুই ক্যালরি ক্ষয় হয়। এ কারণে আপনি যদি দৈনন্দিন ফিটনেসের অংশ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত রাখেন চুমুকে তাহলে তা খুবই কার্যকর হবে।
৩. রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
চুমুর ফলে একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে রোগজীবাণু স্থানান্তরিত হতে পারে। তবে এতে শুধু ক্ষতি হয় না, উপকারও হয়।
কারণ সীমিত মাত্রায় বিভিন্ন জীবাণু একজনের দেহ থেকে অন্যজনের দেহে গেলে জীবাণুটির বিরুদ্ধে কিছু ক্ষেত্রে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে ওঠে।
৪. মানসিক চাপ কমায়
চুমু খাওয়ার ফলে তা আপনার মন থেকে ডজনখানেক সমস্যার চিন্তা দূর করে দেয়। বৈজ্ঞানিকভাবে বলতে গেলে চুমু খাওয়ার ফলে শরীরের অক্সিটসিনের মাত্রা বেড়ে যায়। এটি শরীরের শান্ত করার রাসায়নিক। এ ছাড়াও চুমুর ফলে আপনি গভীরভাবে শ্বাস নিতে পারবেন, যা শরীরকে রিলাক্স হতে সহায়তা করবে।
৫. অ্যালার্জির সম্ভাবনা কমায়
চুম্বনে অ্যালার্জির সম্ভাবনা কমায়। বিশেষ করে মৌসুমী অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমতে পারে চুম্বনের ফলে। জাপানি এক গবেষণায় বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।